চিন যেভাবে পাকিস্তানকে শক্তিশালী করছে, আর উপায় নেই! নতুন চাল, কোন দেশের সঙ্গে হাত মেলাল ভারত?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
সীমান্তের দুই পাশে—একদিকে পাকিস্তান, অন্যদিকে চিন দুই শত্রু প্রতিবেশীর উপস্থিতিতে ভারতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ দিনে দিনে বাড়ছে। পাকিস্তান জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বিশ্বজুড়ে কুখ্যাত, আর চিনের দখলদার নীতি বিশ্ববাসীর অজানা নয়।
advertisement
1/12

চিন যেভাবে সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় দেওয়া পাকিস্তানকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বিক্রির পরিকল্পনা করছে, তাতে ভারতের উদ্বেগ স্বাভাবিক। এই পরিস্থিতিতে ভারত নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক করতে বাধ্য হয়েছে।
advertisement
2/12
সীমান্তের দুই পাশে—একদিকে পাকিস্তান, অন্যদিকে চিন—দুই শত্রু প্রতিবেশীর উপস্থিতিতে ভারতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ দিনে দিনে বাড়ছে। পাকিস্তান জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বিশ্বজুড়ে কুখ্যাত, আর চিনের দখলদার নীতি বিশ্ববাসীর অজানা নয়।
advertisement
3/12
এই প্রেক্ষাপটে ভারত মিসাইল ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম উন্নত করার পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তিতে যুদ্ধবিমান তৈরির দিকে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে Advanced Medium Combat Aircraft (AMCA)—একটি সম্পূর্ণ ভারতীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নির্মাণের পরিকল্পনা।
advertisement
4/12
ভারতে তৈরি হবে শক্তিশালী জেট ইঞ্জিন, ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমানের জন্য আর খরচ হবে না ট্রিলিয়ন টাকা! F-35 ও রাফালের আমদানিও থেমে যেতে পারে চিন যেভাবে পাকিস্তানকে শক্তিশালী করছে, আর উপায় নেই!
advertisement
5/12
এই লক্ষ্যপূরণে বড়সড় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ও ফরাসি সংস্থা Safran Aircraft Engines-এর মধ্যে। এই চুক্তি অনুযায়ী, অতি আধুনিক LEAP ইঞ্জিন-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ এখন থেকে ভারতে তৈরি হবে। এর ফলে যেমন ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযান আরও গতি পাবে, তেমনি দেশেই ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান তৈরির সম্ভাবনা জোরালো হবে।
advertisement
6/12
এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ৫৫তম আন্তর্জাতিক প্যারিস এয়ার শো-তে, যেখানে HAL-এর পক্ষ থেকে সই করেছেন এলসিএ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার আবদুল সালাম এবং সাফরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট (পারচেজিং) ডমিনিক ডুপুই। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে HAL ও Safran একটি MoU স্বাক্ষর করেছিল, যা LEAP ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ উৎপাদনে যৌথ সহযোগিতা গড়ার কথা বলেছিল।
advertisement
7/12
HAL চেয়ারম্যান ডি কে সুনীল বলেছেন, “Safran-এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি এই অংশীদারিত্ব আমরা গর্বের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছি। এই চুক্তি আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াবে এবং Inconel Forging Technology-তে আত্মনির্ভরতার দিকেও এগিয়ে দেবে।”
advertisement
8/12
LEAP ইঞ্জিনের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হচ্ছে—উচ্চ থ্রাস্ট ও জ্বালানিতে সাশ্রয়ী। এই ইঞ্জিন লাগানো যুদ্ধবিমান বেশি গতিতে কম জ্বালানিতে বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে পারে। এর টার্বোফ্যান প্রযুক্তি গতি বাড়াতে বড় ভূমিকা নেয়। পাশাপাশি, অন্যান্য যুদ্ধবিমানের তুলনায় কম পরিবেশদূষণ ঘটায়।
advertisement
9/12
পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রে গতি ও স্টেলথ ক্ষমতা (রাডার এড়িয়ে চলার ক্ষমতা) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। LEAP ইঞ্জিন সেই লক্ষ্য পূরণে বড় ভূমিকা নিতে পারে। ফলে এই ইঞ্জিন ভারতে তৈরি হলে, দেশের নিজস্ব স্টেলথ ফাইটার জেট তৈরির পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
advertisement
10/12
বিশ্বের একাধিক বড় বিমান সংস্থা ইতিমধ্যেই LEAP ইঞ্জিন ব্যবহার করে। এবার সেই ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশই যখন দেশের মাটিতে তৈরি হবে, তখন ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নির্মাণের স্বপ্ন আর দূরে নয়।
advertisement
11/12
ফিফথ জেনারেশন জেট আর বিদেশ থেকে কেনার দরকার হবে না? চিন যখন পাকিস্তানকে ফিফথ জেনারেশন জেট দিতে উদ্যোগী, ভারতও তার সমকক্ষ জবাব দিতে তৈরি। শুধু বিদেশ থেকে আমদানি নয়, এখন নিজের প্রযুক্তিতেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। এতে যেমন টাকার সাশ্রয় হবে (যার পরিমাণ ট্রিলিয়ন টাকায় পৌঁছাত), তেমনি কৌশলগত দিক থেকে ভারতের আত্মনির্ভরতা আরও দৃঢ় হবে।
advertisement
12/12
যুদ্ধবিমান আমদানির যুগ থেকে দেশীয় উৎপাদনের যুগে ভারত এখন এক বড় ঐতিহাসিক পালাবদলের মুখে দাঁড়িয়ে। F-35 বা রাফালের মতো বিদেশি বিমানের উপর নির্ভরতা হয়তো ভবিষ্যতে অনেকটাই কমে যাবে—সেই সম্ভাবনাই তৈরি হচ্ছে আজকের এই চুক্তির মাধ্যমে।