Train News Malda: গেঞ্জির কল্যাণে প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা! মারাত্মক দুর্ঘটনা এড়ানো গেল বালকের উপস্থিত বুদ্ধিতে
- Published by:Teesta Barman
- news18 bangla
- Written by:Sebak Deb Sarma
Last Updated:
Train News Malda: মালদহের ভালুকা রোড স্টেশনের কাছে করিয়ালী এলাকার বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মুরসেলিম। তার সাহসিকতার খবর এখন গোটা গ্রামের বাসিন্দাদের মুখে মুখে ফিরছে। সময়মতো উপস্থিত বুদ্ধি দেখিয়ে গ্রামের ‘হিরো’ এখন মালদহের মুরসালিম।
advertisement
1/6

রাতারাতি হিরো মালদহের বালক। ঘটনায় হইহই পড়ে গিয়েছে এলাকায়। কী ঘটেছিল ঠিক? রেল লাইনের তলায় বড় গর্ত। খেলার সময় এমনই ঘটনা নজরে আসে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রের। রেল লাইনে এত বড় গর্ত, কোনও বিপদ ঘটবে না তো? এসব ভাবতে ভাবতেই দেখে রেললাইনের অপরপ্রান্ত থেকে ছুটে আসছে ট্রেন। মুহূর্তের মধ্যে নিজের গায়ের লাল গেঞ্জি খুলে ফেলে সে। এরপর এগিয়ে যায় ট্রেনের দিকে। মালদহের ভালুকা রোড স্টেশনের কাছে তখন রেল লাইনের অপর প্রান্ত থেকে এগিয়ে আসছে দ্রুতগতির কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।
advertisement
2/6
এক বালককে এভাবে গেঞ্জি ওড়াতে ওড়াতে ট্রেনের দিকে ছুটে আসতে দেখে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। নেমে এসে শিশুর কাছে জানতে চান কী হয়েছে? গর্ত দেখে বুঝে যান বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার নয়। খবর দেন রেল কর্তৃপক্ষকে। এরপর শিলচরগামী, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থামিয়ে রেখে প্রয়োজনীয় মেরামতি করা হয় রেললাইনে। পরে ফের গন্তব্যে ছোটে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।
advertisement
3/6
মালদহের ভালুকা রোড স্টেশনের কাছে করিয়ালী এলাকার বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মুরসেলিম। তার সাহসিকতার খবর এখন গোটা গ্রামের বাসিন্দাদের মুখে মুখে ফিরছে। সময়মতো উপস্থিত বুদ্ধি দেখিয়ে গ্রামের ‘হিরো’ এখন মালদহের মুরসালিম। তাকে দেখতে রাত থেকেই ভিড় জমিয়েছেন প্রতিবেশীরা। অনেকেই বলছেন, মুরসেলিম উপস্থিত বুদ্ধি না দেখালে হয়তো বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। প্রাণহানিও হতে পারতো। তাঁর সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেলের চালক ও কর্মীরাও।
advertisement
4/6
অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে মুরসেলিম। বাবা ইসমাইল ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক। মা মর্জিনা বিবি কোনওরকমে সংসার চালান। অস্থায়ী ঘরে কোনওরকমে বসবাস পরিবারের। এমন নিঃস্ব পরিবারের ছেলের সাহসিকতা সকলকে অবাক করেছে।
advertisement
5/6
শুক্রবার দুপুরের ওই ঘটনার পর তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামগঞ্জের মানুষ। শুক্রবার দুপুরের ঘটনা কথা জানাচ্ছে মুরসেলিম। গ্রামবাসীরাও বাহবা দিচ্ছেন তাকে। তাকে ঘিরে এমন উচ্ছ্বাস দেখে কিছুটা অবাক মুরসেলিম নিজেও।
advertisement
6/6
মা মর্জিনা বিবিও খুশি ছেলের কাজে। ছেলের বুদ্ধিতে যদি দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়ে থাকে তার জন্য খুশি মায়ের মন। তার আক্ষেপ, অর্থাভাবে ছেলেকে ভাল কোনও স্কুলে পড়াতে পারেন না। নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর পরিবারে অর্থাভাবই যে তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যাবতীয় প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মুরসেলিম ভবিষ্যতে আরও সফল হবে। তার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা গ্রাম।