Viral: দিল্লি কা লাড্ডু? একটা-দুটো নয়, ৯ বিয়েতেও মন ভরেনি! ফের ছাদনাতলায় আরও দুই নারীকে নিয়ে...

কথায় বলে বিয়ে হল দিল্লি কা লাড্ডু। আর বিয়ের এই লাড্ডু যারা খাবে তারাও পস্তাবে আবার যারা খাবে না, তারাও পস্তাবে। কিন্তু আমরা যাঁর কথা বলতে চলেছি তিনি এক-দুই নয়, নয় বার এই মহান লাড্ডুটি খেয়েছেন, কিন্তু তারপরেও এখনও তাঁর মন ভরেনি। শোনা যাচ্ছে যে এই ব্রাজিলিয়ান পুরুষ এখন আরও ২ জন মহিলাকে বিয়ে করবেন এবং তার স্ত্রীর সংখ্যা বাড়িয়ে ১১ করতে চলেছেন খুব শিগগিরই।

ব্রাজিলিয়ান মডেল আর্থার ও উরসো গত বছর হঠাৎই লাইমলাইটে আসেন যখন তিনি গির্জায় গিয়ে একসঙ্গে ৯ মেয়েকে বিয়ে করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ট্রোলও করেন অনেকে। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাও পাওলোতে বসবাসকারী আর্থার এর আগে কঠোর পরিশ্রম করে তাঁর ওজন কমিয়েছিলেন রেকর্ড গতিতে।

এর পরে তিনি ৯ টি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন একইসঙ্গে। প্রেমিকাদের কাউকে অবশ্য বিরূপ করেননি আর্থার। তাঁর নয় প্রেমিকার সকলকেই আর্থার এক সঙ্গে বিয়ে করে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই কী শখ মিটল আর্থারের?

ডেইলি মিররের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, ৯জনের মধ্যে তাঁর একজন স্ত্রী এবার অর্থারকে ডিভোর্স দিতে চলেছেন। তাই আর্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি আরও ২ জন মহিলাকে বিয়ে করবেন এবং মোট স্ত্রীর সংখ্যা ১০ করবেন খুব শিগগিরই।

ডেইলি মিররের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, ৯জনের মধ্যে তাঁর একজন স্ত্রী এবার অর্থারকে ডিভোর্স দিতে চলেছেন। তাই আর্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি আরও ২ জন মহিলাকে বিয়ে করবেন এবং মোট স্ত্রীর সংখ্যা ১০ করবেন খুব শিগগিরই।

প্রতিবেদনে আর্থার জানান, তাঁর স্ত্রী আগাথা চেয়েছিলেন তাঁরা স্বাভাবিক স্বামী-স্ত্রীর মতো একে অপরের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রেখে চলুন। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান আর্থার। এরপরে আগাথা যখন আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন আর্থার প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েছিলেন এবং তাঁর স্ত্রীর দেখানো কারণ শুনে তিনিও যারপরনাই অবাক হয়েছিলেন।

আর্থার প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলেন যে তিনি সবসময়ই চান তাঁর ১০ জন স্ত্রী তাঁর সঙ্গেই থাকুক। কোনও একজনের জন্য এঁদের কাউকেই ছাড়তে রাজি নন আর্থার। বর্তমানে তার একটি মাত্র কন্যা সন্তান রয়েছে। আর্থার এও চান যেন প্রতিটি স্ত্রী তাঁর থেকে সন্তান লাভ করুন।

এখানেই শেষ নয়, আর্থারের দাবি তাঁর স্ত্রীরা একে অপরকে ভালবাসেন। শুধু তাই নয়, আর্থার এবং তার স্ত্রীরা একসঙ্গেই থাকে। তবে আগাথা কিন্তু সেইরকম মনোভাবাপন্ন ছিলেন না।

এমনটাই জানিয়েছেন আর্থার ওই প্রতিবেদনে। অ্যাডভেঞ্চারের লোভ থেকেই বিয়েতে সম্মতি দিয়েছিলেন আগাথা। আর্থারের কথায়, আগাথার মধ্যে তাঁর প্রতি কোনোদিনই কোনও ভালবাসা ছিল না। তাই তাঁর সিদ্ধান্তে এতটুকুও বিচলিত আর নন আর্থার। বরং দিন গুনছেন আগামী দিনে আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার।