আপনার বিশেষ অঙ্গে কি 'আঁশটে' গন্ধ? রোজ কোন ভুলের জন্য এমন হচ্ছে জানেন? পরিষ্কার রাখুন সঠিক উপায়ে
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Female Hygiene: আপনি কি স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে হালকা ভাবে নিচ্ছেন?বিশেষ অঙ্গ ঠিক ভাবে পরিষ্কার না রাখলে কিন্তু বিপদ! মেয়েরা ভাল করে পড়ুন এই প্রতিবেদন।
advertisement
1/11

Female Hygiene: ব্যস্ত জীবনে অনেকেই নিজের খেয়াল রাখেন না। বিশেষ করে মেয়েরা কর্মজীবন এবং সংসার সামলে স্বাস্থ্যবিধির যত্ন করার সময় পান না। এর ফলে অজান্তে শরীরে বাসা বাঁধে কঠিন রোগ। যদি গোপনাঙ্গের অযত্ন করেন মহিলারা, তবে হয়ে যেতে পারে বড় ক্ষতি। কী ভুল করছেন রোজকার জীবনে? সতর্ক হন এই প্রতিবেদনে। (Representative Image: AI generated)
advertisement
2/11
আমাদের জীবনযাত্রা এখন দ্রুত বদলে যাচ্ছে। কাজ, দায়িত্ব, পরিবার—এত কিছু সামলাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার সময়ই যেন থাকে না। বিশেষত শরীরের কিছু সংবেদনশীল অংশের পরিচ্ছন্নতা অনেকেই ঠিকভাবে মানেন না। এই অংশগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো যোনি।
advertisement
3/11
যোনি আসলে খুব সূক্ষ্ম একটি অঙ্গ, যা নিজে থেকেই পরিষ্কার থাকতে পারে। এতে প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত ল্যাকটোবাসিলি নামের উপকারী ব্যাকটেরিয়া পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে। কিন্তু যখন এই ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন সংক্রমণ, চুলকানি, প্রদাহের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রতিটি মহিলারই যোনি-স্বাস্থ্যের মৌলিক বিষয়গুলো জানা উচিত। (Representative Image: AI generated)
advertisement
4/11
মহিলাদের অবশ্যই যোনি-স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। প্রাকৃতিক পিএইচ লেভেল (PH Level) বজায় রাখতে গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। সাবান বা পারফিউম ব্যবহার করবেন না। স্যানিটারি প্যাড ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর বদলানো জরুরি। (Representative Image: AI generated)
advertisement
5/11
প্রথমত, যোনি পরিষ্কার করার জন্য শুধু গরম জল ব্যবহার করা উচিত। অনেকেই সাবান, ক্লিনজিং সলিউশন বা পারফিউম ব্যবহার করেন—যা যোনির প্রাকৃতিক পিএইচ লেভেল নষ্ট করে দেয়। এতে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমে যায় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বেড়ে ওঠে। এর ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। (Representative Image: AI generated)
advertisement
6/11
এছাড়াও, যোনি পরিষ্কার করার সময় সবসময় সামনের দিক থেকে পিছনের দিকে মুছতে হবে, যাতে পিছনের দিকের জীবাণু সামনে না আসে। এইভাবে মুছলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI)-এর ঝুঁকি কমে। (Representative Image: AI generated)
advertisement
7/11
মাসিক চলাকালীন যোনি-পরিচ্ছন্নতা আরও বেশি জরুরি। এ সময় প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা অন্তর স্যানিটারি প্যাড বা ট্যাম্পন বদলাতে হবে। দীর্ঘ সময় একই প্যাড ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে ওঠে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। (Representative Image: AI generated)
advertisement
8/11
"যোনি প্রাকৃতিকভাবে নিজেকে পরিষ্কার রাখে। অপ্রয়োজনীয় সাবান বা রাসায়নিক ব্যবহার করলে এর পিএইচ ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যায়, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই শুধু গরম জল ও সঠিক অভ্যাসই যথেষ্ট।" —বলছেন ডা. অনন্যা সেন, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। (Representative Image: AI generated)
advertisement
9/11
পোশাকের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। দৈনন্দিন ব্যবহারে কটন, হাওয়া চলাচল করে এমন, ঢিলেঢালা কাপড় পরাই ভালো। সিনথেটিক কাপড়ে ঘাম বেশি হয়, আর এই আর্দ্র পরিবেশ ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে। তাই বিশেষজ্ঞরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে এমন কাপড় পরার পরামর্শ দেন। (Representative Image: AI generated)
advertisement
10/11
শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, ছোটবেলাতেই মেয়েদের এসব শেখানো জরুরি। ১০-১২ বছর বয়স থেকেই শরীরের পরিচ্ছন্নতা ও মাসিক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। ভবিষ্যতে সুস্থ থাকতে চাইলে ছোটবেলা থেকেই ভালো অভ্যাস তৈরি করতে হবে। (Representative Image: AI generated)
advertisement
11/11
সবশেষে, যোনি বেশি ঘষাঘষি করা বা বিভিন্ন ধরনের ওয়াশ ব্যবহার করা শরীরের জন্য ভালো নয়। প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার রাখা যথেষ্ট। আর সংক্রমণ বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। (Representative Image: AI generated)
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
আপনার বিশেষ অঙ্গে কি 'আঁশটে' গন্ধ? রোজ কোন ভুলের জন্য এমন হচ্ছে জানেন? পরিষ্কার রাখুন সঠিক উপায়ে