Uric Acid Remedies: ইউরিক অ্যাসিডের যম এই ৮ অভ্যাস! মেনে চলতে পারলেই শরীর থেকে দূর হবে ইউরিক অ্যাসিড...

উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো হাঁটুর ও জয়েন্টের ব্যথা, ফোলাভাব এবং কিডনির সমস্যা। শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জমে গেলে তা জয়েন্টে স্ফটিকের মতো জমা হতে শুরু করে। সাধারণত মানুষ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন, তবে ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক উপায়েও এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার।

ত্রিফলা চূর্ণ ত্রিফলা চূর্ণ তৈরি হয় আমলকি, হরীতকী এবং বহেড়া দিয়ে। এটি শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। রাতে শোবার আগে এক গ্লাস গরম জলে ১ চা চামচ ত্রিফলা গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে পারে এবং শরীর পরিষ্কার থাকে।

আমলকি জুস আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকি জুস খেলে জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলাভাব অনেকটাই কমে যায়।

হলুদের ব্যবহার হলুদে থাকে কুরকুমিন নামক উপাদান, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এক গ্লাস গরম জলে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে এবং জয়েন্টের ব্যথা কমে।

টক ফলের উপকারিতা কমলা, লেবু, আঙুর এবং মৌসুম্বির মতো টক জাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন C থাকে। এই ফলগুলি শরীরে জমে থাকা ইউরিক অ্যাসিডের স্ফটিক গলিয়ে দিতে সাহায্য করে। আপনি এই ফলগুলি সরাসরি খেতে পারেন কিংবা জুস বানিয়েও খেতে পারেন।

গুলঞ্চ (গিলয়) গুলঞ্চ বা গিলয় একটি প্রাকৃতিক আয়ুর্বেদিক উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর। গুলঞ্চের ক্বাথ বা গুলঞ্চ ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। এটি রক্ত পরিষ্কার করে এবং প্রদাহ কমায়।

পর্যাপ্ত জল পান করুন প্রতিদিন অন্তত ২.৫ থেকে ৩ লিটার জল পান করা উচিত। এতে কিডনি ইউরিক অ্যাসিড ফিল্টার করে শরীর থেকে বাইরে বের করতে পারে। পর্যাপ্ত জল শরীরের টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার ও প্রোটিনে নিয়ন্ত্রণ প্রচুর পরিমাণে রেড মিট, প্রক্রিয়াজাত খাবার, বেশি প্রোটিন ও অ্যালকোহল গ্রহণ ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়। তাই এই ধরনের খাবার পরিহার করা উচিত এবং বেশি করে সবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিৎ।

শারীরিক পরিশ্রম করুন নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম শরীরের বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে এবং ইউরিক অ্যাসিড জমতে বাধা দেয়। প্রতিদিন হাঁটা, যোগব্যায়াম বা হালকা অ্যারোবিক্স উপকারী হতে পারে।

এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি মেনে চললে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানো সম্ভব এবং জয়েন্টে ব্যথা ও ফোলাভাব থেকেও স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দিল্লির আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাহুল মেহতা বলেছেন, “উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রাথমিক অবস্থাতেই ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। আমলকি, গুলঞ্চ ও ত্রিফলার মতো উপাদান দারুণ কার্যকর”...

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।