ভাইরাসের যম...! শীতে এই 'তেল' মাত্র 'তিন' ফোঁটা নাকে! এক 'ওষুধেই' ছুমন্তর ১০০ রোগ! নামমাত্র খরচে শরীর চাঙ্গা-ফুরফুরে

কোভিড সংক্রমণের ভয়ঙ্কর দিন আবার মনে পড়াচ্ছে HMP ভাইরাস। আচমকা ফের ফিরে আসছে লকডাউন-অতিমারীর স্মৃতি। যদিও চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, এই ধরণের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, জ্বর-ঠান্ডা লাগা-র্যাশের মতো উপসর্গ এই মরশুমের সহজাত। এই ধরণের ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে হতে হবে সতর্ক।

বস্তুত, আধুনিকতার এই যুগে মানুষ বাস্তবতা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। মানুষ এমন নানা শারীরির সমস্যায় ভুগছেন যেগুলি কিন্তু আমাদের বাড়িতে থাকা কোনও কোনও ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে দিয়েই জব্দ করা যায়। প্রয়োজন পরে না মুঠো মুঠো ওষুধ।

এই শীতে এমনই একটি দুর্ধর্ষ ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করলে দূরে রাখতে পারবেন ভাইরাসদেরও। শুধু জানতে হবে সঠিক 'প্রতিকার' ও সঠিক নিয়ম। এই শীত ঋতুতে হওয়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা এক 'ওষুধেই' হবে সমাধান।

ঠাকুমা-দিদিমাদের আমল থেকেই কিন্তু শীতকালে সর্ষের তেলের অনেক ব্যবহার রয়েছে যা দুর্দান্ত। প্রাচীনকাল থেকেই পরিবারের প্রবীণরা এই প্রতিকার ব্যবহার করে আসছেন।

উদাসীনাথ মঠ বসন্তপুর বালিয়ার মঠ আচার্য নিত্যানন্দ দাস জানান, "ছোটবেলা থেকেই তিনি সর্ষের ব্যবহার করে আসছেন। বিশেষ করে ঠান্ডা ঋতুতে সর্ষের তেল প্রয়োগ করা একটি প্রাচীন ঐতিহ্য।

এটি নিঃসন্দেহে মা এবং দিদাদের ঘরোয়া প্রতিকারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির মতো অনেক বৈশিষ্ট্যের ভাণ্ডার।

তেল, রুটি: শীতে খাঁটি সর্ষের তেল ও লবণে মুড়িয়ে মা-ঠাকুমারা বাচ্চাদের রুটি খেতে দিতেন। এটি শিশুদের শরীরে উষ্ণতা প্রদান করে।

তেল মালিশ: বারান্দায় বা রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গায় আধঘণ্টা রেখে সেই সর্ষের তেল দিয়ে শরীরে মালিশ করুন। এর পর স্নান করুন। এটি সারাদিন শরীরকে ফিট-ঝরঝরে ও সুস্থ রাখে।

সর্দি-কাশি: দুই থেকে তিন ফোঁটা সর্ষের তেল নাকে দিলে সর্দি-কাশি সেরে যাবে।

দাঁতের ব্যথা: দাঁতের ব্যথা উপশমে আধা চা চামচ সর্ষের তেল, এক চা চামচ হলুদ এবং আধ চা চামচ লবণ দাঁত ও মাড়িতে লাগান।

ত্বকের উপকারিতা: সর্ষের তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, যা দাগ ও বলিরেখা দূর করে এবং সৌন্দর্য যোগায়।

দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা: সর্ষের তেল দিয়ে মালিশ করা তীব্র ব্যথা উপশম করে, স্নায়ুকে শক্তি দেয়।

ফাটা ঠোঁট: নাভিতে সর্ষের তেল লাগালে ঠোঁট ফাটার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি শুধুমাত্র ডাক্তারদের ব্যক্তিগত মতামত।

শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।