Toy Train Darjeeling: দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেনে এক্সাইটিং মুহূর্ত, আলাদা রকম জয়রাইড...! অভিনব শিশু দিবসের সাক্ষী থাকল পাহাড়
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Ricktik Bhattacharjee
Last Updated:
শিশু দিবসের বিশেষ দিনে শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটং পর্যন্ত এক আবেগঘন ও ব্যতিক্রমী টয় ট্রেন যাত্রার সাক্ষী থাকল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর)।
advertisement
1/8

শিশু দিবসের বিশেষ দিনে শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটং পর্যন্ত এক আবেগঘন ও ব্যতিক্রমী টয় ট্রেন যাত্রার সাক্ষী থাকল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর)। ১৪ নভেম্বর, শুক্রবার, ডিএইচআর ও ইউনিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে অটিস্টিক ও দৃষ্টিহীন শিশুদের নিয়ে এই বিশেষ ঐতিহ্যবাহী যাত্রার আয়োজন করা হয়। পাহাড়ের বুক চিরে এগিয়ে চলা টয় ট্রেন যেন সেদিন হয়ে উঠেছিল খুশির ট্রেন—যেখানে প্রতিটি বাঁকে ছিল উচ্ছ্বাস, প্রতিটি টানেলে ছিল বিস্ময়ের হাওয়া। (ছবি ও তথ্য: ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
2/8
সকাল ১১টায় শিলিগুড়ি জংশন থেকে যাত্রা শুরু হওয়ার আগে থেকেই স্টেশনে ছিল উৎসবের পরিবেশ। রঙিন বেলুন, ব্যানার, সঙ্গীত আর শিশুদের হাসিমাখা মুখে প্ল্যাটফর্ম যেন পরিণত হয় আনন্দের মেলায়। রংটং পর্যন্ত যাত্রাপথে পাহাড়ি বাঁক, সবুজ অরণ্য, সুরঙ্গের আলো-অন্ধকারের খেলা—সবকিছুই শিশুদের কাছে হয়ে ওঠে নতুন অভিজ্ঞতার ঝরনা। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে অনেকেই হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করে বাতাসকে। তাদের অপ্রতিরোধ্য উচ্ছ্বাসে ট্রেনের প্রতিটি কামরাই ভরে ওঠে।
advertisement
3/8
এই বিশেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম (ACT)–এর কনভেনার রাজ বসু, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর ঋষভ চৌধুরী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।
advertisement
4/8
ডিএইচআর ডিরেক্টর ঋষভ চৌধুরী বলেন, “দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে শুধু একটি ঐতিহ্যবাহী রেলপথ নয়, এটি মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগের সেতু। বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য আমরা এই টয় ট্রেন যাত্রা আয়োজন করতে পেরে গর্বিত। প্রত্যেক শিশুর মুখের হাসি আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। আমাদের লক্ষ্য—ঐতিহ্যকে আরও মানবিক করা, এবং সকলের কাছে রেলভ্রমণের আনন্দ পৌঁছে দেওয়া।”
advertisement
5/8
ইউনিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শাক্তি পালও জানান, “এই শিশুদের অনেকেই কোনওদিন টয় ট্রেনে ওঠেনি। আজ তারা যে আনন্দ পেয়েছে, সেটাই আমাদের প্রকৃত প্রাপ্তি।”
advertisement
6/8
শুধু ১৪ নভেম্বরের এই বিশেষ যাত্রাই নয়, শিশু দিবস উপলক্ষে ডিএইচআর ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আয়োজন করেছে একাধিক সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কর্মসূচি। ১৩ নভেম্বর কার্শিয়াং-এর এলিসিয়া প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয় IRON SHERPA Competition–এর চূড়ান্ত পর্ব। ডিএইচআর ক্যাচমেন্ট এলাকার ১৫ জন নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীর নেতৃত্ব, পড়াশোনা, সৃজনশীলতা ও সমাজে অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয় সেরা প্রতিভাদের।
advertisement
7/8
১৫ নভেম্বর শুকনা রেল স্টেশনে অনুষ্ঠিত হবে স্টেশন মহোৎসব—স্থানীয় শিল্প, সংস্কৃতি, সঙ্গীত ও হস্তশিল্পের জমজমাট পরিবেশনা নিয়ে। একই দিনে মহাত্মা গান্ধির দার্জিলিং সফরের শতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শতাব্দী মার্চ–এর রংটং-শুকনা পর্বও সম্পন্ন হবে। মার্চ শেষে রংটং-এর শিশুদের জন্য আরও একটি টয় ট্রেন অভিজ্ঞতার আয়োজন করেছে ডিএইচআর, যা দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলবে।
advertisement
8/8
ডিএইচআরের এই মানবিক উদ্যোগ পাহাড়ের ঐতিহ্যকে আরও হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছে। অতীতের ট্রেন, বর্তমানের শিশু, আর ভবিষ্যতের আশা—সব মিলিয়ে এই তিন দিনের অনুষ্ঠান যেন পাহাড়ে মানবিকতার এক নতুন ইতিহাস রচনা করল। (ছবি ও তথ্য: ঋত্বিক ভট্টাচার্য)