২৫ কোটিতে কপাল খুলল অটোচালকের! ৫৫ বছর ধরে চলছে দেশের এই রাজ্যে লটারির ব্যবসা

কেরলে ১৯৬৭ সাল থেকে চলছে লটারির টিকিটের ব্যবসা। কেরলের সরকার এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। লটারির টিকিটের ব্যবসা থেকে ব্যাপক রেভিনিউ আসে কেরলের সরকারের।

১৯৬৭ সালে তৎকালীন মন্ত্রী পিকে কুঞ্জুর মনে হয়েছিল, লটারির ব্যবসা থেকে সরকারের মোটা টাকা রেভিনিউ আসতে পারে। যে রাজস্ব আদায় হবে তা তিনি স্বাস্থ্য খাতে ও দুঃস্থদের জন্য খরচ করবেন বলে ঠিক করেন।

অনুপ যে টিকিট কেটেছিলেন সেটির দাম ছিল ৫০০ টাকা। বছরে একবারই এই টিকিট পাওয়া যায়। প্রতি বছর কেরলে গড়ে ৬৬ লাখ ওনাম টিকিট বিক্রি হয়।

৫০০ টাকার টিকিটের ২৫ শতাংশ পায় এজেন্ট। এছাড়া সপ্তাহে অনেক লটারির ড্র খেলা হয়। কেরলের সরকার লটারির থেকে আদায় করা রাজস্ব দিয়ে সিনিয়র সিটিজেন-দের জন্য প্রকল্প শুরু করেছে।

সারা দেশে ১৩টি রাজ্যে কাগজের লটারির টিকিট বিক্রি হয়। তবে বহু রাজ্যের সরকার লটারি খেলা জুয়া বলে মনে করে। তবে ভারতে এখনও অনলাইন লটারি চালু হয়নি।

আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, গোয়া, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে লটারির খেলা জনপ্রিয়। এই রাজ্যগুলিতে লটারির টিকিট ১ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়৷ কেরলে প্রতিদিন ৯০ লাখ লটারির টিকিট বিক্রি হয়।