SSC Scam News: SSC-তে চাকরি গেল ২৫ হাজার মানুষের, উঠে এল সেই কুখ্যাত ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথাও! লুকোতে বহু মৃত্যু, মন্ত্রী, পুলিশ, ডাক্তার বাদ নেই কেউ! কী ঘটেছিল জানেন?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
SSC Scam News: মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম দুর্নীতির সঙ্গে বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সাদৃশ্য রয়েছে।
advertisement
1/15

পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৫৩০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে রীতিমতো তুলোধনা করেছে এই দুর্নীতি নিয়ে। তবে, এই পরিণতির জন্য বিজেপি, সিপিএমের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
2/15
তবে ভারতের ইতিহাসে এই ধরনের দুর্নীতির নজির বিরল নয়। মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম দুর্নীতির সঙ্গে বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সাদৃশ্য রয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলার ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে আছে এই ব্যাপম। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় বিজেপিকে বিঁধতে ফের এই ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
3/15
কিন্তু জানেন কি, এই ব্যাপম কেলেঙ্কারি আসলে কী? কী ঘটেছিল এই কেলেঙ্কারিতে? মূলত সরকারি চাকরিতে নিয়োগ এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল ব্যাপমে। ১৯৯০ সাল থেকে এই দুর্নীতির জাল বিস্তার হয়েছিল। যার কথা ফাঁস হয় ২০১৩ সালে এসে।
advertisement
4/15
ব্যাপম হল মধ্যপ্রদেশ পপুলার এগ্জামিনেশন বোর্ড (এমপিপিইবি)। এই বোর্ডের অন্য নাম ব্যবসায়িক পরীক্ষা মণ্ডল, সংক্ষেপে ব্যাপম। এটি মধ্যপ্রদেশ সরকার দ্বারা গঠিত একটি স্বয়ংক্রিয় প্রতিষ্ঠান, যা রাজ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা এবং সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করে।
advertisement
5/15
ডাক্তারি পরীক্ষা এবং রাজ্য সরকারের খাদ্য, শিক্ষা, পুলিশ, বন দফতরে চাকরির পরীক্ষা-সহ ব্যাপম আয়োজিত মোট ১৩টি পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, অযোগ্য হয়েও চাকরিপ্রার্থী বা পরীক্ষার্থীরা মোটা টাকা ঘুষ দিয়ে সহজেই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করেছিলেন। দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছিল অনেক গভীর পর্যন্ত।
advertisement
6/15
তদন্তে দেখা যায়, বিজেপির মন্ত্রী, নেতা, বিধায়ক, সাংসদ, আমলা, সরকার ঘনিষ্ঠ বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রী, কেউ বাদ নেই। টাকার বিনিময়ে দেদার বিক্রি হয়েছে চাকরি। তদন্তে উঠে আসে, পরীক্ষার নামে ভূতুড়ে ব্যাপার ঘটে গিয়েছে। যিনি ডাক্তার হিসেবে চেম্বার খুলে রোগী দেখছেন তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষাতেই বসেননি।
advertisement
7/15
একই কথা প্রযোজ্য অসংখ্য ইঞ্জিনিয়ারের ক্ষেত্রেও। অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি করছেন যিনি তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষাতেই বসেননি। তাহলে কে মেডিক্যাল পড়ল, কে পড়ল ইঞ্জিনিয়ারিং? পাশ করল কে আর স্টেথো ধরে রোগী দেখছেন কে? ওই কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁসে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই তদন্ত এখনও চলছে।
advertisement
8/15
প্রতি বছর ৩০ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী ব্যাপম আয়োজিত পরীক্ষায় অংশ নিতেন। অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ছিলেন টাকা দেওয়া ভুয়ো পরীক্ষার্থী। ব্যাপম কেলেঙ্কারির তদন্তে ক্রমে জড়িয়ে পড়ে নেতা, মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক, পুলিশ এবং চিকিৎসকের নাম।
advertisement
9/15
ব্যাপমের পরীক্ষাগুলির বিরুদ্ধে নব্বইয়ের দশক থেকেই টুকটাক অভিযোগ জমা পড়ছিল। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই সেগুলিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করা হয়েছিল। ২০০০ সালে পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগে প্রথম এফআইআর দায়ের করা হয়। ব্যাপমকে ঘিরে যে বড়সড় দুর্নীতির জাল বিছিয়ে গিয়েছে, তা ২০০৯ সালের আগে স্বীকারই করা হয়নি।
advertisement
10/15
২০০৯ সালে ব্যাপমের একটি প্রাক্-মেডিক্যাল পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে প্রথম মধ্যপ্রদেশ সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি ২০১১ সালে রিপোর্ট জমা দেয় । দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন শতাধিক মানুষ। ২০১৫ সালের জুন মাসের মধ্যে ব্যাপম কাণ্ডে গ্রেফাতারির সংখ্যা ছাড়ায় ২০০০।
advertisement
11/15
ব্যাপম কেলেঙ্কারির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিকটি হল, এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের কেউই সে ভাবে সাজা ভোগ করেননি। অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগেই কেউ জামিন পেয়ে গিয়েছেন, কেউ বা রহস্যজনক ভাবে পুলিশের হেফাজতেই মারা গিয়েছেন। বহু মৃত্যু দেখেছে ব্যাপম। দিনের পর দিন আরও জটিল হয়েছে রহস্য।
advertisement
12/15
ব্যাপমে জড়িত অভিযোগে ২০১৪ সালে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত শর্মাকে। শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগেও তাঁর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ ছিল। তাঁর অধীনে কাজ করা ওপি শুক্ল, সুধীর শর্মাদের মতো শিক্ষা দফতরের অন্য আধিকারিকেরাও হাজতে যান।
advertisement
13/15
২০১৩ সালে ব্যাপম দুর্নীতির তদন্তের জন্য মধ্যপ্রদেশ সরকার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করে। ২০১৫ সালে এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ তদন্ত প্রক্রিয়ায় একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তকে প্রভাবিত করা, সাক্ষী বা অভিযোগকারীকে ভয় দেখানো এমনকি মেরে ফেলার অভিযোগও উঠেছে।
advertisement
14/15
ইনদওরের চিকিৎসক আনন্দ রাই ব্যাপম দুর্নীতি বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। তা থেকেই তদন্ত শুরু হয়। অভিযোগ, নিয়মিত হুমকি ফোন পেতেন তিনি। তাঁকে খুন করার জন্য ‘সুপারি কিলার’ ভাড়া করা হয়েছিল। আদালতের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও তিনি পাননি। পরে ইনদওর থেকে দূরে একটি গ্রামে তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়। মধ্যপ্রদেশ সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের বিরুদ্ধে বার বার সরব হয়েছেন এই প্রাক্তন বিজেপি কর্মী এবং আরএসএস সমর্থক।
advertisement
15/15
ব্যাপমের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল পথদুর্ঘটনায়। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারা হয়েছিল। তবে কোনও অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ব্যাপমকাণ্ডে ৮৩ পৃষ্ঠার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মোট ৬৩৪ জন চিকিৎসকের ডিগ্রি বাতিল করে দেওয়া হয়।