Air India Plane Crash : সেই ৩২ সেকেন্ড, পাইলট একদম শান্ত...! আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

১২ জুন। সেদিন বেলা ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের রানওয়ে ছেড়ে আকাশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমান। তবে সেই অভিশপ্ত বিমান ৩২ সেকেন্ডের বেশি আকাশে উড়তে পারেনি। বিমানটি ভেঙে পড়ে। সেই দুর্ঘটনা কেন, কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। ককপিটের ভিতর ওই ৩২ সেকেন্ড নিয়েই যাবতীয় রহস্যের সূত্রপাত।

ভারতের তদন্তকারী সংস্থার প্রাথমিক রিপোর্ট যা বলছে তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুললেন মার্কিন তদন্তকারীরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের যুক্তি উল্লেখ করে এই নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট কিন্তু তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে এবার।

সেই ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে পাইলটদের দায়ী করার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের শীর্ষ পাইলট সংগঠন। সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ক্যাপ্টেন নিজেই ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহের সুইচ অফ করে দেন। মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, ক্যাপ্টেন সুমিত সাবরওয়াল জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাট-অফ’ মোডে নিয়ে গিয়েছিলেন। উড়ানের কয়েক সেকেন্ড পরই কো-পাইলট তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি সুইচ ঘুরিয়ে দিলেন! সেই মুহূর্তে ক্যাপ্টেন ছিলেন শান্ত। আর তা নিয়েই যাবতীয় সন্দেহের অবকাশ!

AI 171 ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেল। আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়েছিল সেটি। তবে সেদিন আকাশে ওড়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেটি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসে ধাক্কা মেরে ভেঙে পড়ে।

বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছে, উড়ানের পরই দুটি ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ‘রান’ থেকে ‘কাট-অফ’ পজিশনে চলে যায়। এই সুইচ ইঞ্জিনে জ্বালানির সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে। সুইচগুলি পাইলটরা নিজের হাতে ঘুরিয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট করে রিপোর্টের কোথাও বলা হয়নি।

এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমানটিতে প্রধান ক্যাপ্টেন হিসাবে ছিলেন অভিজ্ঞ পাইলট সুমিত সবরওয়াল (৫৬)। ১৫,৬৩৮ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। তাঁর সঙ্গে ফার্স্ট অফিসার হিসেবে ছিলেন কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্দর (৩২)। তাঁদের একটি কথোপকথনের উল্লেখ করা হয়েছিল। এক পাইলট অন্যজনকে জিজ্ঞেস করছেন, “তুমি ফুয়েল কাট করলে কেন?”, উত্তরে অপর পাইলট বলছেন, “আমি করিনি।” তবে পুরো ককপিট রেকর্ড এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। বিমানের সফটওয়্যার ও বৈদ্যুতিক ত্রুটির জন্য সেই সুইচ কাট আফ মোডে চলে গিয়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা উল্লেখ করেছে, ফার্স্ট অফিসার সেদিন আহমেদাবাদ থেকে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানটি ওড়ান। রানওয়ে ছাড়ার পরই তিনি ক্যাপ্টেনকে প্রশ্ন করেন, ‘কেন তুমি জ্বালানির সুইচ বন্ধ করে দিলে?’ তার পর প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যান তিনি। কিন্তু সেই চূড়ান্ত মুহূর্তেও ক্যাপ্টেন খুব শান্ত হয়ে ছিলেন। আর সেটাই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।