বিশ্বের প্রথম 'ছাতা' কোথায় তৈরি হয়েছিল বলুন তো...? চমকে যাবেন 'উত্তরে'!
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Umbrella: বর্ষায় তো ছাতার সঙ্গে এত প্রেম। কিন্তু আপনি কি জানেন বিশ্বের প্রথম ছাতা কখন এবং কোথায় তৈরি হয়েছিল? এবং এটির এই নামই বা কীভাবে হয়েছিল? খুব কম লোকই এটি সম্পর্কে জানেন। শুনলে অবাক হবেন, ছাতার ইতিহাস ঠিক যতটা পুরনো, ততটাই আকর্ষণীয়।
advertisement
1/16

সারা দেশ জুড়ে চলছে প্রবল বৃষ্টি। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ বৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য রেইনকোট এবং ছাতা ব্যবহার করেন। ছাতা না নিয়ে বেরোলেই এই বৃষ্টিতে চরম বিপত্তি। বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া এড়াতে ছাতাই সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়।
advertisement
2/16
ছাতা হয় নানা রকমের। লেডিস ছাতা, জেন্স ছাতা, ফোল্ডিং ছাতা থেকে দাদুর ছাতা, হরেক রকমের ছাতার থেকেই নিজের পছন্দমতো ছাতা বেছে নেন নিশ্চই আপনিও? আবার ছাতা এখানে ওখানে হারিয়েও ফেলেন এই বৃষ্টির দিনে?
advertisement
3/16
বর্ষায় তো ছাতার সঙ্গে এত প্রেম। কিন্তু আপনি কি জানেন বিশ্বের প্রথম ছাতা কখন এবং কোথায় তৈরি হয়েছিল? এবং এটির এই নামই বা কীভাবে হয়েছিল? খুব কম লোকই এটি সম্পর্কে জানেন। শুনলে অবাক হবেন, ছাতার ইতিহাস ঠিক যতটা পুরনো, ততটাই আকর্ষণীয়।
advertisement
4/16
মনে করা হয় যে ছাতা প্রায় ৪০০০ বছর আগে প্রাচীন চিনে আবিষ্কৃত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, ছাতা কেবল বৃষ্টি থেকে রক্ষা করার জন্যই নয়, বরং সূর্য থেকে রক্ষা করার জন্য এবং রাজকীয়তার প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হত।
advertisement
5/16
রাজা, সম্রাট এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাঁদের প্রতিপত্তি দেখানোর জন্য এগুলি ব্যবহার করতেন। এই ছাতাগুলি ছিল বড় এবং ব্যয়বহুল। সেইসময় এগুলি রাজা-রাজরাদের সম্পদের প্রতীক হিসেবে দেখানো হত।
advertisement
6/16
চিন থেকে, ছাতা ধীরে ধীরে ভারত, পারস্য (আধুনিক ইরান), গ্রীস এবং রোমে ছড়িয়ে পড়ে। এখানেও এটি বেশিরভাগ উচ্চবিত্ত শ্রেণীর সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
advertisement
7/16
প্রাথমিকভাবে, ছাতা তৈরি করা হত রেশম, তেলযুক্ত কাগজ, চামড়া এবং বাঁশের মতো উপকরণ দিয়ে। এগুলির ডিজাইন আজকের দিনের হালকা এবং সহজে বহনযোগ্য ছাতা থেকে অনেক আলাদা ছিল এবং প্রায়শই এগুলি ভারী গোছের হত এবং সুন্দরভাবে খোদাই করা হত।
advertisement
8/16
ইউরোপে দীর্ঘদিন ধরে ছাতা কেবল রোদ থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হত। এগুলি কিছুটা 'মহিলাদের' সঙ্গেও যুক্ত ছিল সেই যুগে। বিশ্বাস করা হত যে পুরুষদের এগুলি ব্যবহার করা উচিত নয়।
advertisement
9/16
কিন্তু ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, জোনাস হ্যানওয়ে নামে একজন ইংরেজ এই ধারণা পরিবর্তন করেন। তিনি লন্ডনে বৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ছাতা ব্যবহার শুরু করেন।
advertisement
10/16
শুনলে অবাক হবেন যে প্রাথমিকভাবে তাঁকে এই জন্যে ব্যাপকভাবে উপহাস করা হয়েছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ এর উপকারিতা বুঝতে শুরু করেন এবং বৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যও ছাতা ব্যবহার করা শুরু হয়।
advertisement
11/16
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছাতার ডিজাইন এবং উপকরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। প্রাথমিকভাবে ছাতা তৈরিতে কাঠ ব্যবহার করা হত।
advertisement
12/16
এর সঙ্গে সঙ্গে তিমির হাড়ও ব্যবহার করা হত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলি ছোট এবং হালকা হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে ছাতায় শক্তিশালী ধাতব রড ব্যবহার করা শুরু হয়।
advertisement
13/16
বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে, বিশেষ করে ১৯২৮ সালে, হ্যান্স হাউপ্ট নামে একজন জার্মান ব্যক্তি ভাঁজ করা ছাতা আবিষ্কার করেন, যা যে কোনও জায়গায় বহন করা সহজ করে তোলে।
advertisement
14/16
ভাঁজ করা ছাতা বা ফোল্ডিং ছাতা অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এইভাবে, আজ ছাতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে এই ছাতা, যা আমাদের রোদ এবং বৃষ্টি উভয় থেকেই রক্ষা করে।
advertisement
15/16
ইংরেজিতে 'Umbrella' এবং বাংলায় 'ছাতা' নামটি কীভাবে এসেছে জানেন?ছাতার ইতিহাস তো জানলেন, এবার বলুন তো দেখি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এটিকে ইংরেজিতে 'Umbrella' এবং বাংলায় 'ছাতা' বলা হয়?
advertisement
16/16
ইংরেজি শব্দ 'Umbrella' মূলত ল্যাটিন শব্দ 'umbra' থেকে এসেছে, যার অর্থ 'ছায়া' বা 'ছায়া'। এই শব্দটি ল্যাটিন থেকে ইতালীয় 'ombrello' বা 'ombra' তে রূপান্তরিত হয়েছে, যার অর্থ 'একটি ছোট ছায়া'।