Uric Acid: সকাল সন্ধ্যায় এই জাদু গুঁড়ো জাস্ট ১ চামচ! চুম্বক টানে গলগলিয়ে বাইরে আসবে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত ইউরিক অ্যাসিড!

আজকের সময়ে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ফলে কেবল জয়েন্টে ব্যথা, খিঁচুনি এবং ফোলাভাবই হয় না, বরং সময়মতো যত্ন না নিলে এটি আর্থ্রাইটিস এবং কিডনি সম্পর্কিত গুরুতর রোগের মূল কারণও হয়ে উঠতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড একটি বিষ। কিছু খাবারের কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় এবং তারপর কিডনি রক্ত থেকে তা ফিল্টার করে প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বার করে দেয়। তবে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হলে কিডনির উপর চাপ বেড়ে যায়।

এই অবস্থায়, কিডনি এটি ফিল্টার করতে অক্ষম হয় এবং শরীরের বর্ধিত ইউরিক অ্যাসিড জয়েন্টগুলির মধ্যে জমা হতে শুরু করে। এর ফলে, ব্যক্তিকে জয়েন্টগুলিতে তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব, লালভাব বা শক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে হয়।

এর জন্য বাজারে অনেক ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। তবে, এগুলো ছাড়াও, কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতির সাহায্যে, আপনি ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমাতে পারেন অথবা এমনকি শরীর থেকে এই বিষাক্ত পদার্থ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে পারেন। বাবা রামদেবের সহযোগী এবং আয়ুর্বেদ কেন্দ্র পতঞ্জলি যোগপীঠের সভাপতি আচার্য বালকৃষ্ণ এমনই একটি বিশেষ পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন।

তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে আচার্য বালকৃষ্ণ ব্যাখ্যা করেছেন, 'ইউরিক অ্যাসিড দূর করার জন্য, আপনি একটি বিশেষ পাউডার তৈরি করে এটি খেতে পারেন।' এই পাউডারটি কেবল ইউরিক অ্যাসিডকে মূল থেকে দূর করতেই কার্যকর হবে না, বরং জয়েন্টগুলিকে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতেও সাহায্য করবে।

গুঁড়ো তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন হবে গোখরু, শুকনো আদা, মেথি বীজ এবং অশ্বগন্ধা। এই চারটি জিনিস সমান পরিমাণে নিন এবং একসঙ্গে ভাল করে পিষে নিন। এটি করলে আপনার পাউডার প্রস্তুত হয়ে যাবে। প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় পাউডারটি খান। আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, এই পাউডার প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরে জমে থাকা ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে কার্যকর হতে পারে।

NCBI-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গোখরু অক্সালেট, ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের নিঃসরণ কমায়। এটি রক্তের ইউরিয়া নাইট্রোজেন (BUN), ইউরিক অ্যাসিড এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গোখরুতে মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে, যা শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড অপসারণেও সাহায্য করে।

শুকনো আদাতে ইথাইল অ্যাসিটেট নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়, যা হাইপারইউরিসেমিক (উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড) মাত্রা কমাতে কার্যকর হতে পারে। এছাড়াও, শুকনো আদাতে উপস্থিত পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে,যা ইউরিক অ্যাসিডের নিঃসরণও উন্নত করে।

মেথি বীজ বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি এবং ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমাতে কার্যকর। এছাড়াও, মেথি বীজের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের কারণে জয়েন্টের ব্যথা এবং ফোলাভাব থেকে মুক্তি দেয়।

অশ্বগন্ধায় প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যায়। এগুলো ইউরিক অ্যাসিডের কারণে জয়েন্টের ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে কার্যকর।