গোল্লায় যাক দামি কলপ-ডাই-কালার! সরষের তেলে এই ২ জিনিস সামান্য মিশিয়ে মাখলেই কেল্লাফতে! ধবধবে সাদা চুল কুচকুচে কালো থাকবে দীর্ঘ দিন!

আজকের যুগে, মানুষের চুল অল্প বয়সেই সাদা হয়ে যাচ্ছে। ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে অনেক তরুণের চুল সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায়। এটি এড়াতে, বেশিরভাগ মানুষ রাসায়নিকযুক্ত চুলের রঙ ব্যবহার করে। রাসায়নিকযুক্ত রঙ চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এবং কখনও কখনও চুল পড়ার কারণও হয়ে ওঠে।

এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে সাদা চুল থেকে মুক্তি পাওয়ার সঠিক উপায় কী? আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি সরষের তেলে কিছু দেশীয় জিনিস মিশিয়ে সেই তেল দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করা হয়, তাহলে সাদা চুল থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং চুল পড়াও কমানো যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই দেশীয় প্রতিকারের উপকারিতা এবং এটি তৈরির উপায়।

ভারতীয় রান্নাঘরে খাদ্য এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় রোগের চিকিৎসার জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সরষের তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। এতে ভিটামিন ই, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, সেলেনিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়, মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের অকাল পেকে যাওয়া রোধ করে। চুল মজবুত করতে এবং চুল পড়া কমাতেও সরষের তেল খুবই কার্যকর। এতে আরও কিছু জিনিস যোগ করলে এটি আরও কার্যকর হতে পারে।

সরষের তেলে কালো জিরে এবং কারি পাতা মিশিয়ে লাগালে তা একটি দুর্দান্ত ঘরোয়া প্রতিকার। কালো জিরে দানায় থাইমোকুইনোন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে, যা চুলের লোমকূপকে সক্রিয় করে এবং সাদা চুল কালো করতে সাহায্য করে। কারি পাতায় উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন, আয়রন, ভিটামিন সি এবং বি ভিটামিন চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং মেলানিন বজায় রাখে, যার কারণে সাদা চুল ধীরে ধীরে কালো হতে শুরু করে।

প্রথমে ১০০ মিলি সরিষার তেল, ১ চা চামচ কালোজিরার বীজ, ২০-২৫টি কারি পাতা এবং ১ চা চামচ মেথি বীজ নিন। একটি লোহার প্যানে কম আঁচে সরিষার তেল গরম করুন। এতে কালোজিরার বীজ, কারি পাতা এবং মেথি বীজ দিন। কারি পাতা মুচমুচে হয়ে গেলে এবং কালোজিরার বীজ কিছুটা ফুলে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিন।

তেল ঠান্ডা হতে দিন, তারপর ছেঁকে একটি কাচের বোতলে ভরে নিন। রাতে ঘুমানোর আগে সপ্তাহে ২-৩ বার এই তেল দিয়ে চুলের গোড়ায় হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। আপনি চাইলে হালকা গরম তেল লাগান যাতে এটি মাথার ত্বকে ভালভাবে শোষিত হয়। ম্যাসাজের পর, চুল একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন এবং পরের দিন সকালে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ৪-৬ সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহারের সাথে এর প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে।

কালো জিরে চুলের গোড়া সক্রিয় করে এবং খুশকি কমায়। কারি পাতা মেলানিন বাড়ায়, যা চুলের প্রাকৃতিক রঙ ফিরিয়ে আনে। মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড থাকে, যা চুল পড়া রোধে কার্যকর। সরষের তেল চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায় এবং ঘন, কালো এবং শক্তিশালী করে।

চুল আবার কালো করতে এই রেসিপিটি খুবই কার্যকর, তবে আপনি যদি প্রথমবার এই রেসিপিটি ব্যবহার করেন, তাহলে প্রথমে একটি প্যাচ টেস্ট করুন, যাতে কোনও অ্যালার্জির সম্ভাবনা না থাকে। এই প্রতিকারটিকে প্রাকৃতিক রঞ্জক হিসেবে বিবেচনা করবেন না, কারণ এটি ধীরে ধীরে প্রভাব দেখায়। এই রেসিপিটি ছাড়াও, চুল কালো করার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম এবং চাপমুক্ত জীবনধারা গ্রহণ করুন।