পরকীয়া প্রেমে আইন কী বলে...? স্বামী বিশ্বাসঘাতকতা করলে আইন অনুযায়ী কত 'ভাতা' চাইতে পারেন স্ত্রী? জানুন আইনের এবিসিডি!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Extra Marital Affair: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আইন: কোল্ডপ্লে গেট কেলেঙ্কারি আবারও ভারতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি আলোচনায় নিয়ে এসেছে। স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতা, বিবাহবিচ্ছেদ এবং ভরণপোষণ আইন - নিয়ে আলোচনা আরও তীব্র করেছে সাম্প্রতিক এই ঘটনা।
advertisement
1/15

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আইন: কোল্ডপ্লে গেট কেলেঙ্কারি আবারও ভারতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি আলোচনায় নিয়ে এসেছে। স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতা, বিবাহবিচ্ছেদ এবং ভরণপোষণ আইন - নিয়ে আলোচনা আরও তীব্র করেছে সাম্প্রতিক এই ঘটনা।
advertisement
2/15
আসুন আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক ভারতীয় আইন স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতা এবং ভরণপোষণকে কী চোখে দেখে? এক্ষেত্রে কী দাবি করতে পারেন নির্যাতিতা?
advertisement
3/15
ভারতে বিশ্বাসঘাতকতা এবং ভরণপোষণ সংক্রান্ত আইন কী?ভারতে অন্তর্বর্তীকালীন বা স্থায়ী ভরণপোষণ প্রদানের ভিত্তি মূলত হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫ এর ২৪ এবং ২৫ ধারার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এছাড়াও, বিশেষ বিবাহ আইন, পার্সি বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ আইন এবং বিএনএসএস, ২০২৩ এর ১৪৪ ধারায় একই রকম বিধান রয়েছে।
advertisement
4/15
যদিও সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালে জোসেফ শাইন বনাম ভারত ইউনিয়ন মামলায় 'ব্যভিচারকে' ফৌজদারি বিভাগ থেকে বাদ দেয়। তবে, নাগরিক আইনে এটি এখনও বিবাহবিচ্ছেদের জন্য একটি আইনি ভিত্তি।
advertisement
5/15
ভরণপোষণের বা খোরপোষের পরিমাণ নির্ধারণের সময় আদালত এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেয়। তবে, বিশ্বাসঘাতকতা বা সম্পর্কে ব্যাভিচারিতার ক্ষেত্রে এটি হয় না।
advertisement
6/15
সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতার ক্ষেত্রে ভরণপোষণ বা খোরপোষের পরিমাণ কীভাবে নির্ধারিত হয়?সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তুষার কুমারের মতে, 'দেওয়ানি মামলায় অবিশ্বাস এখনও একটি সিদ্ধান্তমূলক কারণ হতে পারে। যদি স্বামীর প্রতি অবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে বিবাহবিচ্ছেদ হয়, তাহলে আদালত সাধারণত ভরণপোষণ নির্ধারণের সময় স্ত্রীর পক্ষে নমনীয়তা দেখায়।'
advertisement
7/15
যদিও আইনে এটি কত শতাংশ হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে ভারতীয় আদালত সাধারণত স্বামীর নিট মাসিক আয়ের ২৫% থেকে ৩৩% এর মধ্যে ভরণপোষণ নির্ধারণ করে। যদি বিবাহ দীর্ঘস্থায়ী হয়, সন্তান থাকে বা স্বামীর মনোভাব খুব আপত্তিকর হয়, তাহলে এই পরিমাণও বাড়তে পারে।
advertisement
8/15
সম্পত্তি বিভাজনের ক্ষেত্রে কি নৈতিকতা গুরুত্বপূর্ণ?এই বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলি ভারতের ঠিক বিপরীত। এই দেশগুলিতে, একটি 'সম্প্রদায়িক সম্পত্তি' মডেল রয়েছে, যার অর্থ বিবাহবিচ্ছেদের পরে, সম্পত্তি ৫০:৫০ ভাগে ভাগ করা হয়। তবে ভারতে, সম্পত্তি মালিকানা এবং আর্থিক অবদানের ভিত্তিতে এটি ভাগ করা হয়।
advertisement
9/15
অ্যাডভোকেট কুমার আরও স্পষ্ট করে বলেন, 'স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে অবিশ্বাসের মতো নৈতিক বিষয়গুলি ছাড়াও, সম্পত্তিতে কে কতটা অবদান রেখেছে তা দেখে আদালত। যদি কোনও সম্পত্তি যৌথভাবে কেনা হয় বা স্ত্রীর সরাসরি অবদান থাকে, তবেই তিনি তাতে অংশ পেতে পারেন।'
advertisement
10/15
বিশ্বাসঘাতকতা এবং বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে সম্পর্কিত শর্তাবলী:এখন পরবর্তী প্রশ্ন উঠছে যে স্বামীর বা স্ত্রী-র প্রতি অবিশ্বাস কি বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে সম্পর্কিত শর্তগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে? উত্তরটি স্পষ্ট ভাষায়, হ্যাঁ, এটি পারে। মানি কন্ট্রোলের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাকর্ড জুরিসের ম্যানেজিং পার্টনার আলায় রাজভি বলেছেন, 'মালিকানার ভিত্তিতে সম্পত্তি ভাগ করা হয়, তবে আচরণের প্রভাব ভরণপোষণের উপর স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। যদি স্বামী দোষী হন, তাহলে আদালত স্ত্রীর পক্ষে আরও নমনীয় হতে পারে। অন্যদিকে, যদি স্ত্রী ব্যাভিচারিতার বা বিশ্বাসভঙ্গের জন্য দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তিনি স্থায়ী ভরণপোষণও হারাতে পারেন।'
advertisement
11/15
একজন অবিশ্বস্ত স্ত্রী কি ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী নয়?এই প্রশ্নের জবাবে রাজভি বলেন, এর সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর জন্য প্রমাণ এবং সাক্ষী উপস্থাপন করতে হবে। রাজভি বলেন, 'হিন্দু বিবাহ আইনের ধারা ২৫ (৩) অনুসারে, যদি স্ত্রী 'বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে' জড়িত থাকেন, তাহলে আদালত স্থায়ী ভরণপোষণ প্রদান করতে অস্বীকার করতে পারে। এমনকি পূর্বে প্রদত্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে।'
advertisement
12/15
তবে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত তখনই নেওয়া যেতে পারে যখন স্বামী আদালতের সামনে দৃঢ় প্রমাণ এবং সাক্ষী উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে যদি স্ত্রী আর্থিকভাবে দুর্বল হন, তাহলে ধারা ২৪ অনুসারে অন্তর্বর্তীকালীন খোরপোষ পাওয়া যেতে পারে, তবে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক প্রমাণিত হলে স্থায়ী খোরপোষ বাতিলও করা হতে পারে।
advertisement
13/15
এই প্রসঙ্গে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী:১. প্রশ্ন: একজন অবিশ্বস্ত স্ত্রী কি ভরণপোষণ পাবেন না? আইন কী বলে?উত্তর: এটা সম্ভব, যদি স্বামী আদালতে দৃঢ় প্রমাণ-সহ প্রমাণ করে দেন যে স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন, তাহলে আদালত স্থায়ী ভরণপোষণ বা খোরপোষ দিতে অস্বীকার করতেই পারে।
advertisement
14/15
২. প্রশ্ন: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক কি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য একটি বৈধ কারণ হতে পারে?উত্তর: হ্যাঁ, ভারতে অবিশ্বাসকে বা সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতাকে একটি দেওয়ানি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং বিবাহবিচ্ছেদের জন্য একটি আইনি ভিত্তি হতে পারে, যদিও এটি আর ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না (জোসেফ শাইন মামলা, ২০১৮ এর পরে)।
advertisement
15/15
৩. প্রশ্ন: ভারতীয় আইনের অধীনে কত ভরণপোষণ বা খোরপোষ পাওয়া যেতে পারে এবং এটি কোন বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে?উত্তর: এটি নির্দিষ্ট নয়, তবে আদালত সাধারণত স্বামীর নিট আয়ের ২৫ শতাংশ থেকে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত ভরণপোষণ বা খোরপোষ নির্ধারণ করে থাকে। তবে এটি বিবাহের সময়কাল, সন্তানদের বর্তমান পরিস্থিতি এবং স্বামীর আচরণের উপরও নির্ভর করে।