Relationship News: প্রেমিকের সাথে ১২ বছরের মেয়ের বিয়ে দিলেন মা, তারপর জামাই-দেওরকে নিয়ে একসঙ্গে প্রেম! নির্মম পরিণতি স্বামীর

বিহারে সম্পর্কের জেরে নির্মম পরিণতি হল এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় একজন মহিলা তার ভাসুর এবং জামাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। এর জেরেই খুন হতে হল মহিলার স্বামীকে।

এই নিয়ে মৃত ব্যক্তির মা উর্মিলাদেবী মুরলিগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, তার ছেলে, জসওয়ান্ত যাদব এবং তার স্ত্রী, পুনিতা দেবীর মধ্যে বিয়ে নিয়ে তিন বছর ধরে একটি আইনি বিরোধ চলছিল। এর মধ্যেই পুনিতা নিজের জামাই, অমিত কুমার এবং দেওর, রাজেশ যাদবের সাথে অবৈধ সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন। এই নিয়ে জসওয়ান্ত এবং পুনিতার সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছয়। এরপরেই পুনিতা তার প্রেমিকদের সাথে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

মৃতের মা উর্মিলা দেবীর অভিযোগ, তার পুত্রবধূ নিজের নাবালিকা কন্যাকে মাত্র বয়স ১২ বছর বয়সে তার প্রেমিক অমিত কুমারের সাথে বিয়ে দেন। সেই সঙ্গে পুনিতা তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন এক বিঘা জমি প্রেমিক অমিতকে দিতে হবে। যখন জসওয়ান্ত অস্বীকার করেন, পুনিতা তাকে খুনের পরিকল্পনা করেন।

১৭ অগাস্ট রাত ৯টার সময় পুনিতা, অমিত, রাজেশ যাদব এবং কিছু অন্যান্য সহযোগী জসওয়ান্তকে সার আনতে যাওয়ার অজুহাতে বাইরে বার করেন। তারপরে তাকে একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেন, তারপরে রক্তমাখা দেহ মাঠে ফেলে দেন।

পরের দিন সকালে, জসওয়ান্তের দেহটি একটি গুরুতর কাটা গলা সহ আবিষ্কৃত হয়। পুলিশ দেহের ছবি এবং ভিডিও প্রচার করে শনাক্তকরণে সাহায্য করার জন্য। খবর পাওয়ার পর, পরিবার ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং দেহটি মধেপুরা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

জসওয়ান্তের খুড়তুতো ভাই রামানন্দ যাদব, অভিযোগগুলি নিশ্চিত করে বলেছেন, পুনিতা দীর্ঘদিন ধরে অমিতের সাথে সম্পর্কে ছিলেন। এই সম্পর্ক লুকোনোর জন্য নিজের নাবালিকা কন্যাকে অমিতের সঙ্গে বিয়ে দেন। মুরলিগঞ্জ থানার ইন-চার্জ অজিত কুমার জানিয়েছেন, মৃতের মায়ের অভিযোগের পর একটি এফআইআর দাখিল করা হয়েছে। পুলিশ পুনিতা, রাজেশ যাদব এবং অন্য এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে, এবং বাকি সন্দেহভাজনদের ধরার জন্য অভিযান চালাচ্ছে। Image: AI