Uric Acid Control Drinks: শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়েছে? সস্তার এই ৫টি জলই আপনাকে ওষুধ ছাড়াই দেবে উপকার!

আজকাল অনিয়মিত জীবনযাপন আমাদের শরীরে অনেক সমস্যার জন্ম দিচ্ছে। ইউরিক অ্যাসিড সেই সমস্ত সমস্যার মধ্যে অন্যতম। এটি শরীরে তৈরি হওয়া একটি বর্জ্য পদার্থ, যা পিউরিন নামক যৌগ ভাঙার ফলে সৃষ্টি হয়।

শরীরে যদি ইউরিক অ্যাসিড স্বাভাবিক মাত্রার থেকে বেশি হয়ে যায়, তবে তা নানা জটিলতা তৈরি করতে পারে। তবে সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ওষুধ ছাড়াও এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি বেড়ে যায়, তখন চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হয়। কারণ এই সমস্যা উপেক্ষা করলে কিডনি ফেলিওরের মতো গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে আপনি যদি কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণ করেন, তবে ইউরিক অ্যাসিড সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

এখন প্রশ্ন, ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কী ধরনের পানীয় খাওয়া উচিত? এ বিষয়ে দিল্লির কৈলाश দীপক হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান ঋচা শর্মা জানিয়েছেন যে কিছু প্রাকৃতিক পানীয় এই ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর হতে পারে।

লেবু জল: সকালে উঠে দিন শুরু করুন লেবু জল দিয়ে। লেবুতে থাকে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, যা রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখে। এই কারণে এটি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও কমাতে সাহায্য করতে পারে।

হলুদের জল: এক্সপার্টদের মতে, হলুদে থাকে কার্কিউমিন নামক একটি উপাদান, যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সহায়ক। এটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণসম্পন্ন, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

আদার জল: আদায় রয়েছে জিঞ্জারল নামক উপাদান, যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। সকালে খালি পেটে আদা জলের সেবন এই সমস্যার উপশমে কার্যকর হতে পারে।

লাউয়ের রস: লাউ একটি সবুজ শাকসবজি যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন লাউয়ের রস খেলে শরীরে জমে থাকা ইউরিক অ্যাসিড সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে এবং কিডনির কাজকে সহায়তা করে।

বিটের রস ও গ্রিন টি: বিটের রসেও ইউরিক অ্যাসিড কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। বিট রক্ত পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। অন্যদিকে গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

এই পানীয়গুলির মধ্যে যেকোনো একটি অভ্যাসে আনলে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করবে। তবে যদি সমস্যা বেশি বেড়ে যায়, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

দিল্লির কৈলাশ দীপক হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান ঋচা শর্মা বলেছেন, "ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক পানীয় অত্যন্ত কার্যকর। প্রতিদিন লেবু জল বা হলুদের জল পান করলে কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের টক্সিন সহজে বেরিয়ে যায়"...

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।