Waqf Bill News: মাঝরাতে পাশ ওয়াকফ বিল! এই বিল আসলে কী? আগে কী ছিল, এখন কী হবে? বিরোধিতাই বা কেন! সহজে জানুন পুরোটা
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Waqf Bill News: লোকসভায় পাশ হলেও ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তোলপাড় সংসদ থেকে শুরু করে গোটা দেশ। বিতর্কে অংশ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল দেশের মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
advertisement
1/11

বুধবার কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫ পেশ করেছিলেন লোকসভায়। দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা বিতর্কের পর অবশেষে তা পাশ হয়ে গেল। বিলের পক্ষে ভোট দেন ২৮৮ জন সাংসদ এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩২।
advertisement
2/11
লোকসভায় পাশ হলেও ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তোলপাড় সংসদ থেকে শুরু করে গোটা দেশ। বিতর্কে অংশ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল দেশের মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। কেন্দ্রীয় সরকারের অবশ্য দাবি, নতুন আইন হলে ওয়াকফ নিয়ে দুর্নীতি দূর হবে। দেশের মুসলিমরাই আসলে উপকৃত হবেন।
advertisement
3/11
কিন্তু কী এই ওয়াকফ? আসলে মুসলিমরা তাদের সম্পত্তির কিছুটা অংশ ধর্মীয় কাজকর্মে ও মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য দান করে থাকেন। খুব সহজ করে বললে এটাই হল ওয়াকফ। এই সম্পত্তির আয় থেকে মসজিদের খরচ চালানো হতে পারে, শিক্ষার কাজে ব্যবহার হতে পারে, অনাথদের সাহায্য করা হতে পারে। আর ওইসব সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্যই রয়েছে ওয়াকফ বোর্ড।
advertisement
4/11
বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডের দখল করা সম্পত্তি বা জমিতে কোনও রকম সরকারি পর্যালোচনা করা যায় না। পর্যালোচনা ছাড়াই ওয়াকফ বোর্ড জমি দখল করতে পারে। কোনও সম্পত্তি নিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানা এবং ওয়াকফ বোর্ডের আইনি বিবাদ চললেও তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না সরকার।
advertisement
5/11
সরকার এই আইনেই মূলত বদল আনছে। বিতর্কিত কোনও সম্পত্তির মালিকানা আদতে কার, তাও খতিয়ে দেখার আইনি এক্তিয়ার সরকার নিজের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে চাইছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার থাকবে না। কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে।
advertisement
6/11
আসলে ওয়াকফ দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল, সম্পত্তির দেখাভাল ও তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন জনসাধারণ। অন্যটি হল, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ করে দেওয়া হল তবে তার দেখাভাল করবেন সম্পত্তি দানকারীই। পুরনো আইনেই তা বলা রয়েছে। তা এবার সংশোধন করতে চলেছে কেন্দ্র। গোটা দেশে মোট ৮.৭ লাখ ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। ভারতীয় রেল ও সেনাবাহিনীর পরই দেশে ওয়াকফের বেশি সম্পত্তি রয়েছে।
advertisement
7/11
নতুন আইন হলে কী কী পরিবর্তন আসবে? প্রথমত, ওয়াকফ থেকে ট্রাস্টকে পৃথক করা- মুসলিমদের তৈরি কোনও ট্রাস্ট কোনও আইনে ওয়াকফ বলে বিবেচ্য হবে না। ট্রাস্টের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম হবে।
advertisement
8/11
ওয়াকফ ঘোষণার আগে মহিলাদের উত্তরাধিকার সম্পত্তি দান করে দিতে হবে। এর মধ্যে বিধবা, বিবাহবিচ্ছিন্না এবং অনাথ মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্ম পালনকারী মুসলিমরাই একমাত্র তাদের সম্পত্তি ওয়াকফ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে ওয়াকফ সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতির বদল।
advertisement
9/11
কোনও সরকারি সম্পত্তি যদি কেউ ওয়াকফ বলে দাবি করেন, তাহলে তার তদন্ত করতে পারবেন কালেক্টরের উপরের ব়্যাঙ্কের কোনও অফিসার। ওয়াকফ সম্পত্তির আয় যদি ১ লাখ টাকার উপরে হয়, তাহলে সেই আয়ের অডিট করাতে হবে। ওই অডিট করবেন রাজ্যের অডিটররা।
advertisement
10/11
ওয়াকফ সম্পত্তির বর্ণনা থাকবে একটি সেন্ট্রালাইজড পোর্টালে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডে ২ জন অমুসলিম প্রতিনিধি থাকবেন। এবং অবশ্যই যে কোনও সম্পত্তিতে ওয়াকফ বলে ঘোষণা করা যাবে না।
advertisement
11/11
কিন্তু কেন এত বিরোধিতা নতুন বিলের? বিরোধীদের দাবি, ওয়াকফ আইন সংশোধন করার মাধ্যমে সরকার ওই সম্পত্তি কব্জা করতে চাইছে। মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব করতে চাইছে বিজেপি সরকার। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ কাঠামোয় আঘাত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের প্রবেশাধিকার নিয়েও এক শ্রেণির মুসলিমদের আপত্তি রয়েছে।