শীতকালে কত 'মিনিট' স্নান করা উচিত...? কখন 'স্নানে' বেশি উপকার জানেন? জেনে নিন ডাক্তারের পরামর্শ

স্নানের অনেক উপকারিতা থাকলেও শীতে অনেকেই স্নান করতে চান না। এই অভ্যাসটি অস্বাস্থ্যকর এবং যে কোনও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনকও। শীতকালেও নিয়মিত স্নানের অভ্যাস মেনে চললে ভাল হয়।

আজ এই প্রতিবেদনে শীতের স্নানের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হল। এই নিয়মগুলি মানলে কনকনে হাড় কাঁপানো শীতেও স্নান করা সহজ হবে। আবার স্বাস্থ্য থাকবে টগবগে টাট্টু ঘোড়ার মতো।

যখনই শীত আসে, বেশিরভাগ মানুষই অজুহাত খোঁজেন দেরিতে স্নান করার বা স্নান না করার জন্য। কেউই ঠান্ডায় চায় না যে এই একফোঁটাও জল তাদের উপর পড়ুক।

বিশেষ করে যারা শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে স্নান করেন, তাদের মনে হয় তাদের মুখে জল ছোঁয়ানো যেন এক শাস্তি। শীত আসলেই অনেকেরই কাছে স্নান করা বিরক্তিকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আপনি কি জানেন আদৌ কতক্ষণে স্নান করতে হবে? আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নিন উত্তর..!

মুলুন্ড ফোর্টিস হাসপাতালের পরামর্শক ডা. মনীশ ইতোলিকার পরামর্শ দেন শীতকালে কত ঘন ঘন স্নান করা উচিত। এর পাশাপাশি জল কতটা গরম হওয়া উচিত, শরীরের কোন অংশে প্রথমে গরম জল লাগাতে হবে, কোন সময়ে স্নান করলে বেশি উপকার।

সকালের একটি রুটিন কাজ আপনার অজান্তেই কিন্তু আপনাকে সতেজ রাখতে এবং দিনের কাজের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে, তা হল স্নান। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার জন্য স্নান অপরিহার্য এবং ভারত-সহ সারা বিশ্বে প্রায় সব পরিবারে প্রতিদিন করা হয় এই কাজটি।

গবেষণা অনুসারে স্নানের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে কারণ এটি চমৎকার শারীরিক পরিচ্ছন্নতা প্রদান করে। মানসিক ভাবেও চনমনে রাখতে স্নানের জুড়ি মেলা ভার।

স্নানের অনেক উপকারিতা থাকলেও শীতে অনেকেই স্নান করতে চান না। এই অভ্যাসটি অস্বাস্থ্যকর এবং আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। শীতকালেও স্নানের অভ্যাস মেনে চললে ভাল হয়। শীতকালে স্নানের জন্য এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ 'নিয়ম' শেয়ার করা হল।

ডাঃ মনীশ ইতোলিকার তাঁর পরামর্শে বলেছেন যে আবহাওয়া নির্বিশেষে প্রত্যেকেরই প্রতিদিন স্নান করা উচিত। এটি গরমে ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া, ময়লা এবং ঘামের গন্ধ দূর করে।

আবার শীতকালে ত্বককে আর্দ্র রাখতে স্নান করা জরুরি। তবে সবসময় হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করা উচিত। কিছু মানুষ খুব গরম জল ব্যবহার করে, যা ভুল বলা হয়।

কেউ কেউ খুব গরম জল দিয়ে স্নান করেন। এ কারণে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। এই ক্ষেত্রে, আপনার সবসময় হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করা উচিত। এছাড়াও বেশি গরম জল ত্বক এবং চুলের ক্ষতি করে না।

কেউ কেউ স্নানের সময় কাঁপুনি এড়াতে গরম বাথটাবে বসে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিন্তু এমনটা করা ঠিক নয়। ঠান্ডায় অর্থাৎ শীতের দিনে, প্রতিদিন স্নান করুন, তবে মাত্র ১০ মিনিট বা তারও কম সময়ে।

মাত্র ১০ ​মিনিটের মধ্যে স্নান সারুন। আপনি প্রতিদিন স্নান করলে আপনাকে আপনার শরীর স্ক্রাব করার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না। আপনার শরীর পরিষ্কার থাকবে। বলা হয় খুব গরম জলে স্নান করলে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

শীতকালে গরম জল দিয়ে স্নান করার সময় মাথায় ও বুকে সরাসরি জল ঢালবেন না। প্রথমে পায়ে জল ঢালতে হবে। পায়ে জল দিলে শরীরের তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন হয় না।

তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন বিপজ্জনক হতে পারে। প্রথমে পায়ে এবং পরে শরীরের উপরিভাগে জল ঢেলে স্নান শুরু করুন।

শীতকালে আপনি লম্বা স্নান এড়িয়ে গেলেও অন্তত ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে আপনার কমপক্ষে ৫ মিনিটের জন্য স্নান করা উচিত। যে কোনও সময় বিশেষ করে সন্ধ্যায় বা রাতে স্নান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এতে সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়াও হতে পারে।

সকাল ৮ টা থেকে ১২-১টা পর্যন্ত স্নান করার আদর্শ সময়। এ সময় রোদও থাকে। আবার দিনটা একটু উষ্ণ থাকে।