ছিল তো অনেক কিছু, কেন শুধু পায়রাকে দিয়েই চিঠি পাঠানো হত প্রাচীন কালে, উত্তর জানা আছে কি

আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে মানুষের বার্তা পৌছানোর পদ্ধতিও। বর্তমানে স্মার্ট ফোনের যুগে এক ফিঙ্গার টিপসেই বার্তা পৌছে যাচ্ছে দূর-দূরান্তে। কিন্তু একসময় বার্তা পৌছানোর কাজ করত পায়রা।

সিনেমায় পায়রাকে বার্তা বাহক হিসেবে দেখা গিয়েছে। কিন্তু আসলে সত্যিই প্রাচীন কালে চিঠি বা যে কোনও সংবাদ আদান-প্রদানের জন্য পায়রা বা কবুতরের ব্যবহার করা হত। পায়রার পায়ে বেধে দেওয়া হত ছোট্ট চিরকুট বা চিঠি ঠিক পৌছে যেত নির্দিষ্ট গন্তব্যে।

মনে করা হয় মিশরেই প্রথম চালু হয়েছিল পায়রা দিয়ে বার্তা পৌঁছনোর কাজ। ৩ হাজার বছর আগে এই পায়রাকে কাজে লাগানোর কাজ শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়। পরবর্তী কালেও ভারতেও পায়রাকে বার্তাবাহক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু কোনও দিন ভেবে দেখেছেন এত কিছু থাকতে কেন পায়রাকেই বার্তা বাহক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। পায়রাকেই সর্বত্র এই কাজে লাগানোর কারণ ছিল তাদের সঠিক জায়গায় ঠিক উড়তে উড়তে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষমতা।

এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণও। আসলে পায়রা কখও রাস্তা ভোলে না। কারণ তাদের শরীরে রয়েছে জিপিএস সিস্টেমের মত ক্ষমতা। গেবষকদের মতে, পায়রার শরীর ৫৩ ধরেনের বিশেষ কোষের একটি অংশ থাকে যার কারণে সে কখনই পথ ভোলে না।

এছাড়া পায়রার চোখে যে রেটিনা রয়েছে তাতে এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন রয়েছে যা পায়রাকে দিক নির্দেশ ও পথ চিনতে সাহায্য করে। তাই কোনও জায়গা থেকে খাঁচায় করে অন্যত্র নিয়ে আসা হলেও সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া পর পায়রা ঠিক চিনে তাকে যেখান থেকে আনা হয়েছিল সেখানে ফিরে যায়।