Cholesterol Control Tips : টেনে হিঁচড়ে, নিংড়ে নেবে খারাপ কোলেস্টেরল! ১০ ঘরোয়া সবুজ 'সুপারফুড'-এ পরিষ্কার ধমনী, একটি হলেও রোজ পাতে রাখুন

*উচ্চ কোলেস্টেরল কমানোর ডায়েট: এখানে ১০ সবুজ রঙের সুপারফুড রয়েছে, যা ধমনী পরিষ্কার রাখতে এবং তাদের ভিতরে প্লাক গঠন রোধ করতে সহায়তা করতে পারে। সংগৃহীত ছবি।

*উচ্চ কোলেস্টেরলের জন্য সবুজ খাবার: কোলেস্টেরল, একটি চর্বিযুক্ত-মোমযুক্ত পদার্থ যা শরীর নতুন কোষ এবং হরমোন তৈরিতে ব্যবহার করে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, যা উচ্চ কোলেস্টেরল হিসাবেও পরিচিত, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো গুরুতর কার্ডিওভাসকুলার সমস্যাগুলিকে ডেকে আনে। সংগৃহীত ছবি।

*পালং শাক কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর পালং শাক এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) হ্রাস করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। পালং শাকে উপস্থিত লুটেইন নামক সক্রিয় উপাদান ধমনীতে কোলেস্টেরল জমার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে, এতে হার্টের সমস্যা কমায়। সংগৃহীত ছবি।

*কেলঃ কেল হার্টের জন্য সুপারফুড। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে এই সবুজ সুপারফুড ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ফাইবারে ভরা, যা হজমে সহায়তা করে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও, কেল-এ পিত্ত অ্যাসিড সিকোয়েস্ট্রেন্ট রয়েছে, যা কোলেস্টেরল শোষণ রোধে সহায়তা করে। সংগৃহীত ছবি।

*অ্যাভোকাডোঃ অ্যাভোকাডো মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভাল কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে সহায়তা করে। আপনি এই ফলটি আপনার নিয়মিত স্মুদি বা স্যালাডে যুক্ত করতে পারেন। সংগৃহীত ছবি।

*ব্রকলিঃ ব্রকলি কেবল ওজন কমানোর জন্য একটি দুর্দান্ত সুপারফুড নয়, এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতেও সহায়তা করে। ব্রকলিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, যা কার্যকরভাবে এলডিএল স্তর হ্রাস করতে সহায়তা করে। এতে সালফোরাফেন রয়েছে, এটি এমন একটি যৌগ, যা হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। সংগৃহীত ছবি।

*গ্রিন টিঃ শুধু ওজন কমানোর জন্যই নয়, যারা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্যও গ্রিন টি দুর্দান্ত। এই সবুজ সুপারফুড ক্যাটচিন সমৃদ্ধ, যা এলডিএল কোলেস্টেরল হ্রাস করতে এবং সামগ্রিক হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সকালে এক কাপ তাজা গ্রিন টি পান করতে পারেন। সংগৃহীত ছবি।

*চিয়া বীজঃ এই ছোট-ক্ষুদ্র সুপারফুড ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত, যা হৃদরোগের উন্নতিতে সহায়তা করে। চিয়া বীজ দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ, পাচনতন্ত্রের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে। আপনি প্রতিদিন এক চামচ চিয়া বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখতে পারেন এবং পরের দিন সকালে খেতে পারেন। সংগৃহীত ছবি।

*তিসি বীজঃ ফ্ল্যাকসিড ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং দ্রবণীয় ফাইবারের আরও একটি দুর্দান্ত উৎস। এগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে এবং দেহে প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে। সর্বাধিক সুবিধার জন্য, গ্রাউন্ড ফ্ল্যাকসিড খাওয়া সর্বোত্তম। এটি হজমে সহায়তা করে। সংগৃহীত ছবি।

*ব্রাসেলস স্প্রাউটসঃ ব্রাসেলস স্প্রাউট কোলেস্টেরল কমাতে পুষ্টিকর এবং কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এটি এমন যৌগ থাকে যা কোলেস্টেরল শোষণকে সীমাবদ্ধ করতে সহায়তা করে। কিছুটা জলপাই তেল এবং সিজনিং দিয়ে ব্রাসেলস স্প্রাউটগুলি রোস্ট করা আপনার খাবারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি সুস্বাদু সহজ সাইড ডিশ তৈরি করে খান। সংগৃহীত ছবি।

*রসুনঃ রসুন অনেকগুলি খাবারে একটি দুর্দান্ত স্বাদ যুক্ত করে এবং চিত্তাকর্ষক স্বাস্থ্যগুণ। রসুন কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। সংগৃহীত ছবি।

*সবুজ আপেলঃ সবুজ আপেল খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। এটি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে সমৃদ্ধ, যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে। প্রতিদিন কেবল একটি সবুজ আপেল খান, শরীর থাকবে একেবারে ফিট। সংগৃহীত ছবি।