Fruits to cause High Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে চড়বে মগডালে! জীবন থেকে আজই মুছে ফেলুন এই ৫ ফল! গেঁটে বাতের ঠেলায় নড়তেই পারবেন না

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করার একটি উপায় হল আপনি কী খাচ্ছেন সে সম্পর্কে সতর্ক থাকা। কিছু খাবারে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে এবং এগুলি এড়িয়ে চলা উচিত। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত কারণ ফল এবং শাকসবজিতে পাওয়া ফ্রুক্টোজ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদনকে বাড়াতে পারে।

পু্ষ্টিবিদ নিধি এস-এর মতে, শরীরে উপস্থিত রাসায়নিক পিউরিন কিছু খাবারেও পাওয়া যেতে পারে। তাই পিউরিনের কম ব্যবহার রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। ফ্রুক্টোজ হল বিভিন্ন ফল এবং সবজিতে পাওয়া প্রাকৃতিক চিনি। ফ্রুক্টোজের উপস্থিতির কারণে, কিছু খাবারের স্বাদ স্বাভাবিক মিষ্টি হয়। তবে, ফ্রুক্টোজ হল এমন একটি উপাদান যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায়। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য নিধি যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত তার পরামর্শ দেন৷

কিশমিশ তৈরি করা হয় আঙুর থেকে যাতে পিউরিন থাকে। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে গাউটের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে এবং এটি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। গাউটের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের এই শুকনো ফলগুলি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলা উচিত।

যদিও তেঁতুলের পাল্পের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, তবে গেঁটেবাতের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি সুপারিশ করা হয় না। ফ্রুক্টোজের পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড উৎপাদনকে বাড়ায় যা আরও খারাপ পরিণতির দিকে পরিচালিত করে।

আপেলও প্রাকৃতিক ফ্রুক্টোজের ভান্ডার। অতিরিক্ত আপেল খেলে গাউটের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

খেজুর হল কম পিউরিনযুক্ত ফল, তবে এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকে। খেজুর খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে কারণ এটি আপনার রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ পরিবর্তন করতে পারে।

সবেদাকে উচ্চ-ফ্রুক্টোজযুক্ত খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই, আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবেদা এড়িয়ে চলাই ভালো।