PM Modi Podcast: ‘গোধরা এক অকল্পনীয় ট্র্যাজেডি’, ‘ফেক ন্যারেটিভ’ নিয়ে বিরোধীদের একহাত নিলেন মোদি
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
PM Modi-Lex Fridman Podcast: সম্প্রতি নিখিল কামাথকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মোদি। রাজনীতির বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছিলেন। তবে ফ্রিডম্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকার ছিল অনেক বেশি রাজনীতিকেন্দ্রিক, অনেক বেশি ধারালো। মোদির দাবি, ২০০২-এর আগে অর্থাৎ তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ‘ফেক ন্যারেটিভ’ ছড়িয়ে দাঙ্গা বাঁধানো হত।
advertisement
1/6

‘অকল্পনীয়’। মার্কিন পডকাস্টার এবং এআই রিসার্চার লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোধরা-কাণ্ডকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর সঙ্গে জুড়ে দিলেন গুজরাত দাঙ্গাকেও। আর তার জন্য দায়ী করলেন গোধরাকে। তাঁর মতে, সেখান থেকেই “হিংসার আগুন জ্বলে উঠেছিল।’’
advertisement
2/6
সম্প্রতি নিখিল কামাথকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মোদি। রাজনীতির বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছিলেন। তবে ফ্রিডম্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকার ছিল অনেক বেশি রাজনীতিকেন্দ্রিক, অনেক বেশি ধারালো। মোদির দাবি, ২০০২-এর আগে অর্থাৎ তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ‘ফেক ন্যারেটিভ’ ছড়িয়ে দাঙ্গা বাঁধানো হত। সেই সময় ২৫০-এর বেশি সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং দাঙ্গা হয়েছিল।প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “…কিন্তু ২০০২-এর পর, এই ২২ বছরে গুজরাতে একটাও বড় দাঙ্গা হয়নি।“ তবে গুজরাত দাঙ্গার পর তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছিল বিরোধীরা, এমনটাই দাবি মোদির। Photo: PMO
advertisement
3/6
শেষ পর্যন্ত অবশ্য আদালত তাঁকে ক্লিনচিট দিয়েছে। তাঁর কথায়, “সেই সময় বিরোধীরা ক্ষমতায় (কেন্দ্রে)। ফলে আমার গায়ে কাদা ছেটানোর সব রকম চেষ্টা তারা করেছে। কিন্তু সফল হয়নি। আদালত সমস্ত দিক খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করে আমাদের নির্দোষ আখ্যা দিয়েছে, একবার নয়, দু’বার। আসল দোষীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে।’’ Photo: PMO
advertisement
4/6
২০০২-এর দাঙ্গায় প্রায় পুরো গুজরাত অশান্ত হয়ে ওঠে। ১০০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ঘরবাড়ি, দোকানপাট। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেই দাঙ্গা থেকে কী শিক্ষা নিয়েছেন মোদি? পডকাস্টে এই প্রশ্নই করেছিলেন ফ্রিডম্যান। জবাবে শুধু গুজরাত দাঙ্গা নয়, সেই সময় এবং তার আগের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন মোদি। তাঁর কথায়, “গুজরাত দাঙ্গার ১২-১৫ মাস আগে থেকে দেশে কী চলছিল? তাহলে আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারবেন, কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল।’’ Photo: PMO
advertisement
5/6
এরপর মোদি বলেন, “১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর কাঠমাণ্ডু থেকে দিল্লিগামী বিমান হাইজ্যাক হয়। নিয়ে যাওয়া হয় কান্দাহার। ১০০-এর বেশি ভারতীয়কে পণবন্দী করা হয়। এই ঘটনায় গোটা দেশ চমকে গিয়েছিল। জীবন-মৃত্যু যেন সরু সুতোয় ঝুলছে। তার পরের বছরই অর্থাৎ ২০০০ সালে লালকেল্লায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ এক জাতীয় বিপর্যয়। ২০০১-এ আমেরিকায় টুইন টাওয়ারে হামলা হয়। এই সব ঘটনার পিছনে একই ধরণের মানসিকতা কাজ করেছে। ২০০১-এর অক্টোবরে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গী হামলা হয়। ডিসেম্বরে সংসদে হামলা করে জঙ্গিরা।’’ Photo: PMO
advertisement
6/6
কয়েক মাসের মধ্যে এতগুলো ঘটনা। মোদির কথায়, “শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বেই তখন হানাহানি চলছে। প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। এই রকম অস্থির সময়ে একটা ছোট ঘটনাও বড় আকার নিয়ে নেয়। ২০০১-এর ৭ অক্টোবর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হই। সামনে তখন অনেক চ্যালেঞ্জ। সেই সময় গোধরার ঘটনা স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে। কিছু মানুষ হিংসায় উন্মত্ত হয়ে ওঠেন।’’ তবে এখন গুজরাত শান্ত। মোদি বলেন, “আমাদের মন্ত্র হল ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ। তোষণের নয়, উচ্চাকাঙ্খার রাজনীতি। গুজরাতকে উন্নত, বিকশিত রাজ্যের রূপ দেওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। আর আজ গুজরাত উন্নত ভারত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।'' Photo: PMO