Superstitions Indians Follow Blindly: আনলাকি ১৩ নয়তো ! জীবনে এই বিষয়গুলো মেনে চলেন কি ?

কুসংস্কার আসলে (superstitions)। আর ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে অর্ধেকেরও বেশি মানুষই এই কুসংস্কার বা অন্ধবিশ্বাসের বশবর্তী (common superstitions of Indians)। আর এই সব বিশ্বাস একেবারেই ভিত্তিহীন। আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, অনেকেই এই বিষয়গুলো যুক্তি সহকারে বিচার করেন না। বরং অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করতেই পছন্দ করেন (Superstitions Indians Follow Blindly)। জেনে নেওয়া যাক ভারতীয়দের মেনে চলা কিছু প্রচলিত ধারণা ও বিশ্বাসের সম্পর্কে।

শনিবারে চুল-নখ কাটা অমঙ্গলের প্রতীক: হিন্দুদের বিশ্বাস, শনিবার চুল-দাড়ি-নখ কাটা উচিত নয় (cutting nails and hair on Saturdays)। কারণ এতে শনি দেবতা রুষ্ট হতে পারে। আর তা অমঙ্গল বয়ে আনতে পারে গৃহস্থ জীবনে । তবে বাজি রেখে বলা যায় যে, যাঁরা এই প্রচলিত ধারণা মানেন না, তাঁদের উপর কোনও গ্রহের কোপ পড়েনি। বরং তাঁরা ভালোই আছেন।

কালো বিড়াল রাস্তা কাটলে অমঙ্গল: শুধু ভারতে নয়, প্রায় সারা বিশ্বেই কালো বিড়ালকে অশুভ বলে মানা হয় (black cat crosses your path)। আর রাস্তা কাটলে তো কথাই নেই। কালো বিড়াল রাস্তা কাটলে মনে করা হয়, তা অমঙ্গলের প্রতীক। আসলে অনেক সময় বিড়াল রাস্তা পারাপার করে। আর এই বিষয়টা কোনও মানুষের সমক্ষে হলে তা দুর্ভাগ্য বলেই মেনে নেওয়া হয়।

বহুতলে ১৩-তলা থাকে না: ১৩-কে অশুভ সংখ্যা (Unlucky 13) বলেই মানা হয়ে থাকে। যে কোনও বহুতল বা হোটেলের বিল্ডিংয়ে ১৩ তলা করা হয় না। যদিও এই বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা নেই।

আটের অভিশাপ (Curse of 8):নিউমেরোলজি (Neumerology) বা সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী, আট সংখ্যাটি শনি গ্রহ দ্বারা চালিত। তাই কারওর উপর যদি আট সংখ্যাটির প্রভাব থাকে, তাহলে তার জীবনে প্রচুর বাধা-বিপত্তি আসতে পারে।

বিছানার তলায় পিঁয়াজ রাখলে দুঃস্বপ্ন দূর হবে: পিঁয়াজ ও ছুরি না কি সদ্যোজাত শিশুর বিছানার তলায় (Keeping onions and knives under your bed) রাখলে খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দূর হবে (Bad dreams)। এমনকী অনেক সময় বলা হয় যে, ঘুমোনোর সময় বালিশের তলায় পিঁয়াজ রেখে দিলে ভালো স্বপ্ন আসবে। কেউ নিজের জীবনে এটা করে এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করতেই পারেন।

পা নাচালে সম্পত্তিচ্যুত: নার্ভাস থাকলেই মানুষ সাধারণত পা নাচায় (shake your legs)। এটার কারণে ধনসম্পদ হাতে আসে না। উল্টে বৈভব ও সমৃদ্ধি দূরে চলে যায়।

সন্ধেবেলায় ঘর ঝাঁট দিলে লক্ষ্মী বিদায় নেয়: ঘরদোর নোংরা থাকলেও বাড়ির বড়রা সন্ধেবেলায় ঘর ঝাঁট দিতে বারণ করেন (Sweeping floors in the evening)। এতে না কি ঘর থেকে মা লক্ষ্মী বিদায় হন। মানা হয় যে, সন্ধে বেলায় না কি লক্ষ্মী ঘরে আসেন, আর সেই সময় ঘর ঝাঁট দিলে লক্ষ্মী চলে যান।

তিন মানেই অশুভ: দুইয়ের বেশি বা তিন মানেই অশুভ (Unlucky 3) । এমনিতেও তিন সংখ্যাটিকেও অশুভ বলেই গণ্য করা হয়ে থাকে। তাই তিন মানেই দুর্ভাগ্য বয়ে আনবে।

চোখ লাফানো (Eye twitching): ডান চোখ লাফানো মানেই ছেলেদের জন্য শুভ আর বাম চোখ লাফানো মানেই মেয়েদের জন্য শুভ, এমনটাই বিশ্বাস হয়ে আসছে। যদিও এর কোনও ভিত্তি নেই। সাধারণত চোখের পাতার পেশির ক্লান্তির কারণেই এটা হয়ে থাকে।

কাকের বিষ্ঠা সৌভাগ্য বয়ে আনে (Crow shit brings luck): কাকের বিষ্ঠাকে মঙ্গলজনক বলে ধরা হয়ে থাকে। হিন্দুদের মতে, কাকের বিষ্ঠা গায়ে পড়লে তা লাভজনক, ধনসম্পদের সুখবর বয়ে আনে। যদি সত্যি এমনটাই হত, তাহলে সকলে বাড়িতে কাককেই পোষ মানাত।

উপহারের সঙ্গে এক টাকা শুভ (Adding one rupee to a gift sum):এক সংখ্যাটিকে শুভ সংখ্যা বলেই বিশ্বাস করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে টাকা দেওয়া হলে তার সঙ্গে এক টাকাও জুড়ে দেওয়া হয়, অথবা উপহারের সঙ্গেও এক টাকা দেওয়া হয়। আর এটাকে শুভ বলে মানা হয়।

যাঁদের পায়ের পাতা ফ্ল্যাট, তাঁরা অমঙ্গল বয়ে আনেন: অনেকেই মনে করেন যে, পায়ের পাতা ফ্ল্যাট মানেই তা বৈধব্যের প্রতীক (People with flat feet bring bad luck)। তাই আগেকার দিনে বিয়ের আগে ছেলেদের মায়েরা হবু বউমার পায়ের পাতা পরীক্ষা করতেন।

শিশুদের কপালের কাজলের টিপ কুনজর দূর করে (kajal on a baby's forehead):কুনজর (buri nazar) থেকে শিশুদের রক্ষা করতে তাদের কপালে অথবা গালে ছোট্ট কাজলের টিপ পরিয়ে দেওয়া হয়।