Shiekh Hasina News: ভারতের মতো বন্ধু আর কে আছে! 'হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে, হাতে আর আধ ঘণ্টা'! ৫ অগাস্ট দুপুর ১.৩০টায় হাসিনার জন্য যায় সবচেয়ে বড় সতর্কবার্তা, তারপরই দেশত্যাগ! অপ্রকাশিত বইতে রোমহর্ষক দাবি
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Shiekh Hasina News: গত বছর ৫ অগাস্ট দুপুর ১.৩০ টায় সেই ফোন কলটি না পেলে, তিনি হয়ত বাংলাদেশ ছাড়তেন না।
advertisement
1/10

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গত বছর অগাস্ট মাসে ঢাকার গণভবনে জনতার হামলার ২০ মিনিট আগে বেরিয়ে যান। ওইদিন বেলা আড়াইটের দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে গণভবন থেকে হাসিনা ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানাও।
advertisement
2/10
কিন্তু ওই দিনই বিক্ষুব্ধ জনতার মুখোমুখি হতে পারতেন হাসিনা, যদি না তিনি ভারতের একটি ফোন কল পেতেন। সেই ফোন কল পাওয়ার পরই একটি কার্গো ফ্লাইটে উঠতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি, যা তাকে শেষ পর্যন্ত ভারতে নিয়ে আসে। আর বর্তমানে ভারতেই আছেন হাসিনা।
advertisement
3/10
গত বছর ৫ অগাস্ট দুপুর ১.৩০ টায় সেই ফোন কলটি না পেলে, তিনি হয়ত বাংলাদেশ ছাড়তেন না। অনেকের আশঙ্কা দেশ না ছাড়লে হাসিনার অবস্থাও হয়ত তাঁর বাবা শেখ মুজিবর রহমানের মতো হতে পারত। হাসিনা গণভবন ছাড়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে ছিল।
advertisement
4/10
এই চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে এখনও প্রকাশিত না হওয়া একটি বই, ‘ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ: দ্য স্টোরি অফ অ্যান আনফিনিশড রেভলিউশন‘-এর মাধ্যমে। এই বইটি লিখেছেন দীপ হালদার, জয়দীপ মজুমদার এবং সাহিদুল হাসান খোকন।
advertisement
5/10
৫ অগাস্টের সেই সময় ভারতীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী যে কোনও বিমানকে ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল। বইটিতে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট দুপুর ১.৩০টা পর্যন্তও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনী প্রধানরা হাসিনাকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
advertisement
6/10
এরপর হাসিনার বোন শেখ রেহানা হাসিনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এমনকি হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদকে আমেরিকায় ফোন করা হয়েছিল। তিনিও হাসিনাকে ভারতে চলে যাওয়ার কথা বলেন। এমনকি যখন উন্মত্ত জনতা গণভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখনও হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ''দেশ ছেড়ে পালানোর চেয়ে মরতে রাজি আছি।"
advertisement
7/10
কিন্তু কী পরিবর্তন ঘটল?কিন্তু এর ঠিক এক মিনিটের মধ্যেই ভারতের এক শীর্ষ কর্মকর্তা হাসিনাকে ফোন করেন। সেই কর্মকর্তাকে হাসিনাও খুব ভাল ভাবেই জানতেন। যদিও ওই কর্মকর্তার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে বইটিতে। দুজনের কথোপকথন ঠিক কী ছিল? বইটিতে দাবি করা হয়েছে, “তা ছিল সংক্ষিপ্ত একটি কথোপকথন। ওই কর্মকর্তা শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এবং এখন যদি শেখ হাসিনা গণভবন ত্যাগ না করেন, তবে তাকে হত্যা করা হবে।'' সেই কর্মকর্তাই হাসিনাকে বলেন, ''লড়াই করার জন্যই বাঁচতে হবে।''
advertisement
8/10
এই কথা শুনেই হতবাক হয়ে যান হাসিনা। এরপর আধ ঘণ্টা সময় নিয়ে গণভবন ত্যাগ করেন। এই একটি বার্তাই সে সময় হাসিনা তার রক্তের চেয়েও বেশি বিশ্বাস করেছিলেন। তবে, গণভবন ছাড়ার আগে হাসিনা একটি বক্তৃতা রেকর্ড করার অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু সেই সময়টুকুও যে নেই, তা সেনাকর্তারা তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
advertisement
9/10
বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে এরপরই একটি এসইউভিতে চেপে হেলিপ্যাডে পৌঁছন হাসিনা। মাত্র দুটি স্যুটকেসে কাপড় নিয়ে তারা দিল্লিতে আসেন। দুপুর ২.২৩-এ, হেলিকপ্টারটি গণভবন থেকে উড়ে যায় এবং ২.৩৫-এ তেজগাঁও বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে।
advertisement
10/10
বইটিতে দাবি করা হয়েছে, “বিমানটি তেজগাঁও থেকে দুপুর ২.৪২-এ উড়ে যায়, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ভেদ করে প্রায় ২০ মিনিট পরে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের উপর দিয়ে ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশ করে।'' ওই দিনই সন্ধ্যাতেই হিন্দন এয়ারবেসে অবতরণ করে হাসিনার বিমান। সেখানে তাকে ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভাল স্বাগত জানান এবং হাসিনার নিরাপত্তার জন্য দিল্লির একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান।