সে আমার পাশেই শুতে চাইছিল... ট্রেনের স্লিপার কোচে ভোর ৪টেতে আচমকা ভাঙল ঘুম, যা দেখল তরুণী, মুহূর্তে কাঁপতে শুরু করল বুক!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Indian Railways: সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল প্রায়ই এমন সব ভিডিও ছড়িয়ে পরে যা দেখলে শিউরে উঠতে হয়। আসলে রাস্তা ঘাটে, ট্রেনে, বাসে এমন এমন সব ঘটনার সম্মুখীন হন মানুষ যা দেখলে স্থির থাকা দায়। আর হাতে স্মার্ট ফোনে সেই সব অভিজ্ঞতাই ফোন বন্দি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন অনেকে। যা মুহূর্তের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে আসমুদ্রহিমাচল।
advertisement
1/12

সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল প্রায়ই এমন সব ভিডিও ছড়িয়ে পরে যা দেখলে শিউরে উঠতে হয়। আসলে রাস্তা ঘাটে, ট্রেনে, বাসে এমন এমন সব ঘটনার সম্মুখীন হন মানুষ যা দেখলে স্থির থাকা দায়। আর হাতে স্মার্ট ফোনে সেই সব অভিজ্ঞতাই ফোন বন্দি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন অনেকে। যা মুহূর্তের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে আসমুদ্রহিমাচল।
advertisement
2/12
সম্প্রতি একটি ট্রেনের এমনই একটি চরম অভিজ্ঞতার ভিডিও শেয়ার করেছিলেন এক তরুণী যা এই মুহূর্তে ঝড় তুলেছে গোটা দেশে। একটি ট্রেনের কোচের ভয়ঙ্কর গায়ে কাঁটা দেওয়া সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ওই তরুণী যা দেখে চমকে উঠবেন আপনিও।
advertisement
3/12
ভাইরাল এই ভিডিওতে ভারতীয় রেলের একজন মহিলা যাত্রী তাঁর রেলযাত্রার ভয়ানক অভিজ্ঞতার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে।
advertisement
4/12
মেয়েটি বর্ণনা করেছেন কীভাবে ট্রেনটি ছাড়ার পর মুহূর্তের মধ্যে অসংরক্ষিত যাত্রীতে ভরে গিয়েছিল একটি স্লিপার কোচের সংরক্ষিত কামরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে মেয়েটি সারা রাত দু'চোখের পাতা এক করতে পারছিলেন না।
advertisement
5/12
ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে নেহা নামে এক মহিলা শেয়ার করেছেন। তিনি একটি স্লিপার কোচে যাত্রাকালীন তাঁর ভ্রমণের হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ট্রেনে এত ভিড় ছিল যে কিছু লোক তার সংরক্ষিত লোয়ার বার্থের ধারেই এসে বসে পড়েছিল। সেখানেই শেষ নয়। রাত বাড়ার পর যা ঘটল তা আরও ভয়ানক।
advertisement
6/12
ভিডিওতে, নেহা দেখিয়েছেন কী ভাবে ট্রেনের টয়লেটে যাওয়ার করিডোরটি লোকে লোকারণ্য হয়ে ছিল। কিছু লোক তাঁর সিটের সামনে বসেছিল। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, "আমি সত্যিই বিরক্ত। ট্রেনে সর্বত্র খালি মানুষই মানুষ। দেখুন, এখন পরিস্থিতি এই ট্রেনে।"
advertisement
7/12
ক্যাপশনে নেহা লিখেছেন, "আমার প্রোফাইলে দ্বিতীয় ভিডিওটি দেখুন। অবশেষে আমি আমার আসনটি পেয়েছি। উত্তর ভারতে ভ্রমণের সময় আপনাকে হয়ত এমনই যা কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি যতটা সম্ভব সহ্য করছি, আর কীই বা করতে পারি? কিছুতেই কিছু বদলাবে না। আমি অন্তত যা করতে পারি তা হল এটিকে সবার সামনে তুলে ধরা।"
advertisement
8/12
তাঁর প্রোফাইল থেকে নেহা আরেকটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে কিছু পুরুষ তার বার্থের ধারে বসে আছেন। ঘুমের মধ্যে আচমকা চোখ খুলে যা আবিষ্কার করে তাঁর অবস্থা কার্যত শোচনীয়। মনে হচ্ছে তাঁরা প্রায় তাঁর বার্থেই শুয়ে পড়তে চলেছে।
advertisement
9/12
তরুণী লিখেছেন, "এই যাত্রা সহজ ছিল না। আমি কোনওক্রমে রাতটি পার করতে পেরেছি। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে আমি এমনকি রেল হেল্পলাইন নম্বর ১৩৯-এ ফোনও করেছিলাম, কিন্তু কেউ আসেনি। আমি ওই পুরুষদের দোষ দিচ্ছি না। সম্ভবত তাঁদের উদ্দেশ্য খারাপ ছিল না। তাঁরা কেউ কেউ কেউ আমার দিকে তাকিয়ে ছিল, যা খুবই অস্বস্তিকর। কিন্তু আমি ওদের অসহায় অবস্থাও বুঝতে পেরেছিলাম।"
advertisement
10/12
তিনি আরও লিখেছেন, "ওঁদের উদ্দেশ্য ভুল নাও হতে পারে, কিন্তু এভাবে আমার সিটে জোর করে ঢুকে পড়াটা আমাকে প্রভূত অস্বস্তিতে ফেলেছে। আমি আমার সিট বুক করেছি এবং টাকা দিয়েছি, তাই আমার জিজ্ঞাসা করার অধিকার আছে। বুকিং না করলেও, যদি কোনও পুরুষ অনুপযুক্ত আচরণ করত, তাহলে আমি কথা বলতাম। যাই হোক, অবশেষে আমি আমার সিট পেয়ে গিয়েছি।"
advertisement
11/12
মেয়েটি তাঁর পোস্টে বলেন, "যারা এই পোস্ট রেল কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করেছেন এবং আমার বার্তাটি ফরোয়ার্ড করেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। আমি এখন বুঝে গিয়েছিল উত্তর ভারতে ট্রেন ভ্রমণ কেমন হতে পারে। আমি পুরো উত্তর ভারতকে দোষ দিচ্ছি না। আমি কেবল আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।" এই পোস্টটি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই নেহাকে সমর্থন করেছেন।
advertisement
12/12
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন। মহিলাদের নিরাপত্তার সঙ্গে এই ভাবে আপস করা উচিত নয়, বিশেষ করে সংরক্ষিত কোচগুলিতে।" আরেকজন আরও লিখেছেন, "এই সমস্যাটি খুবই সাধারণ, কিন্তু মানুষ কথা বলতে বা প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। রেলের উচিত সংরক্ষিত কোচগুলির যাত্রী নিরাপত্তার দিকটা আরও বেশি নিশ্চিত করা।" এই বিষয়ে অবশ্য ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে বর্তমানে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।