UNESCO-র প্রতিনিধিদের দেওয়া দুর্গামূর্তি তৈরি হয়েছে 'এই' শিল্পীর হাতে
- Published by:Pooja Basu
- news18 bangla
Last Updated:
পুরোটা তৈরি থেকে রং করা, সবই তার হাতেই হয়েছে এই শিল্পীর হাতে।
advertisement
1/6

ইউনেস্কোর তরফ থেকে দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার পর থেকে উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে। রাজ্যজুড়ে মহা আরম্বরে পালিত হচ্ছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। ১ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে দেবী দুর্গার একটি স্মারক মূর্তি তুলে দেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের হাতে। ইউনেস্কোর হাতে তুলে দেওয়া সেই দুর্গা মূর্তির স্মারকটি কোন শিল্পীর সৃষ্টি, জানেন? কতদিনই বা সময় লেগেছে সেটিকে বানাতে? (Rahi Haaldar )
advertisement
2/6
এর উত্তর খুঁজতে গেলে আপনাকে আসতে হবে কলকাতা সাত লক্ষ পাঁচে। ৭০০০০৫ পিন কোড উত্তর কলকাতার কুমোরটুলির। মৃৎশিল্পীদের আস্তানায় অনেকেই এসে ছবি তুলেছেন এই মৃৎশিল্পীও যার হাতে তৈরি ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের দেওয়া দুর্গামূর্তির স্মারক। শিল্পীর নাম শ্যামল পাল, কুমোরটুলি পাড়ায় ইনি পরিচিত ভোলা দা নামে। কুমারটুলিতে আগত আলোক চিত্রশিল্পীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় শ্যামল পাল ওরফে ভোলা কাকু।
advertisement
3/6
কুমারটুলির মধ্যে প্রবেশ করলে একটু ইতস্তত ঘোরাফেরা করলে অবশ্যই আপনার চোখে পড়বে শ্যামল পালের স্টুডিও। সব সময় ফটোগ্রাফারদের ভিড়। বছর ৬৫ এর শ্যামল পাল ৪৫ বছর ধরে মৃৎশিল্প পেশার সঙ্গে যুক্ত। এই বছরেও রয়েছে কাজের খুব চাপ।
advertisement
4/6
দেবী দুর্গার স্মারক মূর্তিটি তৈরি করতে তার সময় লেগেছে ৬ থেকে ৭ দিন। সম্পূর্ণ মূর্তিটি পুরোটাই তৈরি থেকে রং করা, সবই তার হাতেই হয়েছে। বর্তমানে থিমের চলন ও পূর্বের সাবেকিয়ানার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন তার এই সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে।
advertisement
5/6
এই বিষয়ে মৃৎশিল্পী শ্যামল পাল জানান, বঙ্গ জননী থেকে থেকে দেবী দুর্গা এখন বিশ্ব জননী। আর যাদের হাত ধরে দেবী দুর্গার এই স্বীকৃতি তাদেরকে সম্মান জানতে তারই হাতে তৈরি দেবী দুর্গার স্মারক মূর্তি তুলে দেওয়া হয়েছে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের। এটা শুধু তার একার গর্ব নয়, গোটা কুমোরটুলির গর্ব। তিনি মূর্তিটি তৈরি করে সেটিকে তুলে দেন কলকাতা ফোরামের হাতে। কলকাতা ফোরাম থেকেই সেটি পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে।
advertisement
6/6
সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে সেটিকে তুলে দেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের। তিনি আরও বলেন, বাঙালির আবেগর আরেক নাম দুর্গাপূজা। সেই আবেগ আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে যখন বিদেশের মাটিতেও এদেশের শিল্প নিয়ে চর্চা হয়।