Supreme Court: 'আধার কার্ড আইনসম্মত স্বীকৃত নথি', এসআইআর মামলায় বিরাট মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের! কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময়, এবার নতুন মোড়? আদালত কী এমন জানিয়ে দিল জানেন!
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Reported by:ARNAB HAZRA
Last Updated:
Supreme Court: ড্রাফট লিস্টে কত নাম বাদ যায়? এদিনের শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। ৭.২৪ কোটি নাম আছে তালিকায়। ৬৫ লক্ষ নাম নেই। ২২ লাখ মৃত ভোটার। ৬.২৪ কোটি ভোটারকে কোনও নথি দেখাতে হবে না। জানাল কমিশন।
advertisement
1/10

কলকাতা: বিহার এসআইআর মামলায় শোরগোল পড়ল সুপ্রিম কোর্টে। বিহারে বাদ যাওয়া ৬৫ লাখের নাম বুথভিত্তিক টাঙাতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও অফিসে তালিকা টাঙাতে নির্দেশ। যাতে মানুষ তা জানতে পারেন। যাদের নাম বাদ গিয়েছে অথচ তারা বৈধ দাবি করছে, তারা তাদের আধার কার্ড ও বাদ যাওয়া তালিকা নিয়ে কমিশনে আবেদন করতে পারবে। কী, কতটা পদক্ষেপ করল কমিশন, তা আগামী শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে জানাতে হবে কমিশনকে।
advertisement
2/10
ড্রাফট লিস্টে কত নাম বাদ যায়? এদিনের শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। ৭.২৪ কোটি নাম আছে তালিকায়। ৬৫ লক্ষ নাম নেই। ২২ লাখ মৃত ভোটার। ৬.২৪ কোটি ভোটারকে কোনও নথি দেখাতে হবে না। জানাল কমিশন।
advertisement
3/10
বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ধরুন, আদালত ধরে নিচ্ছে ইলেকশন কমিশনের ক্ষমতা আছে SIR করার। পদ্ধতিগত বিষয়ে যদি ঢোকা যায়। তাহলে, দেখা যাচ্ছে ২২ লাখ মৃত ভোটার। মামলাকারীরা গুরুতর অভিযোগ তুলছেন, কে মৃত আর কে জীবিত। দেশের সব নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। কমিশন এমন কোনও পদ্ধতির মধ্যে নাগরিকদের ফেলবে না যেখানে নাগরিকরা রাজনৈতিক দলগুলোর পেছন পেছন ঘুরবে।
advertisement
4/10
বিচারপতি সূর্যকান্তের সংযোজন, যদি ২২ লক্ষ ভোটার মৃত হয় তাহলে তাদের নাম প্রকাশ হচ্ছে না কেন বুথ লেবেলে। জনসমক্ষে ওই মৃতদের নাম এসে গেলে ধোঁয়াশা কেটে যাবে। আমরা চাই না নাগরিকের অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ুক।
advertisement
5/10
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, স্বত:প্রণোদিত হয়ে কমিশনের পদক্ষেপে নাম বাদ আইনসঙ্গত ভাবে আপিলের সুযোগ তৈরি করে দেয়। কেন নাম বাদ তা জানানোর জন্য সর্বাধিক প্রচারও দরকার৷
advertisement
6/10
কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, আমরা কারও নাম এখনও বাদ দিইনি। এটা একটা প্রস্তুতি। আমরা নথি চেয়েছি। যদি ভোটার তালিকা পরিবর্তন হয়, তখন এপিক কার্ড আপডেট করা হবে, তা না হলে তালিকার বাইরে রাখা হবে।
advertisement
7/10
বিচারপতি বাগচী বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের প্রয়োগ করে ভোটার কার্ড দেওয়া হয়। কমিশন এদিন জানায়, যদি কেউ মৃত না হয়। তার এগিয়ে এসে কমিশনকে জানান। আমরা শুধ ভোটার কার্ডের নম্বর ওয়েবসাইটে দেওয়ার কথা বলছি না৷ বিষয়টিকে আরও স্বচ্ছ করতে এপিক নম্বরের স্বপক্ষে সমস্ত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশের কথা বলছি।
advertisement
8/10
কমিশন এরপর জানায়, দেশের ইতিহাসে প্রথমবার কমিশনের আধিকারিকরা ফর্ম হাতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন। বিচারপতি বাগচি এই পরিপ্রেতক্ষিতে জানায়, কমিশন যে পন্থায় কাজগুলি করছে তা যুক্তিগ্রাহ্য হওয়া উচিত। কমিশন পাল্টা জানায়, আমরা সব ভোটারের তথ্য জেলাভিত্তিক ওয়েবসাইটে রাখব।
advertisement
9/10
বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, আমরা বলছি ভোটাররা তাদের এপিক কার্ড সংক্রান্ত সব তথ্য স্বাধীনভাবে যেন দেখতে পায়। রাজনৈতিক দলের কর্মীদের কোনও সমালোচনা না করেই এই কথা বলছি। বিচারপতি বাগচী বলেন, আধার কার্ড পরিচয়পত্র এবং বাসস্থানের জন্য আইনসম্মত স্বীকৃত নথি।
advertisement
10/10
কমিশনের তরফে জানানো হয়, পরিযায়ী শ্রমিকেরা যাতে নাম দেখে নিতে পারে তার জন্য আমরা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে পারি। বিচারপতি বাগচি তখনই বলেন, সেটা করা যেতে পারে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে। বিচারপতি সূর্য কান্ত জানান, বিজ্ঞাপনের তথ্য যেন সহজ সরল বান্ধব গোচের হয়। সুপ্রিয় কোর্ট জানায়, বিহার SIR খসড়া ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া ৬৫ লাখ ভোটারের তথ্য জেলাভিত্তিক ওয়েবসাইটে দিতে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনকে।