পুত্রবধূর সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার ! সাংবাদিকদের কাছে ছেলের কীর্তির বিবরণ পেশ হরিয়ানার প্রাক্তন DGP-র
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Haryana Former DGP Mustafa: মঙ্গলবার মুস্তাফা চৌধুরি সাহারানপুরের তাঁর গ্রাম হারখেড়িতে সাংবাদিকদের কাছে বলেন যে তাঁর ছেলে প্রায় ১৮ বছর ধরে মাদক সেবন করছিল।
advertisement
1/5

সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে ছেলের মৃত্যুর পর এবং ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর পর বিতর্কে জড়ানো হরিয়ানার প্রাক্তন ডিজিপি মুস্তাফা চৌধুরি এবার সাংবাদিকদের কাছে নিজের পক্ষ তুলে ধরলেন। তিনি তাঁর মৃত ছেলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ করেন। প্রাক্তন ডিজিপি অভিযোগ করেন যে তাঁর ছেলে গত ১৮ বছর ধরে মাদক সেবন করছিল, যার ফলে স্ত্রীর উপর বার বার শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল।
advertisement
2/5
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে তাঁর ছেলে মাদক সেবনের পর ভিডিওটি তৈরি করেছিল, যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শেষ ভিডিওতে প্রাক্তন ডিজিপির ছেলে আকিল অভিযোগ করেন যে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাবার শারীরিক সম্পর্ক ছিল। তিনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ করেন। এই ভিডিওর ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার প্রাক্তন ডিজিপি, তাঁর স্ত্রী এবং তারঁ পুত্রবধূর বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
advertisement
3/5
মঙ্গলবার মুস্তাফা চৌধুরি সাহারানপুরের তাঁর গ্রাম হারখেড়িতে সাংবাদিকদের কাছে বলেন যে তাঁর ছেলে প্রায় ১৮ বছর ধরে মাদক সেবন করছিল। এর ফলে তাঁর মানসিক অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তিনি প্রায়শই তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন, মাদক সেবন করেই তিনি এই ধরনের ভিডিও তৈরি করেছেন। প্রাক্তন ডিজিপি আরও বলেন যে এই কারণেই তিনি তাঁর ছেলের মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
advertisement
4/5
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পাননি, রিপোর্ট আসার পরই সত্য প্রকাশ পাবে। উল্লেখ্য যে, পঞ্জাবের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজিয়া সুলতানা এবং প্রাক্তন ডিজিপি মহম্মদ মুস্তাফার ছেলে এই আকিল যিনি সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। মুস্তাফা ব্যাখ্যা করেছেন যে আকিল ২৭ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে একটি ভিডিওতে পরিবারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে আবার ভিডিও করে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
advertisement
5/5
প্রাক্তন ডিজিপি অভিযোগ করেছেন যে কিছু লোক এখন এই বিষয়টি থেকে রাজনৈতিক সুবিধা তুলতে চাইছে। তিনি আরও বলেছেন যে আকিলের হিংসাত্মক আচরণ নতুন নয়। ২০০৮ সালে তিনি তাঁর মাকেও আহত করেছিলেন, কিন্তু মানহানির ভয়ে পরিবার সেই সময় বিষয়টি চেপে রেখেছিল। মুস্তাফা চৌধুরি বার বার বলেন যে তাঁর ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। আকিল প্রায়শই এমন কথা বলতেন যা কোনও বাবা সহ্য করবেন না। ‘‘সে ভিডিও তৈরি করেছিল এবং আমাদের পরিবারের মহিলাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল, কিন্তু বাস্তবে সে নিজেই বুঝতে পারেনি যে সে কী করছে’’, দাবি তাঁর।