Earthquake News: ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর? কবে, কোথায় ঘটেছে এমন ধ্বংসযজ্ঞ! এ কি তাহলে পৃথিবীর ধ্বংসের ইঙ্গিত, জানুন...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
ভারতের উত্তর থেকে উত্তর পূর্ব পর্যন্ত ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে। এই শক্তিশালী কম্পনের কেন্দ্র ছিল মায়ানমার। এত উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প কতটা বিপজ্জনক হতে পারে এবং অতীতে এর কী কী বিধ্বংসী প্রভাব পড়েছে, জেনে নিন।
advertisement
1/12

উত্তর ভারত ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আজ দুপুর ১২টার দিকে ৭.২ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর কেন্দ্র ছিল মায়ানমারে। ভূমিকম্পের এমন মাত্রাকে ‘প্রধান’ (Major) ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়, যা মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে।
advertisement
2/12
ভূমিকম্পের মাত্রা ও তার ভয়াবহতা ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার জন্য ‘রিক্টার স্কেল’ ব্যবহার করা হয়, যা ০ থেকে ১০ পর্যন্ত হয়। প্রতিটি মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্পের শক্তি প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পায়। ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প প্রচণ্ড শক্তিশালী এবং এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনেক বেশি। দুর্বল কাঠামোর ভবন ধসে যেতে পারে এবং মজবুত ভবনেও ফাটল ধরতে পারে।
advertisement
3/12
৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাব এমন ভূমিকম্প কয়েকশো কিলোমিটার দূর পর্যন্ত অনুভূত হতে পারে। ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের তুলনায় ১০০ গুণ এবং ৫.২ মাত্রার তুলনায় ১০০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। ভূমিধ্বস, ভূমির ফাটল ও যদি ভূমিকম্প সমুদ্রের কাছে হয়, তাহলে সুনামিও সৃষ্টি হতে পারে।
advertisement
4/12
ইতিহাসে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ - ইতিহাসে বেশ কয়েকটি ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে।
advertisement
5/12
তাইওয়ান, ২০২৪, ২ এপ্রিল ২০২৪ সালে তাইওয়ানে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, যা রাজধানী তাইপেইয়ের কাছে অনুভূত হয়। এটি বড় বড় ভবনগুলোকে কাঁপিয়ে তোলে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং ভূমিধ্বসের কারণ হয়। এমনকি জাপানের কিছু দ্বীপে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
advertisement
6/12
হাইতি, ২০২১, ১৪ আগস্ট ২০২১ সালে হাইতিতে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে। এতে ২২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং ১২,০০০-এর বেশি আহত হয়। হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রভূমি ছিল মাত্র ১০ কিমি গভীরে, যা ধ্বংসের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
advertisement
7/12
মেক্সিকো, ২০১৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে মেক্সিকোর ওহাকা প্রদেশে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পটি বেশ গভীর (২৪ কিমি) হলেও মেক্সিকো সিটির মতো দূরবর্তী এলাকাতেও এর কম্পন অনুভূত হয়।
advertisement
8/12
তুরস্ক, ২০১১, ২৩ অক্টোবর ২০১১ সালে তুরস্কের ভান প্রদেশে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যেখানে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। এই ভূমিকম্পের পর ২০০টিরও বেশি আফটারশক (পরবর্তী ছোট কম্পন) হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।
advertisement
9/12
মরক্কো, ২০২৩, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে মরক্কোর মারাকেশ এলাকায় ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে শত শত মানুষ মারা যায় এবং পাহাড়ি অঞ্চলের অনেক গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়। এটি ১২০ বছরের মধ্যে মরক্কোর সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল।
advertisement
10/12
কেন ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প এত বিপজ্জনক? যেসব এলাকায় ভবন দুর্বলভাবে তৈরি, সেখানে এই মাত্রার ভূমিকম্প ভয়ংকর প্রভাব ফেলে। শহরাঞ্চলে ভবন ধসে পড়তে পারে, আর গ্রামাঞ্চলে ভূমিধ্বসের ফলে বড় ক্ষতি হতে পারে। এটি ভূগর্ভস্থ চ্যুতি (Fault Line)-এর প্রকৃতির ওপরও নির্ভর করে।
advertisement
11/12
ভূমিকম্প থেকে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায়? ভূমিকম্পের সময় স্থিতিশীল কোনো টেবিল বা শক্ত কাঠামোর নিচে আশ্রয় নিন। যদি খোলা জায়গায় থাকেন, তাহলে উঁচু ভবন বা গাছপালা থেকে দূরে থাকুন। ভূমিকম্পের পরে আফটারশকের জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং নিরাপদ স্থানে যান।
advertisement
12/12
৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। ইতিহাসের বিভিন্ন ভূমিকম্প থেকে বোঝা যায়, এটি ভবন ধ্বস, ভূমিধ্বস এবং সুনামির মতো বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। ফলে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে সবসময় সতর্ক থাকা জরুরি।