Summer: গরম দাবদহের মাঝে পথ চলতি মানুষ থেকে ডেলিভারি বয়দের বিশ্রাম দিচ্ছে আধুনিক এই রঙিন কমিউনিটি জোন

তাপপ্রবাহ ও গরমের মধ্যেই এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্তে ছোট ছুটি করে নানা সামগ্রী ডেলিভারি করতে হয় নিউটাউন ও বিধান নগর এলাকার ডেলিভারি বয়দের। তবে কাজের ফাঁকে একটু জিরিয়ে নিতে রঙিন কমিউনিটি এই জোনকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে

করোনা অতিমারির পর থেকেই উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে অনলাইন ব্যবসা। ঘরে বসে অর্ডার করেই পছন্দের জিনিস পেয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। খাওয়ার হোক বা পছন্দের পোশাক ছবি মিলছে ঘরের দুয়ারে

অনলাইন ফুড ডেলিভারির জনপ্রিয়তাও এখন আকাশছোঁয়া। চাহিদা বেড়েছে উবের ওলা বাইক ট্যাক্সিরও। শহর ও শহরতলীর হাজার হাজার যুবক এখন এই ধরনের কাজ যুক্ত। ফলে নিউ টাউনে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেলিভারি বয়ের সংখ্যা

প্রখর গরম, বৃষ্টি, এমনকি ঠান্ডা কে উপেক্ষা করে দৈনিক দশ থেকে বারো ঘণ্টা এই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণের বিশ্রাম বা সময় কাটানোর জন্যে উপযুক্ত জায়গার অভাবের ফলে রাস্তায় বা কোন গাছের তলায় আশ্রয় নিতে হয় একটু জিরিয়ে নেওয়ার জন্য

বেশির ভাগ সময় দেখা যায় কোন শপিং মলের সিঁড়িতে বা বাইকের সিটেই বসে থাকতে হয় তাদের। তাঁদের কথা ভেবেই এই কমিউনিটি জোন তৈরি করে হিডকো

বিশ্ববাংলা সরণিতে অ্যাক্সিস মলের পাশের ব্রিজের নীচের অংশ খুব সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বেশ কিছু কংক্রিটের আসনও তৈরি করা হয়েছে ডেলিভারি বয়দের বিশ্রামের কথা ভেবে। ঠিক কাছেই একটি পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেটও চালু করা হয়েছে

এই কমিউনিটি জোনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে এনকেডিএ। শুধু ডেলিভারি বয়রা নন , পথচলতি সাধারণ মানুষও এর উপকার পাচ্ছেন বলেই জানানো হয় হিটকো তরফ থেকে। অ্যাকশন এরিয়া ওয়ানে বিশ্ববাংলা সরণির উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে মোট তিনটি বড় শপিং মল রয়েছে

অতীতে, ব্রিজের নীচে সন্ধে হলেই অনেক অসামাজিক কাজকর্ম হত। লোকজন অবৈধ ভাবে গাড়ি পার্ক করেও রাখত। নতুন কমিউনিটি জোন তৈরি হওয়ার ফলে এলাকার পরিবেশও এখন অনেকটাই বদলেছে বলে দাবি স্থানীয়দের