'র্যাট হোল মাইনিং' কী...? শ্রমিক উদ্ধারে আশার আলো 'ইঁদুরের গর্ত'! চমকে দেবে এই 'টেকনিক'
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Knowledge Story || Rat Hole Mining: 'ইঁদুর গর্ত মাইনিং' কৌশলটি কী যা উদ্ধার প্রচেষ্টায় সবচেয়ে বড় আশার আলো হয়ে উঠেছে? উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে শ্রমিক উদ্ধারে কাজ করছে 'র্যাট হোল মাইনিং'। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক উদ্ধার এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
advertisement
1/11

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে শ্রমিক উদ্ধারে কাজ করছে 'র্যাট হোল মাইনিং'। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক উদ্ধার এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আটক শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য 'র্যাট হোল মাইনিং' কৌশল ব্যবহার করে ড্রিলিং করা শুরু হয়েছে আজ থেকে।
advertisement
2/11
টানেলের বন্ধ অংশে অবশিষ্ট ১০ মিটার ধ্বংসাবশেষ খনন করে একটি পথ তৈরি করতে ইতিমধ্যেই মোট বারোজন 'র্যাট হোল মাইনিং' বিশেষজ্ঞকে মোতায়েন করা হয়েছে।
advertisement
3/11
গত ১৬ দিন ধরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেলের ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, খনন কাজ শেষ হয়েছে এবং পাইপটি অবশেষে সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।
advertisement
4/11
কিছু এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ কর্মীরা ভিতরে ঢুকেছেন। পাইপের কিছু অংশ ধারালো হয়ে যাওয়ায় তা ঠিক করার কাজ শুরু হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য 'র্যাট হোল মাইনিং' কৌশল ব্যবহার করে ড্রিলিং করা হয়েছে।
advertisement
5/11
১২ জন ' র্যাট হোল মাইনিং ' বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হয়:উদ্ধারকাজে নেতৃত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার চারধাম যাত্রা রুটে নির্মাণাধীন টানেলের অবরুদ্ধ অংশে অবশিষ্ট ১০ মিটার ধ্বংসাবশেষ খনন করে পথ তৈরি করতে ১২ জন 'ইঁদুর গর্ত খনন বিশেষজ্ঞ' মোতায়েন করা হয়েছে।
advertisement
6/11
এর আগে ২৫ টন ওজনের ভারী ও শক্তিশালী আমেরিকান অগার মেশিন দিয়ে সুড়ঙ্গে অনুভূমিক খনন কাজ চলছিল। কিন্তু শুক্রবার এর অনেক অংশ ধ্বংসস্তূপে আটকে যাওয়ায় কাজ ব্যাহত হয়। তবে এর আগে তিনি ধ্বংসাবশেষের ভিতরে ৪৭ মিটার ড্রিল করেছিলেন।
advertisement
7/11
কিন্তু এই 'ইঁদুর গর্ত মাইনিং' কৌশলটি কী যা এই উদ্ধার প্রচেষ্টায় সবচেয়ে বড় আশার আলো হয়ে উঠেছে?
advertisement
8/11
ইঁদুর গর্ত মাইনিং কৌশল কী?ইঁদুরের গর্ত খনন একটি বিতর্কিত এবং বিপজ্জনক প্রক্রিয়া। এটি খুব ছোট গর্ত (৪ ফুটের বেশি চওড়া নয়) খনন করে কয়লা তোলার একটি অভিনব পদ্ধতি। খনি শ্রমিকরা কয়লা সীমায় পৌঁছে গেলে, কয়লা উত্তোলনের জন্য পাশে টানেল তৈরি করা হয়। উত্তোলিত কয়লা কাছাকাছি ডাম্প করা হয় এবং পরে উত্থিত করা হয়।
advertisement
9/11
ইঁদুর-গর্ত খনির মধ্যে, শ্রমিকরা ধ্বংসাবশেষ খনন এবং স্কুপ করার জন্য হাতে ধরা সরঞ্জাম (ছেনি এবং হাতুড়ি) ব্যবহার করে থাকেন। এটি মেঘালয়ের খনিগুলির ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি, যেখানে কয়লার স্তর খুব পাতলা। টানেলের আকার ছোট হওয়ার কারণে, এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর বা শিশুদেরও এতে কাজে লাগানো হয় সেখানে। অনেক শিশু এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার দাবি করে করে এই ধরনের খনিতে কাজ করে থাকে।
advertisement
10/11
মেঘালয়ে এই র্যাট হোল মাইনিং পদ্ধতির খনি শ্রমিকদের মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায়। ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮-এ কাসানের একটি কয়লা খনিতে বন্যার কারণে মারা যান ১৫ জন শ্রমিক। তাঁরা সেই সময় 'র্যাট হোল মাইনিং'-এর মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন করছিলেন।
advertisement
11/11
কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় খনিগুলির বিরুদ্ধে?২০১৪ সালে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) এই ধরনের খনির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৫ সালেও বজায় রাখা হয় নিষেধাজ্ঞা। তবে এই আদেশটি ছিল মেঘালয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এরপর এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে সেখানকার রাজ্য সরকার।