Meghalaya Honeymoon Case: মেঘালয় নয়, স্বামী রাজাকে মারতে প্রথমে কোন জায়গায় যাওয়ার ছক ছিল সোনমের জানেন? ভেস্তে যায় দেশের এক বিরাট ঘটনায়! শুনে চমকে উঠবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Meghalaya Honeymoon Case: মেঘালয়ের পাহাড়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী সোনম রঘুবংশী এবং তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়ার বিরুদ্ধে।
advertisement
1/13

মেঘালয় কাণ্ডে রহস্যফাঁস করে ফেলেছে পুলিশ। ধরা পড়ে গিয়েছেন নববধূ সোনম রাজবংশী। মেঘালয় পুলিশ সূত্রে খবর, রাজাকে খুন করতেই মধুচন্দ্রিমায় পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনম। মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিয়েছিলেন দেশের অন্য প্রান্তের একটি রাজ্য মেঘালয়কে। পুলিশের আরও দাবি, বিয়ের আগে রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই এই হত্যার ছক কষেন সোনম।
advertisement
2/13
মেঘালয়ের পাহাড়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী সোনম রঘুবংশী এবং তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়ার বিরুদ্ধে। খুনের ছক কষার কথা স্বীকারও করেন সোনম। এবার সেই খুনের রহস্যভেদে মেঘালয় পুলিশ চালাচ্ছে ‘অপারেশন হানিমুন।’
advertisement
3/13
তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজা এবং সোনম ২০২৫ সালের ১১ মে ইন্দোরে বিয়ে করেন। ৯ দিন পর ২০ মে তাঁরা মধুচন্দ্রিমার জন্য রওনা দেন। নবদম্পতির প্রথমে কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু পেহলগাঁওতে জঙ্গি হামলার খবর পেয়ে তাঁরা মেঘালয়কে বেছে নেন।
advertisement
4/13
২২ মে একটি স্কুটার ভাড়া করে তাঁরা মাওলাখিয়াত গ্রামে পৌঁছন। স্কুটার পার্ক করে উপত্যকা থেকে তিন হাজার সিঁড়ি বেয়ে নেমে নোংরিয়াত গ্রামের বিখ্যাত 'জীবন্ত শিকড়' সেতু দেখতে যান। সেখানে তাঁরা একটি হোমস্টেতে রাত কাটিয়ে পরের দিন সকালে চলে যান।
advertisement
5/13
২৩ মে সকাল ৬টা নাগাদ হোমস্টে থেকে চেক আউট করে স্কুটারে চেপে ঘুরতে বেরিয়ে যান দু’জনে। এরপরেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাঁদের। ২৪ মে শিলং থেকে সোহরার রাস্তার উপর একটি ক্যাফের বাইরে স্কুটারটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। এরপরেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে মেঘালয় পুলিশ। প্রবল বৃষ্টির কারণে অভিযান ব্যাহত হয়েছিল কিছু দিন।
advertisement
6/13
২ জুন পুলিশ ওয়েই সওডং জলপ্রপাতের কাছে খাদের মধ্যে রাজার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। তাঁর মুখ দেখে প্রথমে চিনতে পারেনি পুলিশ। কিন্তু হাতের ট্যাটু দেখে নিশ্চিত হয় যে দেহটি রাজারই। ময়নাতদন্তে দেখা যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাজার মাথায় দু’বার আঘাত করা হয়েছে। এরপরেই তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন যে তাঁকে খুনই করা হয়েছে। সোনম তখনও নিখোঁজ। তাঁর খোঁজ জারি রাখে পুলিশ।
advertisement
7/13
৪ জুন তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে আরও প্রমাণ পান। যার মধ্যে ছিল একজন মহিলার সাদা শার্ট, এক পাতা ওষুধ, একটি ক্ষতিগ্রস্ত মোবাইল ফোনের স্ক্রিন এবং একটি স্মার্টওয়াচ। খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ। ইন্দোরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রাজেশ দণ্ডতীয়া জানিয়েছেন, রাজ এবং সোনম ১৮ মে রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করেন। রাজই বিশাল চৌহান, আনন্দ কুমার এবং আকাশ রাজপুতকে ভাড়া করেন খুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে। ১৯ মে সোনম রাজাকে রাজি করান মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা করতে যেতে। ২০ মে তাঁরা গন্তব্যে রওনা দেন। এরপরই হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয় ২৩ মে।
advertisement
8/13
এদিকে, ইন্দোর পুলিশ জানতে পেরেছে, রাজাকে মারার পরে সোনম রঘুবংশী ২৫ থেকে ২৭ মের মধ্যে ইন্দোরে ছিল। সেখানকার দেওয়াস নাকা এলাকার একটি ভাড়া করা ঘরে সোনমকে রাখে রাজ। এর পর রাজ গাড়িতে সোনমকে সরাসরি বারাণসী পাঠায়।
advertisement
9/13
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ৮ জুন সোনম বারাণসী আইএসবিটি থেকে গোরখপুরের উদ্দেশে একটি বাসে উঠেছিল। সম্ভবত গোরখপুর থেকে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু ৬৫ কিলোমিটার যাওয়ার পরে, রাজ গ্রেফতার হওয়ার খবর পেতেই নন্দগঞ্জের কাছে একটি ধাবার সামনে তিনি বাস থেকে নেমে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বাসে ওঠার আগে বারাণসী আইএসবিটিতে তাকে দুই যুবকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল।
advertisement
10/13
এরই মাঝে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন ইন্দোর পুলিশ। ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ইন্দোরের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'রাজ কুশওয়াহা দাবি করেছে, সে নাকি সোনমকে সমর্থন করতে চায়নি এবং শেষ মুহুর্তে মেঘালয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও বাতিল করে। সে বাকি তিনজনকেও যেতে নিষেধ করেছিল। তবে সোনম টিকিট কাটার পর তারা মেঘালয়ে চলে যায়। এমনকি শেষ মুহূর্তে তিনজন খুন করতে অস্বীকার করলেও সোনম জেদ ধরে এবং তাদের ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলে জানায়। পুলিশ এই দাবিগুলি যাচাই করছে।''
advertisement
11/13
কী থেকে প্রথম সোনমের উপর সন্দেহ হয় পুলিশের? পুলিশের দাবি, হানিমুন ট্রিপে মেঘালয়ের মাওলাখিয়াত গ্রামের কাছে নির্জন ‘ডবল ডেকার ব্রিজ’-এ হাইকিংয়ে গিয়ে রাজাকে খুন করা হবে বলেই গাইড নিতে চাননি নববধূ সোনম। মাওলাখিয়াত গ্রামের স্থানীয় গাইড পিডি অ্যালবার্ট জানিয়েছিলেন, গাইড নিতে চাননি রাজা-সোনম।
advertisement
12/13
২৩ মে সকাল ১০টা নাগাদ রাজা ও সোনমকে লংরিয়াট গ্রামে ‘ডবল ডেকার ব্রিজ’ হাইকিংয়ে যেতে দেখেছিলেন তিনি। সেখানে তাঁদের সঙ্গে আরও তিনজন ব্যক্তির উপস্থিতির কথা গাইডই প্রথম জানায় পুলিশকে। সেই তথ্যই পুলিশকে নাড়িয়ে দেয়। এরপরই পুলিশ বুঝতে পারে, হয়ত সোনমের কিছুই হয়নি। এরপরেই তদন্তের জাল আরও ছড়ায় পুলিশ। শেষমেশ আসে সাফল্য।
advertisement
13/13
পুলিশ তদন্তে জানা যায়, বিয়ের আগে রাজ কুশওয়াহা নামে এক যুবকের সঙ্গে সোনমের প্রেম ছিল। প্রেমের পথ থেকে রাজাকে সরিয়ে দিতে মধুচন্দ্রিমায় শিলং গিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে আরও দাবি, বিয়ের পরেও রাজ ও সোনমের যোগাযোগ ছিল। সোনম রাজাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন এবং প্রেমিকের সঙ্গে শিলংয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের।