ফুলশয্যার রাতে শারীরিক মিলনের পরেই রহস্যজনক মৃত্যু নবদম্পতির ! তদন্তে নেমে বরের মোবাইল ঘাঁটতে গিয়েই রহস্যের কিনারা করল পুলিশ
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ফুলশয্যার রাতেই সদ্য বিবাহিত দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে হইচই। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসতেই তাজ্জব সকলে।
advertisement
1/6

সংসার সাজানোর স্বপ্ন নিয়ে সবে শ্বশুরবাড়িতে পা রেখেছিলেন নববধূ। কিন্তু ফুলশয্যার রাতেই যে তাঁর সঙ্গে এমনটা ঘটবে, সেটা স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। আসলে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা জেলায় ফুলশয্যার রাতেই সদ্য বিবাহিত দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে হইচই। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসতেই তাজ্জব সকলে।
advertisement
2/6
কিন্তু কী এমন আছে ময়নাতদন্তের ওই রিপোর্টে। আসলে তাতে জানা গিয়েছে যে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের প্রাণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছিলেন নববধূ। কিন্তু লাভ হয়নি। নিজের প্রাণটুকুও বাঁচাতে পারেননি তিনি।
advertisement
3/6
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৭ মার্চ দিল্লি নিবাসী শিবানীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অযোধ্যা নিবাসী প্রদীপের। বিয়ের পরের দিনই শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন বর-কনে। ফুলশয্যার রাতে তাঁদের শারীরিক মিলনও ঘটেছিল। কিন্তু এরপরেই প্রদীপ খুন করে তার নববিবাহিত স্ত্রীকে। এরপর নিজেও আত্মহননের পথ বেছে নেয়। খাটের উপর পাওয়া গিয়েছিল শিবানীর দেহ। আর ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখা গিয়েছে প্রদীপকে। ময়নাতদন্তেই উঠে এসেছে মৃত্যু রহস্য। জানা যায় যে, শিবানীকে হত্যার ১ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে প্রদীপের।
advertisement
4/6
দৈনিক ভাস্কর-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, যে চিকিৎসক ময়নাতদন্ত করেছেন, তিনি বলেছেন যে, শনিবার রাতে নবদম্পতির মধ্যে শারীরিক মিলন হয়েছিল। এরপরেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন শিবানী। কিন্তু রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রদীপ ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের জন্য উদ্যত হয়। আর ধস্তাধস্তির জেরে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল শিবানীর। চোখ খুলেই হয়তো প্রদীপকে একদম সামনে পেয়েছিলেন তিনি।
advertisement
5/6
তাঁর গলায় মিলেছে ঘন নীল রঙের ক্ষত। যা দেখে স্পষ্ট যে, প্রদীপ নিজের দুই হাতের জোর দিয়েই চেপে ধরেছিল শিবানীর গলা। যদিও শিবানী পালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রদীপের বজ্রমুষ্টি থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারেননি। বাঁচার শেষ চেষ্টা হিসেবে প্রদীপের মুখে এবং বুকে আঘাতও করেছিলেন তিনি।
advertisement
6/6
এর পাশাপাশি ধস্তাধস্তির চিহ্ন হিসেবে প্রদীপের হাতে শিবানীর নখের আঁচড়ের দাগও মিলেছে। চিকিৎসক বলেন যে, প্রদীপের দেহেও রয়েছে অসংখ্য আঁচড়ের দাগ। পুলিশের বক্তব্য, শিবানীর গলা প্রদীপ এতটা জোরে টিপে ধরেছিল যে, মেয়েটি চিৎকার করতে পারেননি। গলার স্বর গলাতেই আটকে গিয়েছিল তাঁর। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এ-ও বলেন যে, শিবানী কিংবা প্রদীপের রক্তে কোনও রকম রাসায়নিক মেলেনি। তবে পুলিশ অবশ্য তগন্ত করতে গিয়ে প্রদীপের মোবাইল ফোনে একটি সন্দেহজনক মেসেজ পেয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে, কেমন আছো তুমি? আমাকে ছেড়ে তুমি ঠিক কাজ করলে না।