দুঃসময় ঘনিয়ে আসছে ভারতের! ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে কী কী বড় ক্ষতি হবে দেশের?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
ইরান ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং সেখানে ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বর্তমানে চালু রয়েছে। কিন্তু ইজরায়েল-ইরান সংঘাত এই প্রকল্পগুলিতে গুরুতর ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
advertisement
1/13

ভারত ও ইরানের মধ্যে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। ইরান ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং সেখানে ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বর্তমানে চালু রয়েছে। কিন্তু ইজরায়েল-ইরান সংঘাত এই প্রকল্পগুলিতে গুরুতর ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
2/13
এতে বাণিজ্যে দেরি, পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হতে পারে, কারণ উভয় দেশই ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
3/13
ইরানে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল চাবাহার বন্দর। চাবাহার বন্দরের Shahid Beheshti Terminal-এর উন্নয়নে ভারত প্রায় ৮৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এই টার্মিনালের জন্য ভারত ক্রেন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
4/13
করেছে। চাবাহার বন্দর ভারতের জন্য একটি কৌশলগত গেটওয়ে, যার মাধ্যমে ভারত আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া ও ইউরেশিয়ান দেশগুলির সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ রাখতে পারবে। এটি চিনের গওয়াদার বন্দরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সক্ষম। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
5/13
ভারত ও ইরান যৌথভাবে চাবাহার-জাহেদান রেল প্রকল্পও সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করছে। প্রায় ৭০০ কিমি দীর্ঘ এই রেললাইনটি চাবাহার বন্দরের সঙ্গে জাহেদানকে যুক্ত করবে এবং মালবাহী পণ্যের চলাচল অনেক সহজ করবে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
6/13
অপরদিকে, ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর (INSTC) হল একটি ৭,২০০ কিমি দীর্ঘ মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট করিডোর, যার মাধ্যমে ভারত, ইরান, আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, রাশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে পণ্য পরিবহণ করা হবে। চাবাহার বন্দর এই করিডোরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
7/13
এই প্রকল্প ভারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ও আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াতে সাহায্য করবে। যদিও এই করিডোর এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি, কিছু অংশ ইতিমধ্যেই ব্যবহৃত হচ্ছে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
8/13
ভারত ও ইরানের মধ্যে জ্বালানি খাতেও ঐতিহাসিক সহযোগিতা রয়েছে। ২০১৯ সালের আগে ইরান থেকে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেলের চাহিদার প্রায় ১২ শতাংশ পূরণ হত। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান থেকে তেল আমদানি অনেকটা কমে গেছে। তবুও, ভবিষ্যতে এই জ্বালানি সহযোগিতা পুনরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
9/13
তবে সামরিক সংঘাত ও আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে চাবাহার বন্দর ও চাবাহার-জাহেদান রেল প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলির নির্মাণ ও কার্যকারিতা বিলম্বিত হতে পারে। প্রকল্পে নিযুক্ত ভারতীয় কর্মীদের নিরাপত্তার কারণে ইরান থেকে সরিয়ে আনা হতে পারে, যেমন সম্প্রতি অপারেশন সিন্ধুর মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হতে পারে, যা ভবিষ্যতের বিনিয়োগকে প্রভাবিত করবে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
10/13
সংঘাতের ফলে পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর বা সুয়েজ খালের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ বিঘ্নিত হতে পারে, যার ফলে জাহাজ পরিবহণ খরচ ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এটি ভারতের আমদানি ও রপ্তানি—উভয় ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলবে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম \$১০০ প্রতি ব্যারেলের উপরে পৌঁছে যেতে পারে, যার ফলে ভারতে পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম বাড়বে। ইরান ও ভারতের মধ্যে চালু থাকা বাণিজ্য যেমন শুকনো ফল, রাসায়নিক, সিমেন্ট, লবণ ও জ্বালানি পণ্যের আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হতে পারে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
11/13
এছাড়াও, পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং মূল্যবৃদ্ধি দেখা দেবে। ভারতীয় রুপির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে দুর্বল হলে আমদানি খরচ বাড়বে, যার ফলে দেশের অর্থনীতির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
12/13
এই অবস্থায় ভারতের পররাষ্ট্রনীতি এক জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি। কারণ একদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে, অপরদিকে ইরান ভারতের জ্বালানি ও বাণিজ্যিক কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এই দুই দেশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা ভারতের জন্য এক কৌশলগত দুঃসাধ্য চ্যালেঞ্জ। (Representative Image: AI Generated)
advertisement
13/13
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—ভারতের প্রকল্প, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতেও এর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। চাবাহার বন্দর, INSTC করিডোর ও জ্বালানি খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত হিসেব করে পা ফেলতে হবে এবং সময়ের আগেই প্রস্তুতি নিয়ে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলা করতে হবে। (Representative Image: AI Generated)