Sunita Williams Return: হাড় ক্ষয়, কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতি! ৯ মাস মহাকাশে থাকায় ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়তে পারেন সুনীতা উইলিয়ামস, পৃথিবীর সঙ্গে মানাতে কতদিন সময় লাগে শরীরের জানুন...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Sunita Williams Return: নাসার দুই মহাকাশচারী, সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। এই দুই মহাকাশচারী মাত্র ৯ দিনের মিশনে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাদের বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তারা ৯ মাস ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) আটকে ছিলেন। পৃথিবীতে ফিরে কী কী সমস্যা দেখা দেয় মহাকাশচারীদের জানুন...
advertisement
1/12

অবশেষে, স্পেসএক্স ড্রাগন ক্যাপসুলের মাধ্যমে তারা পৃথিবীতে ফিরেছেন, যা ফ্লোরিডার উপকূলে সমুদ্রের মধ্যে অবতরণ করে। ৫৯ বছর বয়সী সুনীতা উইলিয়ামস এবং ৬২ বছর বয়সী বুচ উইলমোর মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রাখলেও, ২৭০ দিন ধরে মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব তাদের শরীরে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন এনেছে।
advertisement
2/12
মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর, মহাকাশচারীদের শরীর ধীরে ধীরে পৃথিবীর পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। তবে কিছু শারীরিক পরিবর্তন স্থায়ী হতে পারে।
advertisement
3/12
ব্রিটিশ মহাকাশচারী টিম পিকের মতে, পৃথিবীতে ফিরে আসার পর মহাকাশচারীদের মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং ভারসাম্য হারানোর মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও, তাদের পেশী ও হাড় আবারও মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে অভ্যস্ত হতে সময় নেয়।
advertisement
4/12
মহাকাশে থাকার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পেশী ও হাড়। মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় শরীরের পেশীগুলি বিশেষ করে পিঠ, ঘাড়, পায়ের পেশী দুর্বল হয়ে যায়।
advertisement
5/12
গবেষণা বলছে, উপযুক্ত ডায়েট ও ব্যায়াম থাকলেও মাইক্রোগ্রাভিটিতে পেশী কমে যাওয়ার হার পৃথিবীর তুলনায় অনেক বেশি।
advertisement
6/12
হাড়ের ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। নাসার গবেষণায় দেখা গেছে, মহাকাশে থাকা প্রতিটি মাসে ১-১.৫% হাড়ের খনিজ উপাদান নষ্ট হয়। পৃথিবীতে ফেরার পরেও এই হাড়ের ক্ষতি পুরোপুরি পূরণ হয় না।
advertisement
7/12
এছাড়া, ক্যালসিয়ামের অতিরিক্ত ক্ষয়ের কারণে মহাকাশচারীদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।
advertisement
8/12
মহাকাশে থাকার ফলে চোখের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। "স্পেসফ্লাইট অ্যাসোসিয়েটেড নিউরো-অকুলার সিনড্রোম" (SANS) নামে একটি সমস্যা দেখা দেয়, যা চোখের দৃষ্টি কমিয়ে দিতে পারে। মাইক্রোগ্রাভিটির কারণে রক্ত প্রবাহ ও মস্তিষ্কের তরল উপরে উঠে যায়, যা এই সমস্যার প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।
advertisement
9/12
মহাকাশ ভ্রমণের ফলে জেনেটিক পরিবর্তনও হয়। বেশিরভাগ জিন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেও, প্রায় ৭% জিন স্থায়ীভাবে পরিবর্তিত হয়। মহাকাশের বিকিরণের প্রভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে এবং অ্যালঝাইমার রোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
advertisement
10/12
মহাকাশচারীদের হার্টের ওপরও প্রভাব পড়ে। রক্ত সংবহন ধীর হয়ে যায় এবং লাল রক্ত কণিকার উৎপাদন কমে যায়, ফলে হৃদস্পন্দনের অনিয়মিত গতি বা অ্যারিথমিয়া দেখা দিতে পারে। মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর, শরীরের বিভিন্ন অংশের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কয়েক মাস সময় লাগে।
advertisement
11/12
যদিও শরীর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়, তবুও কিছু দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি থেকেই যায়, যেমন ক্যানসার, স্নায়ু ক্ষতি এবং অন্যান্য ডিজেনারেটিভ রোগ। মহাকাশচারীদের শরীরের ভারসাম্য প্রথম এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরতে শুরু করে, দুই সপ্তাহের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক হয় এবং তিন মাসের মধ্যে পেশী গঠনের প্রায় ৯০% পুনরুদ্ধার হয়।
advertisement
12/12
রাশিয়ান মহাকাশচারী ভ্যালেরি পলিয়াকভ ৪৩৭ দিন মহাকাশে থাকার রেকর্ড করেছেন, যেখানে নাসার পেগি হুইটসন সর্বাধিক ৬৭৫ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন। তবে, ISS-এ সবচেয়ে বেশি সময় কাটানোর রেকর্ড ফ্র্যাংক রুবিওর, যিনি ৩৭১ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Sunita Williams Return: হাড় ক্ষয়, কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতি! ৯ মাস মহাকাশে থাকায় ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়তে পারেন সুনীতা উইলিয়ামস, পৃথিবীর সঙ্গে মানাতে কতদিন সময় লাগে শরীরের জানুন...