বুক ধড়ফড়-ঝিমুনি-ওজন বৃদ্ধি ভালভুলার হৃদরোগের ইঙ্গিত, আজই সাবধান হোন

হার্টের রোগ নিয়ে আপনি কতটা সচেতন? ইদানীং অল্প বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর একের পর এক শোনা যাচ্ছে। ফলে হৃদয়ের আলাদা করে যত্নের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা সাবধান করেন, বর্তমান লাইফস্টাইলের জেরে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ছে। ফলে যত্নশীল হতে হবে অনেক বেশি।

ভালভুলার হার্টের রোগ নিয়ে সাবধান হতে বলছেন চিকিৎসকেরা। হৃদযন্ত্রের চারটি ভালভের মধ্যে কোনও একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেই এই ভালভুলার হার্টের রোগ আক্রান্ত হন কোনও মানুষ।

ভালভের মাধ্যমেই হৃদযন্ত্রে রক্তের প্রবাহ বজায় থাকে। যখনই একটি বা একাধিক ভালভ ঠিক মতো খোলা বা বন্ধ হওয়ায় সমস্যা হয়, জানবেন আপনি হার্টের রোগে ঝুঁকিতে রয়েছেন।

হৃদয়ে কান পেতে শুনুন, কোনও অস্বাভাবিক শব্দ বা স্পন্দন শুনতে পাচ্ছেন কি না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিউমেটিক জ্বর যাতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়ে থাকে, তা দিয়েই এই রোগের সূত্রপাত সম্ভব। গলায় সংক্রমণের পর যদি ঠিক মতো চিকিৎসা না হয়, তা ভালভুলার হার্ট রোগ পর্যন্ত ঘটাতে পারে। এছাড়াও বুকে ব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপ ভালভুলার হার্ট রোগের কারণ।

কার্ডিওলজিস্টরা বলেন, কোনও শিশু জন্ম থেকেই ভালভুলার হার্ট রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বা সময়ের সঙ্গেও তৈরি হতে পারে এই রোগ। কী ভাবে বুঝবেন আপনি ভালভুলার হার্ট রোগে আক্রান্ত কি না? চিকিৎসকেরা সহজ উপায় বলে দিয়েছেন।

অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাসের ঘাটতি, জ্বর, ঘুম ঘুম ভাব, ওজন বৃদ্ধি মূল লক্ষণ ভালভুলার হার্টের রোগের।

এই রোগ মারাত্মক হতে পারে নিমেষেই। ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব হলেও পরিস্থিতি অনেক সময় জটিল হয়। ফলে ওপেন হার্ট থেকে ভালভ প্রতিস্থাপন পর্যন্ত করতে হতে পারে। ফলে হৃদযন্ত্রের ভালভের খোঁজ জানতে মাঝে মাঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ইকো কার্ডিওগ্রাম করান।

ধূমপান ত্যাগ, নিয়মিত শারীরিক কসরত করা, স্ট্রেস না নেওয়া, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা ও কোলেস্টেরল স্বাভাবিক মাত্রায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।