সীমান্তে কেন বিপুল সেনা মোতায়েন? মস্কোর বৈঠকে জবাব দিতে পারল না চিন
- Published by:Debamoy Ghosh
- news18 bangla
Last Updated:
সীমান্তে যে ভাবে চিনের তরফে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, বৈঠকে তা নিয়েও কড়া আপত্তি জানায় ভারত৷
advertisement
1/8

সীমান্তে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে মস্কোতে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করলেন ভারত এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও ওয়াং ই৷ বৈঠকে ভারতের তরফে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, সীমান্তে উত্তেজনা বজায় থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপরে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য৷ ফলে দুই দেশের স্বার্থেই দ্রুত সীমান্ত সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন৷ একই সঙ্গে চিন যেভাবে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে, তা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে ভারত৷
advertisement
2/8
যদিও চিনের তরফে বৈঠকের শেষে ভারতের এই অবস্থানের কথা স্বীকার করা হয়নি৷ সেখানে তারা দাবি করেছে, সীমান্ত পরিস্থিতির উপরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নির্ভর করে না ভারত৷ যদিও ভারত এবং চিন দু'টিই উন্নয়নশীল দেশ বলে বিবৃতিতে স্বীকার করে নিয়ে চিনা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংঘাতের বদলে দুই দেশের সহযোগিতাই প্রয়োজন৷
advertisement
3/8
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠকে ভারত একথাও বলেছে যে সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষের সদিচ্ছা এবং সময় দুই-ই যেমন প্রয়োজন, একই সঙ্গে সীমান্তে শান্তি না ফিরলে ভবিষ্যতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়৷
advertisement
4/8
ভারত অবশ্য চিনের মতো একক বিবৃতি প্রকাশ না করে যৌথ প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে৷ তাতে বলা হয়েছে, সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি ভারত- চিন দুই দেশের কারও স্বার্থের পক্ষেই ঠিক নয়৷ দুই দেশের বাহিনীরই আলোচনার মাধ্যমে মুখোমুখি সংঘাতের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসা উচিত এবং যথাযথ পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে উত্তেজনা কমানোর জন্য পদক্ষেপ করা উচিত৷প্রতীকী ছবি৷
advertisement
5/8
সীমান্তে যেভাবে চিনের তরফে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, বৈঠকে তা নিয়েও কড়া আপত্তি জানিয়েছে ভারত৷ একই সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, চিনের এই বিপুল সেনা মোতায়েন করা দুই দেশের মধ্যে থাকা ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের চুক্তির পরিপন্থী এবং এই সেনা মোতায়েনের কারণেই বর্তমান সংঘাতের পরিস্থিতির সূত্রপাত৷ কেন এই বিপুল পরিমাণ সেনা তারা মোতায়েন করেছে, বৈঠকে চিন তার সদুত্তর দিতে পারেনি বলেই সূত্রের খবর৷
advertisement
6/8
যদিও চিন এমন অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনার পুরো দায়টাই ভারতের উপরে বর্তায়৷ তাদের বিবৃতিতেও দাবি করা হয়েছে, বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে চিনের ওয়াং ই নাকি বলেন, উত্তেজনা কমানোর জন্য সীমান্তে ভারতের তরফে প্ররোচনা বন্ধ করতে হবে৷ ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও তোলা হয়৷
advertisement
7/8
যদিও চিনের এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, একতরফা ভাবে চিন সীমান্তের স্থিতাবস্থা বদলে দিতে চাইলে তা মানা হবে না৷ বরং চিনের তরফেই যে বহু ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি না মেনে সীমান্তে উস্কানিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই তথ্যও বৈঠকে তুলে ধরে ভারত৷প্রতীকী ছবি৷
advertisement
8/8
যদিও দুই দেশই শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নিয়েছে, বর্তমান উত্তেজনার পরিস্থিতি একটু থিতিয়ে এলেই ভবিষ্যতে কী ভাবে এই ধরনের সংঘাত এড়ানো যায়, যৌথ ভাবে সেই পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে, যাতে সীমান্তে শান্তি এবং সহাবস্থান বজায় রাখা যায়৷