Muskan Finally Breaks Down: জেলে অবশেষে ভেঙে পড়ল মুসকান,জেরার মুখে বলে ফেলল আসল সত্যিটা...সেই সত্যি, যা শুনে শিউরে উঠতে হয়
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
সৌরভ রাজপুতের স্ত্রী মুসকান রস্তোগী এবং তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা এখন জেলে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশি জেরায় অবশেষে ভেঙে পড়ল স্বামী খুনে অভিযুক্ত মুসকান রস্তোগী। গড়গড়িয়ে উগড়ে দিল সবটা সত্যি
advertisement
1/14

সৌরভ রাজপুতের স্ত্রী মুসকান রস্তোগী এবং তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা এখন জেলে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশি জেরায় অবশেষে ভেঙে পড়ল স্বামী খুনে অভিযুক্ত মুসকান রস্তোগী। গড়গড়িয়ে উগড়ে দিল সবটা সত্যি। পুলিশি জেরায় মুসকান জানায়, কেন সৌরভকে খুন করেছিল? খুনের আগে সৌরভের সঙ্গে তার কী কথা হয়?
advertisement
2/14
পুলিশি জেরায় মুসকান জানায়, খুনের দিন সৌরভের সঙ্গে তার মারামারি,কথা কাটাকাটি হয়। কারণ? মুসকান সৌরভের থেকে ডিভোর্স চাইছিল, কিন্তু সৌরভ তাকে ডিভোর্স দিতে রাজি হয় না। ২০২১ সাল থেকেই তাদের মধ্যে ডিভোর্সের মামলা চলছিল। মুসকান পুলিশকে এও জানায়, সে যে সাহিলের সঙ্গে প্রেম করছে, সেটাও জানত সৌরভ। কিন্তু তাও সে মুসকানকে ডিভোর্স দিতে চায় না। আর তাই সৌরভকে রাস্তা থেকে সরাতে তাকে খুনই করে মুসকান।
advertisement
3/14
মুসকান আর তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা মিলে খুন করে মেরাঠের মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে। পুলিশের কাছে মুসকান জানায়, সৌরভকে খুনের পর সে আর সাহিল হাঁটতে বার হয়। সেই সময় মুসকানের ব্যাগে ছিল সৌরভের কাটা মাথা আর পায়ের পাতা।
advertisement
4/14
মেরঠের মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত হত্যাকাণ্ডে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ! কী নৃশংসভাবে প্রেমিকের মদতে নিজের স্বামীকে খুন করে সৌরভের স্ত্রী মুসকান৷ স্বামীর দেহ কুকিকুচি করে কাটতেও তার বাঁধে নি! খুনের তদন্ত যত এগোচ্ছে, পুলিশের জেরার মুখে উঠে আসছে একের পর এক গায়ে কাঁটা ধরানো স্বীকারোক্তি
advertisement
5/14
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সৌরভকে কী ভাবে খুন করবে, আট দিন ধরে তারই মহড়া দিয়েছিল মুসকান। তদন্তকারীদের দাবি, পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শারদা রোড থেকে ৮০০ টাকায় দু’টি ছুরি কিনে এনেছিল মুস্কান। তার পর সেই ছুরি নিয়ে আট দিন ধরে মহড়া দেয়। মুসকান একটি রেজর ব্লেডও কিনে নিয়ে এসেছিল। সৌরভের বুকে ছুরি দিয়ে কোপানোর পর সেই ব্লেড দিয়ে গলার নলি কেটে দিয়েছিলেন মুসকান। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্লেডে সৌরভের রক্ত পাওয়া গিয়েছে।
advertisement
6/14
পুলিশি জেরায় সৌরভ রাজপুতের স্ত্রী মুসকান এবং স্ত্রীর প্রেমিক সাহিল জানায়, সৌরভকে খুন করে, তার দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার পর তাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল দেহ ট্রলিব্যাগে ভরবে। সেই পরিকল্পনা আচমকা বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় অভিযুক্তেরা।
advertisement
7/14
মুস্কানের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ট্রলিব্যাগ। পুলিশের সন্দেহ ওই ব্যাগেই সৌরভের দেহ ভরে লোপাটের পরিকল্পনা করেছিলেল মুসকান এবং সাহিল। পুলিশ সূত্রে খবর, মুসকানেরর ঘর থেকে যে ট্রলিব্যাগ উদ্ধার হয়েছে, তাতে রক্তের দাগ মিলেছে।
advertisement
8/14
এখানেই নৃশংসতার শেষ নয়! মুসকানের ঘর থেকে একটি মিক্সি গ্রাইন্ডারও পাওয়া গিয়েছে। আর তা থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধছে, তা হলে কি হাড়, মাংস ছোট ছোট টুকরো করার জন্য এই মিক্সি আনা হয়েছিল? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
advertisement
9/14
কী কারণে সৌরভকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছিল মুসকান-সাহিল? পুলিশি জেরায় দু'জনেই জানিয়েছে, দেহ টুকরো করার নেপথ্যে তাদের মূল লক্ষ ছিল, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সৌরভের দেহ শনাক্ত করতে না পারে।
advertisement
10/14
মুসকান ও সাহিল পুলিশকে জানায়, সৌরভের দেহাংশগুলি তারা একটা নীল ড্রামে ভরে মুখ সিমেন্ট দিয়ে এঁটে দিয়েছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল, সৌরভের দেহের টুকরোগুলি ড্রামে ভরে অন্য কোথাও ফেলে আসবে। পরে কখনও সেই ড্রাম কেউ উদ্ধার করলেও যাতে সৌরভকে শনাক্ত করা না যায়, সেই কারণেই দেহ কুচিকুচি করে কেটেছিল মুসকান-সাহিল
advertisement
11/14
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, সৌরভকে খুনের পর প্রথমে তাঁর দেহ ট্রলিব্যাগে ভরার চেষ্টা করেছিলেন মুসকান এবং সাহিল। কিন্তু সৌরভের দেহ ট্রলিব্যাগে আঁটছিল না। তারা ভয়ও পায়, দেহ ট্রলিব্যাগে ভরলে ধরা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই শেষমেশ, দেহ ট্রলিব্যাগ থেকে বার করে ড্রামে ভরে।
advertisement
12/14
মেরঠকাণ্ডের তদন্তে অভিযোগ উঠেছে, মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে খুনের জন্য একটি বিশেষ ঘুমের ইঞ্জেকশন ব্যবহার করেছিল তার স্ত্রী মুসকান! পুলিশ সূত্রে খবর, মেজোলাম নামে একটি ঘুমের ইঞ্জেকশন কিনেছিলেন সৌরভের স্ত্রী। অভিযোগ, ৩৩ টাকা দামের ওই ঘুমের ইঞ্জেকশনটি মুসকান সৌরভের শরীরে প্রয়োগ করেছিল।
advertisement
13/14
মুসকান এবং সাহিল যে সৌরভকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ড্রামে ভরে রেখে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দিয়েছিল, সেই তথ্য আগেই সামনে এসেছে৷ একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ৩ তারিখ রাতে মুসকান সৌরভের মায়ের রান্না করে দেওয়া কোফতার মধ্যে প্রথমে ঘুমের ওষুধ মেশায়৷ সেই খাবার খেয়ে সৌরভ আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেই সাহিলকে ফোন করে সে৷ সাহিল মুসকান এবং সৌরভের ভাড়া বাড়িতে আসার পর ঘুমন্ত সৌরভের উপরে চড়াও হয় দু'জনে৷ অসহায় সৌরভের তখন ন্যূনতম প্রতিরোধের ক্ষমতাও ছিল না৷
advertisement
14/14
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সৌরভকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে প্রথমে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে মুসকান ও সাহিল৷ এর পর সৌরভের দেহটি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ক্ষুর দিয়ে ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দেয় সাহিল৷ কব্জির কাজ থেকে সৌরভের হাতের দুটি পাতাও কেটে নেয় সে৷