Cancer Hospital: ক্যানসার চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটিয়ে দিল ভারতের এই হাসপাতাল! দেশে এমন চিকিৎসা হল প্রথম, এল ১০০% সাফল্য! কোন হাসপাতাল জানেন? চমকে উঠবেন শুনে
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Cancer Hospital: এই থেরাপির পরিকল্পনা তিন মাস আগে থেকে করা হচ্ছিল, যেখানে আমেরিকার মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটেরিং ক্যান্সার সেন্টারের ডাক্তারদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছিল।
advertisement
1/7

ক্যানসার একটি ঘাতক রোগ, যার চিকিৎসাও কঠিন হয়। পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য অনেক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। ক্যানসার সেলসকে ড্যামেজ করার জন্য রেডিয়েশন থেরাপির সাহায্য নেওয়া হয়। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতালের ACTREC বিভাগে আল্ট্রা হাই রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে একটি ১৭ বছর বয়সী ছেলের জীবন বাঁচানো হয়েছে।
advertisement
2/7
এই ছেলেটিকে রেয়ার এবং অ্যাগ্রেসিভ ক্যানসার নিউরোব্লাস্টোমা ছিল। তাকে বাঁচানোর জন্য ডাক্তাররা ১৩১-Iodine MIBG থেরাপি দিয়েছেন। এই থেরাপি ৮০০ মিলিকিউরি ডোজের ছিল, যা এখন পর্যন্ত ভারতে কোনও রোগীকে দেওয়া সবচেয়ে উচ্চ রেডিওঅ্যাকটিভ ডোজ। এই ডোজ নির্ধারিত সীমা ৩০০ mCi-র থেকে অনেক বেশি ছিল।
advertisement
3/7
HT-এর রিপোর্ট অনুযায়ী নিউরোব্লাস্টোমা একটি অ্যাগ্রেসিভ ক্যানসার হয়, যা শৈশবে হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি শেষ স্টেজে ডায়াগনোজ করা যায়। এই ছেলেটিকে প্রথমবার ২০২২ সালে ১৪ বছর বয়সে এই ক্যানসার হয়েছিল এবং স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টের পর কিছু সময়ের জন্য ঠিকও হয়েছিল, কিন্তু ২০২৪ সালে ক্যানসার আবার ফিরে আসে। এমন পরিস্থিতিতে তার জীবন বাঁচানোর জন্য ডাক্তারদের কাছে বিকল্প সীমিত ছিল, তাই নিউক্লিয়ার থেরাপিকে একমাত্র উপায় মনে করা হয়।
advertisement
4/7
এই থেরাপির পরিকল্পনা তিন মাস আগে থেকে করা হচ্ছিল, যেখানে আমেরিকার মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটেরিং ক্যান্সার সেন্টারের ডাক্তারদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছিল। অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি বোর্ড (AERB) থেকে অনুমতি নেওয়ার পর এই থেরাপির প্রস্তুতি করা হয়। এর জন্য হাসপাতালে একটি স্পেশাল রেডিয়েশন আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছিল, যাতে রোগীর চিকিৎসার সময় অন্য কোনও রোগীকে রেডিয়েশনের ঝুঁকি না হয়।
advertisement
5/7
এত তীব্র রেডিওথেরাপির সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হয় বোন ম্যারো সপ্রেশন, যার ফলে শরীরে রক্ত কোষ তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এটি রোধ করার জন্য ডাক্তাররা প্রথমে রোগীর বোন ম্যারো বের করে নিরাপদে রেখে দেন এবং তারপর চিকিৎসার পর তাকে আবার শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এটি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করা হয়।
advertisement
6/7
চিকিৎসার সময় রেডিয়েশন ইফেক্টের কারণে রোগীকে পুরোপুরি ৫ দিনের জন্য একা ঘরে আইসোলেট করা হয়। ডাক্তাররা এই সময়ে নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং কোনোও সংস্পর্শকে ন্যূনতম রেখে চিকিৎসা সম্পন্ন করেন। চিকিৎসার পর ছেলেটির অবস্থায় চমত্কার উন্নতি দেখা যায় এবং এখন সে ক্যানসার মুক্ত। ডাক্তাররা তাকে পুরোপুরি সুস্থ ঘোষণা করেছেন এবং সে এখন বাড়ি ফিরে গেছে।
advertisement
7/7
এটি ভারতীয় মেডিক্যাল সায়েন্সে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের ডাক্তাররা প্রমাণ করেছেন যে সঠিক পরিকল্পনা, বিশেষজ্ঞতা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে জটিল রোগেরও চিকিৎসা সম্ভব। এই ঘটনা ভবিষ্যতে এমন অনেক ক্যানসার রোগীদের জন্য আশার আলো হয়ে থাকবে।