Yogi Adityanath: ছিন্ন হয়েছে সম্পর্ক, তবুও উত্তরাখণ্ডে বসে ভাইয়ের জয়ের জন্য প্রার্থনায় মগ্ন যোগী আদিত্যনাথের দিদি
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
UP-Uttarakhand News: যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে তাঁর পরিবারের যোগসূত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বহু দিন আগেই। তবুও মন থেকে তো আর ভাইয়ের স্মৃতি মুছতে পারেন না দিদি। ভাইয়ের বিষয়ে কিছু বিশেষ স্মৃতি মনের মণিকোঠায় ধরে রেখেছেন শশী।
advertisement
1/5

সম্পর্কের সুতো সেই কবে ছিঁড়ে গিয়েছে, কিন্তু ভাইয়ের প্রতি দিদির মনের টান এখনও আলগা হয়নি! তাই উত্তরপ্রদেশ থেকে দূরে বসেও যোগী আদিত্যনাথের জয়ের জন্য প্রার্থনা করে চলেছেন তাঁর দিদি। সাম্প্রতিক উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে যাতে যোগী জয়লাভ করে ফের এক বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারেন, তার জন্য রোজ প্রার্থনা করেন যোগী আদিত্যনাথের বড় দিদি শশী।
advertisement
2/5
মজার বিষয় হল, উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের সময় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বারবার নিজেকে ‘রামভক্ত’ বলে দাবি করেছেন। অথচ অন্য দিকে সেই সুদূর উত্তরাখণ্ডে বসে যোগী আদিত্যনাথের দিদি তাঁর জয়ের জন্য ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করে চলেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দিদি হওয়া সত্ত্বেও প্রচারের আলো থেকে শতহস্ত দূরেই থাকেন শশী। বহু পরিশ্রম করে দোকান চালিয়ে দিন গুজরান হয় তাঁর পরিবারের। আসলে উত্তরাখণ্ডের পৌড়ি গাড়োয়ালের পঞ্চুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এর পর যমকেশ্বরে নিজের গুরুর শরণে গিয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তবে সেই পঞ্চুর গ্রামেই রয়ে গিয়েছে তাঁর পরিবার। কিছু সময় আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর বাবার।
advertisement
3/5
সাত-ভাইবোনের মধ্যে যোগী আদিত্যনাথ ছিলেন মা-বাবার পঞ্চম সন্তান। আর আদিত্যনাথের সবথেকে বড় দিদি শশী। সূত্রের খবর, শশীর বিয়ে হয়েছিল কোঠার গ্রামে। সেই গ্রাম থেকেই রোজ স্বামীর সঙ্গে আড়াই কিলোমিটার দূরে নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দিরে পৌঁছন। সেখানেই তাঁদের মন্দিরের প্রসাদ এবং খাবারের ছোট্ট একটা দোকান রয়েছে।
advertisement
4/5
যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে তাঁর পরিবারের যোগসূত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বহু দিন আগেই। তবুও মন থেকে তো আর ভাইয়ের স্মৃতি মুছতে পারেন না দিদি। ভাইয়ের বিষয়ে কিছু বিশেষ স্মৃতি মনের মণিকোঠায় ধরে রেখেছেন শশী। তাঁর বক্তব্য, সম্পর্কের সুতো আলগা হয়ে গেলেও ভাইয়ের সাফল্যের জন্য তিনি সব সময় নীলকণ্ঠ মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করেন। আবেগঘন হয়ে শশী জানিয়েছেন, ২৮ বছর ধরে ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধতে পারেননি। আসলে ১৯৯৪ সালেই গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাস নিয়েছিলেন যোগী। তবে থেকেই আর রাখি বাঁধা হয়নি শশীর। স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, তাঁর হাতের রান্না করা খাবার বিশেষ পছন্দ ছিল ভাইয়ের। কিন্তু বহু দিন দু’জনে একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করা হয়নি।
advertisement
5/5
মনে ঘুরে-ফিরে ভেসে বেড়ায় শৈশবের স্মৃতি। শশী বলেন, ছোটবেলায় যোগী অন্য রকম স্বভাবের ছিলেন। একটু গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন বলেই হয়তো সন্ন্যাসের পথে হেঁটেছেন তাঁর ভাই, উদাস ভাবে জানালেন শশী।