Indian Railway Sleeping Rule: এসি-স্লিপার কোচে 'ঘুমানোর' নিয়মে বড় চেঞ্জ! ট্রেনে ওঠার আগে জানুন নতুন নিয়ম! দেখে নিন বার্থ রুলস

আপনি যদি দূরপাল্লার ট্রেনে প্রায়ই ভ্রমণ করেন, তবে এই খবরটি আপনার জন্য জরুরি। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সময়ে সময়ে নিয়ম বদল করে ভারতীয় রেল। সম্প্রতি এমনই একটি নিয়মে পরিবর্তন এনেছে রেল। ট্রেনে যাত্রীদের ঘুমানোর সময় পরিবর্তন করেছে রেল।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনে যাত্রীদের ঘুমানোর সময় আগের তুলনায় কমেছে। আগে যাত্রীরা তাদের যাত্রায় ৯ ঘণ্টা ঘুমাতে পারতেন। কিন্তু এখন এই সময় কমিয়ে ৮ ঘণ্টা করা হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন আপনি রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘুমাতে পারবেন। আগে এই সময় ছিল রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত।

যে সমস্ত ট্রেনে ঘুমের ব্যবস্থা আছে সেই ট্রেনগুলিতে এই নিয়ম ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে। দূরপাল্লার যাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারেন সেইজন্য রেলওয়ে নিয়মে এই পরিবর্তন করেছে।

সকাল ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সময় ঘুমের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার আগে, যাত্রীদের অভিযোগ ছিল, মধ্যম বার্থে বসা যাত্রীরা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন এবং ভোর পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকেন।

পুরনো সময়সূচি অনুযায়ী রাত ন'টা বাজতে না বাজতেই যাত্রীদের মধ্যে মধ্যম বার্থের যাত্রী শোওযার তোড়জোড় করলে এতে নীচের সিটে বসা যাত্রীদের সমস্যা হয়। এ নিয়ে অনেক সময় যাত্রীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক লেগে যায়।

নতুন নিয়মে এই ধরণের ঝামেলা থেকে বাঁচবেন যাত্রীরা। এখন যেহেতু ঘুমানোর সময় কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে, তাই যেকোনও অবস্থায় যাত্রীদের সকাল ৬টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠতে হবে।

এই নিয়ম অনুসারে, যাত্রীরা কেবল রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত মিডল বার্থ বা মধ্যম বার্থটি খোলা রাখতে পারবেন।

প্রকৃতপক্ষে, এটি দীর্ঘ সময় ধরে খোলা থাকলে, নীচের বার্থের যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। নতুন নিয়মে নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে, আপনি যাত্রীকে সিট খুলতে এবং ঘুমাতে বাধা দিতে পারেন।

এক্ষেত্রে সকাল ৬টার মধ্যেই আপনাকে মধ্যম বার্থ বন্ধ করে নীচের আসনে বসতে হবে। এমনটা না করলে ওই বিরুদ্ধে ব্যবস্থা পর্যন্ত নেওয়া হতে পারে।

এছাড়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সংরক্ষিত টিকিটধারী যাত্রীদের মধ্যে নিম্ন বার্থে ভ্রমণকারীরা রাত ১০ টার আগে বা সকাল ৬ টার পরে চাইলেই তাঁদের সিটে ঘুমাতে পারবেন না। কোনও যাত্রী এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যেতে পারে।