ভারত যেখানে খুশি আক্রমণ করতে পারে ! অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে পাকিস্তান ও চিনের মুখোশ খুলে দিলেন আমেরিকার যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
US War Expert on Operation Sindoor: এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জন স্পেন্সার বলেন, অপারেশন সিঁদুর কেবল এক পাল্টা আক্রমণ ছিল না, এটি ছিল ভারতের সামরিক প্রস্তুতি, রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং দেশীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির শক্তির প্রত্যক্ষ প্রদর্শন।
advertisement
1/6

পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে অপারেশন সিঁদুর প্রশংসিত হয়েছে। এবার এর প্রশংসাকারীদের তালিকায় আরও একটি বড় নাম যুক্ত হয়েছে। সেই নামটি আমেরিকার বিখ্যাত সামরিক কৌশলবিদ এবং নগর যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ জন স্পেন্সারের। তিনি এই অভিযানকে ভারতীয় সামরিক সক্ষমতার একটি নিখুঁত উদাহরণ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন যে, ভারত দেখিয়েছে তারা যেখানে খুশি আক্রমণ করতে পারে এবং এটি করার সাহসও তাদের রয়েছে।
advertisement
2/6
এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জন স্পেন্সার বলেন, অপারেশন সিঁদুর কেবল এক পাল্টা আক্রমণ ছিল না, এটি ছিল ভারতের সামরিক প্রস্তুতি, রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং দেশীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির শক্তির প্রত্যক্ষ প্রদর্শন। তিনি বলেন, "এটি কেবল চার দিনের এক অভিযান ছিল না। এর পিছনে ছিল এক দশকের প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং ছোট ছোট ভারতীয় প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনের কঠোর পরিশ্রম।" তিনি আরও বলেন, পুরো বিশ্ব দেখেছে যে ভারত কীভাবে চিনের সঙ্গে যুক্ত পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিজের ব্যবস্থা পরীক্ষা করেছে।
advertisement
3/6
পাকিস্তান চিনের ল্যাব, ভারত সেখানে নিজের ক্ষমতা পরীক্ষা করেছে: প্রতিবেশী দেশ যত বড়াই করুক না কেন, এই প্রসঙ্গে স্পেন্সার পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি এএনআইকে বলেন, ‘‘পাকিস্তান একটি চিনা-সশস্ত্র বাহিনী। চিন এটিকে জীবন্ত যুদ্ধক্ষেত্রের ল্যাব হিসেবে ব্যবহার করে।’’ তিনি বলেন, ভারতের এই অভিযান কেবল পাকিস্তানের প্রতি প্রতিক্রিয়া নয় বরং চিনের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির একটি বাস্তব স্থল পরীক্ষাও ছিল। তিনি বলেন, "ভারত ও চিনের সীমান্ত একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে যে কৌশলটি পরিচালিত হয়েছে, তা আসলে চিনের সঙ্গে ছায়া যুদ্ধ কৌশল।’’
advertisement
4/6
স্পেন্সার স্পষ্টভাবে বলেছেন যে এটি কেবল দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা নয়, বরং প্রক্সি যুদ্ধের একটি মডেল। এতে কোন দেশ কার সামরিক ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল তা দেখা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘‘এটি একটি প্রকাশ্য প্রদর্শন ছিল যে ভারতের দেশীয় প্রযুক্তি কোনও বৈশ্বিক ব্যবস্থার চেয়ে কম নয় এবং এই সমস্ত কিছুই একটি সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষা করা হয়েছিল।’’ ভারত দেখিয়েছে যে তাদের ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ উভয়ই আছে: জন স্পেন্সার বিশেষ করে ভারতের নির্ভুল আঘাত হানার ক্ষমতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন যে অপারেশন সিঁদুর আরও দেখিয়েছে যে আক্রমণাত্মক ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ভারত সংযমও দেখায়। তিনি বলেন যে এই অভিযানটি প্রযুক্তিগতভাবে অত্যন্ত প্রাপ্তমনস্ক ছিল এবং এর মাধ্যমে ভারত কেবল তার শত্রুদের সতর্ক করেনি, বরং তার নাগরিকদের নিরাপত্তার আশ্বাসও দিয়েছে। স্পেন্সার আরও বলেন, "বিশ্বজুড়ে সামরিক বিশ্লেষকরা এই অভিযানকে একটি কেস স্টাডি হিসেবে দেখেছেন।’’ তিনি বলেন, ভারত কেবল সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করেনি, ভারত বিশ্বকে বলেছে যে যুদ্ধের প্রস্তুতি কেবল শান্তির সময়েই নেওয়া হয় এবং ভারত তার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।
advertisement
5/6
অপারেশন সিঁদুরের ভিত্তি - মাত্র ৪ দিন নয়, ১০ বছরের কঠোর পরিশ্রম: জন স্পেন্সারের মতে, অপারেশন সিঁদুর বুঝতে হলে শুধুমাত্র ৭ মে, ২০২৫ থেকে ১০ মে, ২০২৫ পর্যন্ত ঘটনাবলী দেখা যথেষ্ট নয়। এর পিছনে রয়েছে ভারতের দীর্ঘ কৌশলগত পরিকল্পনা, সামরিক রূপান্তর, প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে চলা নীতি। তিনি বলেন, ভারতের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছে যেখানে প্রতিশোধ কেবল একটি প্রতিক্রিয়া নয়, বরং ভবিষ্যতের নিরাপত্তার লক্ষণ হয়ে ওঠে। তিনি আরও বলেন, "পরবর্তী যুদ্ধ কখন হবে তা আমি বলতে পারছি না, তবে আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে ভারত আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত।’’
advertisement
6/6
জন স্পেন্সার কে? জন স্পেন্সার একজন সুপরিচিত মার্কিন প্রতিরক্ষা কৌশলবিদ, লেখক এবং নগর যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ। তিনি মার্কিন সামরিক অ্যাকাডেমি ওয়েস্ট পয়েন্টের মডার্ন ওয়ার ইনস্টিটিউটে নগর যুদ্ধ অধ্যয়নের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, তিনি নগর যুদ্ধ প্রকল্পের সহ-পরিচালক এবং একই নামের পডকাস্টের হোস্টও। জন স্পেন্সার নিজে একজন প্রাক্তন মার্কিন সৈনিক, তিনি পেন্টাগন এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেলদের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। যুদ্ধ কৌশল, স্থল যুদ্ধ, সামরিক মনোবিজ্ঞান এবং আধুনিক প্রতিরক্ষা কৌশল সম্পর্কে তাঁর গভীর ধারণা রয়েছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে তিনি একজন ওয়ার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে স্বীকৃত।