মৃত্যুর ঠিক আগেই 'মলত্যাগ' করে মানুষ, কেন জানেন...? চমকপ্রদ 'সত্যিটা' জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Pooping: মৃত্যু নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। প্রতিনিয়ত চলছে বৈজ্ঞানিক গবেষণা। একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রবণতা নিশ্চয়ই সকলেই লক্ষ করেছেন, যে মৃত্যুর ঠিক আগেই মানুষ মল-মূত্র ত্যাগ করে। কেন এমন হয় তা কি জানেন?
advertisement
1/10

মৃত্যু নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। প্রতিনিয়ত চলছে বৈজ্ঞানিক গবেষণা। একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রবণতা নিশ্চয়ই সকলেই লক্ষ করেছেন, যে মৃত্যুর ঠিক আগেই মানুষ মল-মূত্র ত্যাগ করে। কেন এমন হয় তা কি জানেন?
advertisement
2/10
মৃত্যুর পরে কী ঘটে, তা এখনও এক গভীর রহস্য। বহু বছর ধরে মানবজাতি এর উত্তর খুঁজছে। এটি এমন একটি প্রশ্ন যা সবাইকে কৌতূহলী করে তোলে, এবং এর ব্যাখ্যা খুঁজতে আধ্যাত্মিকভাবে বহু প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। তবে, হিন্দু পুরাণগুলির মধ্যে একটি, 'গরুড় পুরাণ', এতে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে তার আগে বিজ্ঞানসম্মত কারণগুলি জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
3/10
পেশির সম্পূর্ণ শিথিলতা: - যখন একজন ব্যক্তি মারা যান, তখন শরীরের সমস্ত পেশি শিথিল হয়ে যায়। এই অবস্থাকে "Primary Flaccidity" বলে। - মলদ্বার ও মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণকারী পেশিগুলোও শিথিল হয়ে যায়, ফলে অজান্তেই মল-মূত্র নির্গত হতে পারে।
advertisement
4/10
স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যাওয়া: - মৃত্যুর সময় মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কমতে থাকে এবং শেষ পর্যায়ে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। - ফলে শরীর স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ হারায়, বিশেষ করে মল-মূত্র ত্যাগের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
advertisement
5/10
শরীরে অক্সিজেনের অভাব: - হৃদযন্ত্র ও শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার আগে শরীরে অক্সিজেনের অভাব ঘটে, যা পাচনতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। - এতে পেটের পেশিগুলোর সংকোচন ঘটে এবং মৃত্যুর আগে বা পরেই মলত্যাগ হতে পারে।
advertisement
6/10
ক্লিনিক্যাল ডেথ ও বায়োলজিক্যাল ডেথের সময় পার্থক্য: - ক্লিনিক্যাল ডেথ(হৃদযন্ত্র থেমে যাওয়া) ও বায়োলজিক্যাল ডেথ(সমস্ত কোষের কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়া) এর মধ্যে কিছু সময়ের ব্যবধান থাকে। - এই সময়ে শরীরের কিছু স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, যার মধ্যে মল-মূত্রত্যাগ অন্যতম।
advertisement
7/10
এবার আসা যাক আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যায়। গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, এই শেষ মুহূর্তে এক প্রবল আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, গরুড় পুরাণে লেখা আছে যে **যমলোক থেকে দুই দূত আত্মাকে নিতে আসে। তখন ব্যক্তির মধ্যে আরও বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বলা হয়েছে যে যমদূতেরা দেখতে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর—তাদের বড় বড় চোখ এবং ধারালো নখ থাকে।
advertisement
8/10
গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, মৃত্যুর সময় চরম আতঙ্কের কারণে ব্যক্তি অজান্তেই মলত্যাগ বা মূত্রত্যাগ করে ফেলেন। এটি এক প্রকার সংকেত যে যমদূতেরা চলে এসেছে, জীবনের সমাপ্তি ঘটতে চলেছে এবং আত্মার যাত্রা শুরু হচ্ছে।
advertisement
9/10
গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, মৃত্যুর সময় শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। মৃত্যুর কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ এক ধরনের গভীর অচেতন অবস্থায় চলে যায়। তার শারীরিক সংবেদনশীলতা ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকে। ফলে তিনি কথা বলতে পারেন না, এমনকি শরীরের কোনও অঙ্গ নড়াতেও সক্ষম হন না। এইভাবেই গরুড় পুরাণ মৃত্যু, পুনর্জন্ম, কর্মফল এবং আত্মার মুক্তি সম্পর্কে এক বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করে।
advertisement
10/10
Disclaimer: এই প্রতিবেদন কেবলমাত্র তথ্যের জন্য। নিউজ ১৮ বাংলার নিজস্ব মতামত নয়। বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
মৃত্যুর ঠিক আগেই 'মলত্যাগ' করে মানুষ, কেন জানেন...? চমকপ্রদ 'সত্যিটা' জানলে মাথা ঘুরে যাবে!