White Hair: গাদা গাদা টাকা দিয়ে কেনা তেল-শ্যাম্পু-কলপের খেল খতম! এই সস্তা তেল গরম করে মাথায় মাখলেই বন্ধ চুল পাকা!

আজকের আধুনিক যুগে চুলের সমস্যা ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। কেবল বয়স্করাই নয়, তরুণরাও, এমনকি শিশুরাও অসংখ্য চুলের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। চুল পড়া, পাকা, খুশকি এবং চুলকানির মতো সমস্যাগুলি অল্প বয়সেই মানুষকে সমস্যায় ফেলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চুলের সমস্যা প্রায়শই পেটের গরম থেকে শুরু হয়।

আপনি যদি বৃদ্ধ বয়সেও চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে চান, তাহলে আপনার অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সংশোধন করতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক চুলের সমস্যা কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন৷

আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ অনিল কুমার বলেন, বেশিরভাগ চুলের সমস্যা, এমনকি ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও, জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস, পিৎজা, বার্গার ইত্যাদি অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে হয়। অতিরিক্ত জাঙ্ক খাবার চুলের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করে, যা চুলকে দুর্বল করে দেয়। সুস্থ চুলের জন্য সুষম খাদ্য অপরিহার্য। অতিরিক্তভাবে, চাপ কমিয়ে আনুন এবং হাইড্রেটেড থাকুন, কারণ চাপ চুল পড়ার একটি প্রধান কারণ হতে পারে। জল পান করতে অবহেলা করবেন না।

তিনি বলেন, ভৃঙ্গরাজ চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ, যা চুল পড়া, খুশকি এবং চুলকানি রোধ করে, পাশাপাশি চুল ঘন এবং চকচকে করে তোলে। ভৃঙ্গরাজ তেল গরম করে চুলে ম্যাসাজ করুন, সারারাত রেখে দিন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। আমলকির তেলের সঙ্গে এটি ব্যবহার করা আরও শক্তিশালী।

ত্রিফলা গুঁড়ো চুলের জন্য একটি ঔষধ। এতে আমলা, হরিতকি এবং বহেড়ার মিশ্রণ রয়েছে, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। এটি কেবল চুল পড়া বন্ধ করতেই সাহায্য করে না, খুশকি এবং চুলকানিও দূর করতে সাহায্য করে। ত্রিফলা বাত দোষের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে, চুল পড়া এবং সাদা হওয়া কমাতে পারে। এটি চুলের মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা হালকা গরম জল দিয়ে মাথার ত্বক ধুয়ে ফেলা যেতে পারে।