#RIPArunJaitley: বিরলতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মিষ্টভাষী সুবক্তা অরুণ জেটলি জড়িয়েছিলেন এহেন বিতর্কেও
Last Updated:
চোস্ত ইংরেজি...দুঁদে আইনজীবী....গেরুয়া শিবিরের প্রথম কর্পোরেট মুখ ৷ তিনি অরুণ জেটলি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিতর্কেও জড়িয়েছেন।
advertisement
1/15

সরকার যখনই বিপাকে পড়েছে, তিনি হাজির হয়েছেন ঢাল হিসেবে। সামলেওছেন নানা মন্ত্রক। তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীনই, নোটবাতিল। তাঁর আমলেই জিএসটি। তিনি বিজেপির প্রথম কর্পোরেট মুখ।
advertisement
2/15
চোস্ত ইংরেজি...দুঁদে আইনজীবী....গেরুয়া শিবিরের প্রথম কর্পোরেট মুখ ৷ তিনি অরুণ জেটলি। কখনও, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তো কখনও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচার-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছেন তিনি ৷ এমনকী মোদি প্রথম মন্ত্রীসভার অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও সামলে ছিলেন তিনি ৷
advertisement
3/15
১৯৫২ সালের ২৮ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে জন্ম ৷ পড়েছেন দিল্লির সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ৷ এরপর শ্রীরাম কলেজ থেকে বাণিজ্যে স্নাতক ৷ তারপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেছিলেন
advertisement
4/15
ছাত্র অবস্থাতেই রাজনীতিতে পা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা থেকে ধাপে ধাপে সর্বভারতীয় সম্পাদক হয়ে ওঠেন।
advertisement
5/15
জরুরি অবস্থার সময়, জয়প্রকাশ নারায়ণের হাত ধরে আন্দোলনে নামেন ইন্দিরা গান্ধির সরকারের বিরুদ্ধে ৷ ১৯ মাস তাঁকে আটক করে রাখা হয় ৷ জেল থেকে বেরিয়ে যোগ দেন জনসংঘে। সেখান থেকে বিজেপি ৷
advertisement
6/15
আদবানি-বাজপেয়ীরা এই তরুণকে চিনতে ভুল করেননি। বিজেপিতে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়তে থাকে জেটলির। ১৯৯১ সালে তিনি বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হন
advertisement
7/15
দল যখন সরকারে আসে, তখন জেটলির গুরুত্ব আরও বাড়ে। বাজপেয়ী সরকারের আমলে তথ্য-সম্প্রচার, আইন, জাহাজ, বাণিজ্যের মতো মন্ত্রক সামলেছেন।
advertisement
8/15
২০০৯ সালে তখন ইউপিএ-টু সরকার। রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা হন সেই অরুণ জেটলি ৷
advertisement
9/15
এরপরই তিনি আইনজীবীর পেশা ছেড়ে দেন। সেখানেও কিন্তু দাগ কেটে গেছেন। ১৯৮৭ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে ভি পি সিং সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হন ৷ বফর্স কেলেঙ্কারি তদন্তের আইনি কাগজপত্র তিনিই তৈরি করেছিলেন ৷ বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট নেতারা ছিলেন আইনজীবী জেটলির মক্কেল ৷ শরদ যাদব, মাধবরাও সিন্ধিয়া থেকে লালকৃষ্ণ আদবানির হয়ে কোর্টে সওয়াল করেছেন ৷ পেপসিকো বনাম কোকাকোলার মতো কর্পোরেট মামলাও সামলেছেন ৷
advertisement
10/15
অরুণ জেটলির সংসদীয় জীবন দীর্ঘদিনের। কিন্তু, তিনি কখনওই লোকসভা ভোটে জিতে সংসদে যাননি। বরাবরই তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। একবারই তিনি লোকসভা ভোটে দাঁড়ান। সেটা ২০১৪ সাল। দেশ জুড়ে প্রবল মোদি হাওয়ার মধ্যেও পঞ্জাবের অমৃতসরে কংগ্রেসের অমরিন্দর সিংয়ের কাছে হেরে যান ৷
advertisement
11/15
যদিও প্রথম মোদি মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন বিগ ফোরের অন্যতম। নরেন্দ্র মোদি তাঁর হাতে দেন অর্থ, বিদেশ এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব ৷
advertisement
12/15
অরুণ জেটলি অর্থমন্ত্রী থাকার সময়েই মোদি সরকার দুটি বড় সিদ্ধান্ত নেয়। যা ঘিরে দেশ জুড়ে ঝড় ওঠে। ২০১৬ সালে নোট বাতিল ৷ ২০১৭ সালে জিএসটি ৷
advertisement
13/15
এই দুই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিরোধীরা কোমর বেঁধে নামে। তখন বারবার মোদি সরকারের ঢাল হন অরুণ জেটলি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে যখন রাফাল নিয়ে প্রতিদিন নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করছেন রাহুল গান্ধি, তখন অর্থমন্ত্রকে থাকা সত্ত্বেও মোদি সরকারের হয়ে প্রতিদিন জবাব দেন সেই অরুণ জেটলিই। অসুস্থতার কারণেই ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মোদি মন্ত্রিসভায় আর তিনি থাকেননি।
advertisement
14/15
বিরলতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মিষ্টভাষী সুবক্তা অরুণ জেটলি ৷ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি থাকাকালীন উঠেছিল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ৷ ঋণ খেলাপিতে অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া গত বছর দাবি করেন দেশ ছাড়ার আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন লন্ডন যাচ্ছেন।
advertisement
15/15
এ সব অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দেন জেটলি। তিনি পাল্টা যুক্তি নিয়ে হাজির হন সংবাদমাধ্যমের সামনে। জেটলি এরকমই। প্রথম মোদি সরকার যখনই বিপাকে পড়েছেন, আসরে নেমেছেন। দল যখন বিরোধী আসনে, তখনও রাজ্যসভায় ঝড় তুলেছেন। মন্ত্রিসভায় না থেকেও মোদির পাশে থেকেছেন। জোরাল সওয়াল করেছেন ৩৭০ ধারা বাতিলের পক্ষে। বিজেপি শক্তিশালী স্বর হারাল। হারাল প্রথম কর্পোরেট মুখ।