Uric Acid Heart Attack: শরীরে এই জিনিসের মাত্রা বেশি হলেই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি! মাত্র ৫.৫ হলেও হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Uric Acid Heart Attack: গবেষণা বলছে, ইউরিক অ্যাসিড বেশি হলে গেঁটে বাতের পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে। মাত্র ৫.৫ mg/dL ইউরিক অ্যাসিড থাকলেও রক্তনালি শক্ত হতে শুরু করে। তাই সময় থাকতে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। বিস্তারিত জানুন...
advertisement
1/10

সাধারণভাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ৭.০ mg/dL পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা হলেও, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে ৫-এর বেশি ইউরিক অ্যাসিডও রক্তনালিকে কঠিন করে তোলে, যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়। অর্থাৎ, ইউরিক অ্যাসিডের লেভেল যদি ৫.৫-এর ওপরে হয়, তবে তা হৃৎপিণ্ডের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
advertisement
2/10
মেডিকেল সায়েন্স এতদিন ধরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে শুধু গেঁটে বাত হয় বলেই জানতো। কিন্তু এখন গবেষণা বলছে, ইউরিক অ্যাসিড নিঃশব্দে শরীরের মধ্যে একাধিক রোগ সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক ও মেটাবলিক সিনড্রোম অন্যতম। তাই ল্যাব রিপোর্টে ইউরিক অ্যাসিড ৭ দেখা গেলে তা স্বাভাবিক ধরে নেওয়া উচিত নয়।
advertisement
3/10
এই নতুন গবেষণার দাবি, ইউরিক অ্যাসিড হার্ট ব্লক, হঠাৎ হৃদরোগ এবং রক্তনালির সংকোচনের জন্য দায়ী হতে পারে। এটি শরীরের বায়োকেমিক্যাল প্রক্রিয়ার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। ফলে ইউরিক অ্যাসিড সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো প্রয়োজন।
advertisement
4/10
গবেষকরা দেখেছেন, ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে রক্তনালিতে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বেড়ে যায়। যেহেতু ইউরিক অ্যাসিড নিজেই একটি ইনফ্লামেটরি উপাদান, তাই এটি ধমনিগুলিকে ধীরে ধীরে সংকুচিত করে তোলে। দীর্ঘমেয়াদে এই অবস্থা রক্তনালির স্থায়িত্ব নষ্ট করে দেয় এবং সেখানে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়।
advertisement
5/10
এই রকম পরিস্থিতিতে রক্তনালি ফেটে গিয়ে সেখানে ব্লাড ক্লট তৈরি হতে পারে, যা রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। যখন এই বাধা সম্পূর্ণ হয়, তখন হার্ট অ্যাটাক হয়। আর যদি হৃৎপিণ্ডে রক্ত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, তবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে তাৎক্ষণিক মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
advertisement
6/10
ইউরিক অ্যাসিড মূলত প্রোটিনের এক উপজাত— যেটি ‘পিউরিন’ নামক যৌগ ভেঙে তৈরি হয়। যখন শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়, কিডনি সবটা বের করে দিতে পারে না। তখন এই অ্যাসিড ক্রিস্টালের আকারে শরীরে জমা হয়, যা গেঁটে বাতের কারণ হয়। এই অবস্থাকেই বলে হাইপারইউরিসেমিয়া।
advertisement
7/10
ইউরিক অ্যাসিড কমাতে হলে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস জল খেয়ে দিন শুরু করুন। খেয়াল রাখুন, লেবু বা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে। দিনে পর্যাপ্ত জল পান করুন এবং খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস রাখুন, যা ইনসুলিন সেনসিটিভিটিও বাড়ায়।
advertisement
8/10
খাবারে কুমড়োর বীজ ও বাদাম যুক্ত করুন। অতিরিক্ত লবণ খেলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে, তাই লবণ কিছুটা কমিয়ে নারকেল জল বা কলার মতো পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খান। ঘুমানোর আগে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম বা ১০ মিনিট মেডিটেশন করতে পারেন। যদি ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনে ওষুধ নিন।
advertisement
9/10
দিল্লি AIIMS-এর সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট ড. অমিত শর্মা বলেছেন, “আমরা এতদিন ধরে ইউরিক অ্যাসিডকে শুধু গেঁটে বাতের সঙ্গে জড়িত ভাবতাম। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এটি হার্টের রক্তনালিকাও কঠিন করে তুলতে পারে। তাই যাঁদের ইউরিক অ্যাসিড ৫.৫-এর ওপরে, তাঁদের নিয়মিত চেকআপ ও ডায়েট নিয়ন্ত্রণ জরুরি।”
advertisement
10/10
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Uric Acid Heart Attack: শরীরে এই জিনিসের মাত্রা বেশি হলেই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি! মাত্র ৫.৫ হলেও হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ...