School Fees: ‘ক্লাস ১ এই ৪.২৭ লক্ষ...মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে’! মেয়ের স্কুলের বেতন দেখে নাভিশ্বাস, কষ্টের কথা জানালেন বাবা
- Published by:Ankita Tripathi
- trending-desk
Last Updated:
School Fees: এক্স প্ল্যাটফর্ম (পূর্বে ট্যুইটার)-এ রীতিমতো বিলাপ করে তিনি লিখেছেন, “ভাল শিক্ষা আসলে বিলাসিতা - যা মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে।”
advertisement
1/9

মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাজস্থানের জয়পুরের একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির ফি স্ট্রাকচার দেখে রীতিমতো মাথা ঘুরে গেল একজন বাবার। এরপর এক্স প্ল্যাটফর্ম (পূর্বনাম ট্যুইটার)-এ রীতিমতো বিলাপ করে তিনি লিখেছেন, “ভাল শিক্ষা আসলে বিলাসিতা - যা মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে।”
advertisement
2/9
এক্স প্ল্যাটফর্মে স্কুলের ফি-এর কাঠামো ভাগ করে নিয়েছেন ঋষভ জৈন নামে ওই ব্যক্তি। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, ওই স্কুলে পড়ার জন্য গোটা একটা বছরে ফি বাবদ গুনতে হবে ৪.২৭ লক্ষ টাকা। তিনি আরও লিখেছেন যে, “এটাই ভারতের গুণমানসম্পন্ন শিক্ষার মূল্য। আপনি যদি বছরে ২০ লক্ষ টাকাও আয় করেন, তাহলে কি এই খরচ কি আপনার সাধ্যের মধ্যে থাকবে?”
advertisement
3/9
বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করে ঋষভ লিখেছেন যে, “আগামী বছরে আমার মেয়ের গ্রেড ১ শুরু হবে। আর কন্যাকে পড়ানোর জন্য আমরা আমাদের শহরের যে স্কুলগুলি বেছে নিয়েছি, সেগুলির মধ্যে একটির ফি-এর কাঠামো এটি। বলে রাখা ভাল যে, অন্যান্য ভাল স্কুলেও একই ফি স্ট্রাকচার দেখা যায়।”
advertisement
4/9
অবশ্য স্কুলের ফি-এর কাঠামো ভেঙেও দেখিয়েছিন ওই ব্যক্তি। তিনি লিখেছেন যে, “রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০০ টাকা, অ্যাডমিশন ফি ৪০০০০ টাকা, কশন মানি (রিফান্ডেবল) ৫০০০ টাকা, স্কুলের বার্ষিক ফি ২৫২০০০ টাকা, বাসের চার্জ ১০৮০০০ টাকা, বইখাতা এবং পোশাক ২০০০০ টাকা। সব মিলিয়ে বার্ষিক ৪২৭০০০ টাকা।”
advertisement
5/9
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও লিখেছেন যে, “আপনার বার্ষিক ২০ লক্ষ টাকা বেতনের ৫০ শতাংশই নিয়ে নিচ্ছে সরকার। আর সেটা নিচ্ছে আয়কর, জিএসটি, পেট্রোলের উপর ভ্যাট, রোড ট্যাক্স, টোল ট্যাক্স, প্রফেশনাল ট্যাক্স, ক্যাপিটাল গেইন, ল্যান্ড রেজিস্ট্রি চার্জের মাধ্যমে।
advertisement
6/9
এরপরেও খরচ শেষ হয় না। টার্ম ইনস্যুরেন্স, হেলথ ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম এবং বুড়ো বয়সের পেনশনের জন্য পিএফ, এনপিএস তো রয়েছেই। আবার ২০ লক্ষ টাকা আয়ে আপনি সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ + CESS ট্যাক্স ব্র্যাকেটের মধ্যে পড়বেন। সেই সঙ্গে আপনি সরকারি স্কিমের আওতাতেও আসবেন না। সেই সঙ্গে কোনও ধনীদের মতো বিনামূল্যে অথবা ঋণ মকুবের কোনও সুবিধাও আমরা পাই না।”
advertisement
7/9
এর শেষে ঋষভ বলেন, “আর বাকি ১০ লক্ষ টাকায় আপনাকে খাবার, জামাকাপড় কিনতে হবে। এর পাশাপাশি ভাড়া কিংবা ইএমআই-ও দিতে হবে। এরপর বাকি থাকে সঞ্চয়ের দিকটা। কিন্তু এই টাকায় আপনি হয় সঞ্চয় করতে পারবেন, নাহলে ২ সন্তানের স্কুলের ফি দিতে পারবেন। এবার সিদ্ধান্ত আপনার!”
advertisement
8/9
এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে পোস্টটি এক দিন আগেই শেয়ার করা হয়েছে। মুহূর্তে তা ভাইরাল। প্রচুর কমেন্টও জমা পড়েছে। যদিও মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। একজন লিখেছেন, এই হিসেব থেকে বোঝা যাচ্ছে, “১২ বছরে খরচ হবে ১-১.২ কোটি টাকা। অতিরিক্ত বেশি। এত টাকা মধ্যবিত্তদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।” আর এক নেটিজেন আবার লিখেছেন, “আপনি তো ভাগ্যবান যে, আপনার শহরে তা-ও গুণগত শিক্ষার বিকল্প রয়েছে।
advertisement
9/9
যদিও তাতে অতিরিক্ত খরচ! আমি তো সাগরে থাকি। আমার যদি আর্থিক বল থাকেও, তা সত্ত্বেও আমাদের তেমন কোনও বিকল্প নেই। তাহলে বাড়িতে পড়াশোনা করানোই কি একটা বিকল্প হতে পারে?” অন্য এক নেটাগরিক আবার লিখেছেন যে, “অতিরিক্ত ফি মানেই যে ভাল মানের শিক্ষা পাওয়া যাবে, এর কোনও মানে নেই!”