Rafale-5 এবং Su-30MK-এর তুলনায় বেশি কার্যকর, সারা বিশ্ব কাঁপাতে চলেছে দেশীয় Tejas যুদ্ধ বিমান, ইতিমধ্যেই ‘তৃতীয় নয়ন’ তৈরি করেছে DRDO
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Tejas Fighter Jet News: রাশিয়া-ইউক্রেন কিংবা ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনই যুদ্ধের আরও শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রতিটি দেশ নিজেদের বায়ুসেনা বাহিনীকে শক্তিশালী করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
advertisement
1/7

আধুনিক যুগে স্থলপথে যুদ্ধ নয়, বরং আকাশ-পথেই বেশি যুদ্ধ হচ্ছে। অপারেশন সিঁদুরই এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। রাশিয়া-ইউক্রেন কিংবা ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনই যুদ্ধের আরও শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রতিটি দেশ নিজেদের বায়ুসেনা বাহিনীকে শক্তিশালী করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার জেটের চাহিদাও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যাতে শত্রুর র‍্যাডার এড়িয়ে লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করা সম্ভব। ভারতও এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকতে চায় না। যার জেরে দেশের প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি ক্রমাগত উদ্ভাবন করে চলেছে এবং তারা প্রোটোটাইপ প্রযুক্তিও ব্যবহার করছে। (File Photo)
advertisement
2/7
ডিআরডিও-র Electronics and Radar Development Establishment এমন একটি র‍্যাডার তৈরি করেছে, যার নজর এড়িয়ে শত্রুদের পালানো প্রায় অসম্ভব। এই র‍্যাডারের সাহায্যে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করা এবং তাতে সঠিক ভাবে আঘাত হানাও সহজ হয়ে উঠবে। যুদ্ধের সময় এই সিস্টেমটি খুবই কার্যকর এবং মারাত্মক বলে প্রমাণিত হতে পারে। এটিকে গ্যালিয়াম নাইট্রাইড (GaN) ভিত্তিক অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) র‍্যাডার বলা হচ্ছে। বর্তমানে তেজস যুদ্ধবিমানকে GaN ভিত্তিক র‍্যাডার সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত করে তোলার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। যদি এটি ঘটে, তাহলে ব়্যাডার-এর দিক থেকে Dassault Aviation-এর দ্বারা তৈরি Rafale-এর F5 ভ্যারিয়েন্ট এবং Su-30MKI-কে ছাপিয়ে যাবে Tejas MKII। (File Photo)
advertisement
3/7
ডিআরডিও পরবর্তীতে Tejas MKIA যুদ্ধবিমানকে GaN ভিত্তিক AESA র‍্যাডারের মাধ্যমে সজ্জিত করবে। Tejas Mk-2A এবং Tejas Mk-1A ফাইটার জেটে GaN ভিত্তিক র‍্যাডার ইন্টিগ্রেট করার প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে। এই কাজটি ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ২০৩৩ সালের মধ্যে Rafale-এর F-5 ভ্যারিয়েন্টে GaN ভিত্তিক র‍্যাডার ইনস্টল করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে Rafal যুদ্ধবিমানটি এই ক্ষেত্রে স্বদেশী Tejas যুদ্ধবিমানের তুলনায় পিছিয়ে থাকবে। ভারত এর নাম দিয়েছে Uttam AESA ব়্যাডার। স্বদেশী Uttam AESA র‍্যাডারে ৯১২টি ট্রান্সমিট রিসিভ মডিউল থাকবে, সেখানে Rafale মাত্র ৮৩৮টি TRM থাকবে। (File Photo)
advertisement
4/7
এমন পরিস্থিতিতে Tejas যুদ্ধবিমানে GaN ভিত্তিক র‍্যাডার ইনস্টল করার ফলে সেটি শত্রুদের চিহ্নিত করা এবং ধ্বংস করার ক্ষেত্রে রাফালের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এমন পরিস্থিতিতে Uttam AESA ব়্যাডারকে একটি বড় অগ্রগতি হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। বলে রাখা ভাল যে, ভারত বায়ুসেনা বাহিনীর জন্য ৩৬টি Rafale যুদ্ধবিমান কিনেছে। একই সঙ্গে নৌ-বাহিনীর জন্য ফ্রান্সের Dassault Aviation Company থেকে বিশেষ রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য একটি চুক্তি করেছে। (File Photo)
advertisement
5/7
GaN AESA র সিস্টেমের বিশেষত্ব রয়েছে: এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, GaN AESA র‍্যাডারটির বিশেষত্বটা কোথায়? Uttam-এর GaN ভিত্তিক ব়্যাডারটি বিশেষ ভাবে Tejas MKII এবং এর উন্নত সংস্করণ MKIA-এর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই ব়্যাডারটি ৯১২টি TRM দিয়ে সজ্জিত থাকবে, যা বর্তমান রাফাল যুদ্ধবিমানের তুলনায় অনেকটাই বেশি। GaN ভিত্তিক AESA ব়্যাডারটি আরও বেশি পাওয়ার এফিশিয়েন্ট হবে এবং এর বৃহত্তর ডিটেকশন রেঞ্জও থাকবে। এই ব়্যাডারটিকে ইলেকট্রনিক কৌশলে জ্যাম করাও খুব কঠিন হয়ে উঠবে। এমন পরিস্থিতিতে বোঝাই যাচ্ছে যে, GaN AESA ব়্যাডারটি তার পূর্বসূরীর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। এছাড়াও এই ব়্যাডারটি একই সঙ্গে একাধিক শত্রু চিহ্নিত এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হবে।(File Photo)
advertisement
6/7
পিছিয়ে পড়বে Rafale F-5: অত্যাধুনিক ব়্যাডারের দিক থেকে ফরাসি রাফাল যুদ্ধবিমান পিছিয়ে পড়বে। বলে রাখা ভাল যে, Dassault Aviation রাফালের পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমানে এমন প্রযুক্তি যোগ করতে চলেছে, যার ফলে ২০৬০ সাল পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। এটি ফরাসি বিমানবাহিনীর পাশাপাশি ভারতের মতো গ্রাহক দেশগুলির জন্যও আগামী তিন দশক ধরে কার্যকর হবে। Rafale F-5-এ ইনস্টল করা GaN AESA র‍্যাডারটি বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে, ২০৩৩ সালের মধ্যে রাফালের পরবর্তী প্রজন্মের জেটে এটিকে ইন্টিগ্রেট করা হতে পারে। (File Photo)
advertisement
7/7
Tejas MKII একটি ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান: ভারতীয় বিমান বাহিনীর চাহিদার কথা মাথায় রেখে Tejas প্রকল্প শুরু করেছিল HAL। প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক বিলম্ব হয়েছিল, কিন্তু এখন এটি পূর্ণ গতি পেয়েছে। সরকার দেশীয় প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে যুদ্ধবিমান তৈরির উপর আরও জোর দিচ্ছে। তেজস MKII যুদ্ধবিমান হতে চলেছে ভারতের প্রথম বিমান, যা ২০২৬ সালের মধ্যেই অত্যাধুনিক GaN AESA র‍্যাডারের সাহায্যে উড়তে পারবে। এই ব়্যাডারের আর একটি বৈশিষ্ট্য হল- এটি দ্রুত গরম হয় না। ফলে এর কাজের মেয়াদ উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে যায়। এদিকে Su-30MKI-এও GaN AESA ব়্যাডার ইনস্টল করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। যার ফলে শীঘ্রই ভারতীয় বিমান বাহিনীতে GaN AESA র‍্যাডার দ্বারা সজ্জিত একটি বড় বহর থাকতে চলেছে। (File Photo)