ট্রেনের AC কামরায় কোন 'কাজ' করলে আপনার 'জেল' হতে পারে জানেন...? 'উত্তর' শুনলেই চমকাবেন!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Indian Railways: ভারতীয় রেল দেশের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাত্রা এই রেলপথে। তাঁদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ সুনিশ্চিত করতে রেলের তরফে রয়েছে একাধিক ছোট বড় পরিষেবা। আবার একইসঙ্গে রেলের নিয়মও রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যাতে কোনও যাত্রীর কারণে অপর যাত্রী বা রেলের কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
advertisement
1/12

ভারতীয় রেল দেশের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাত্রা এই রেলপথে। তাঁদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ সুনিশ্চিত করতে রেলের তরফে রয়েছে একাধিক ছোট বড় পরিষেবা। আবার একইসঙ্গে রেলের নিয়মও রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যাতে কোনও যাত্রীর কারণে অপর যাত্রী বা রেলের কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
advertisement
2/12
আমরা দেখেছি ট্রেনে বিভিন্ন ধরণের কামরা থাকে। সাধারণ কামরায় ভ্রমণ করার সময়, আপনাকে সাধারণত নিজস্ব কম্বল-চাদর ইত্যাদি বহন করতে হয়। কিন্তু যখন আপনি ট্রেনের এসি বগিতে ভ্রমণ করেন, তখন রেলওয়ে আপনাকে ম্যাট, বালিশ, কম্বল ইত্যাদি সরবরাহ করে।
advertisement
3/12
ভারতীয় রেল এসি কোচে যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য চাদর, বালিশ এবং কম্বলের মতো জিনিসপত্র সরবরাহ করে। তবে, এই জিনিসপত্রগুলি কেবল যাত্রার সময় ব্যবহারের জন্য এবং যাত্রা শেষ হওয়ার পরে এগুলি ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক।
advertisement
4/12
কিন্তু অনেকেই রেলকর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে এই বিছানার চাদর-কম্বল ইত্যদি বাড়িতে নিয়ে চলে যান, এমনকি কেউ কেউ বেখেয়ালেও একটা করে থাকতে পারেন। কিন্তু কী হবে এমন করলে? কী হতে পারে? কী বলে রেলের নিয়ম। জানা জরুরি।
advertisement
5/12
রেলের নিয়ম অনুযায়ী এই জিনিসপত্রগুলি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া 'রেলের সম্পত্তির চুরি' বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু কেউ যদি এটা করে ফেলেন, তাহলে কী হতে পারে তাঁর সঙ্গে? আইন কী বলে?
advertisement
6/12
১৯৬৬ সালের ভারতীয় রেল আইনের ৩ নং ধারায় রেল সম্পত্তি চুরি বা ক্ষতির ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। প্রথমবার অপরাধ করলে ১ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
advertisement
7/12
বারবার অপরাধ বা গুরুতর লঙ্ঘনের ফলে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং বড় অঙ্কের জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। তাই ভুলেও করবেন না এই কাজটি।
advertisement
8/12
রেল পরিদর্শন এবং ক্ষয়ক্ষতি:রেল সুরক্ষা বাহিনী (RPF) দফায় দফায় ট্রেনগুলি তল্লাশি করে। যদি কোনও যাত্রীকে কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই বিছানার চাদর, বালিশ বা কম্বল বহন করতে দেখা যায় এবং তিনি তা ফেরত না দেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
advertisement
9/12
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ সালে শুধুমাত্র পশ্চিম রেল বিভাগেই লক্ষ লক্ষ লিনেন জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়, যার ফলে রেলের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
advertisement
10/12
হিসেব অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ সালে ট্রেনের কামরা থেকে মোট ১.৯৫ লক্ষ তোয়ালে, ৮১,৭৭৬ চাদর, ৫০৩৮ বালিশের কভার এবং ৭০৪৩ কম্বল চুরি হয়েছে।
advertisement
11/12
এক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীদের কী করা উচিত?প্রসঙ্গত, করোনাকালে রেল এই চাদর এবং কম্বল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার তা শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র এসি ক্লাসের যাত্রীদের দুটি চাদর, একটি কম্বল, একটি বালিশ, একটি বালিশের কভার এবং একটি তোয়ালে দেওয়া হয়।
advertisement
12/12
যাত্রা শেষে ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার আগে চাদর, বালিশ এবং কম্বলের মতো রেলের তরফে দেওয়া সমস্ত জিনিসপত্র ট্রেন পরিচারকের কাছে ফেরত দিতে হবে। তা না করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের মতো গুরুতর পরিণতি হতে পারে।