Snoring Problem: ঘুমের সময় বিকট শব্দ করে নাক ডাকে সঙ্গী? মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে! বাঁচার উপায় জানুন

আপনার সঙ্গী কি ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে? সেই নাক ডাকার সময় বিকট শব্দ হয়? খুব সাবধান, এমন ভাবে কিন্তু মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

সঙ্গীর নাক ডাকার গর্জনে অনেকরই ঘুমের বারোটা বাজে। কেউ ব্যাপারটা স্বীকার করে নেন, কেউ আবার বেমালুম অস্বীকার করে যান গোটা বিষয়টি! চিকিৎসকদের মতে, শরীরচর্চার প্রতি অনীহা, জীবনযাপনে অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার প্রবণতা ঘুমের ঘোরে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে।

শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা ছাড়াও নাক ডাকার অন্য একটি কারণ হল ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’। ৫০ বছর বয়সের আগে কারও সমস্যা নাক ডাকার সমস্যা শুরু হলে বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা।

অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণা সংস্থা নাকডাকার সঙ্গে রক্তচাপ বৃদ্ধির একটি যোগসূত্রে খুঁজে পেয়েছে। গবেষণা জানা গেছে, প্রতিদিন রাতে যাঁরা ঘুমনোর সময় নাক ডাকেন তাঁরা উচ্চ রক্তচাপের রোগী হওয়ার পাশাপাশি হাইপার টেনশনেও ভোগেন।

নাক ডাকার ফলে উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি রক্তনালীতে চাপ বৃদ্ধি হয়। এর ফল হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের রোগেও ভোগেন।

রক্তচাপের পরিমাণ ১২০/৮০ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। প্রথমত হৃদযন্ত্র যখন রক্ত পাম্প করে তখন ধমনীতে অতিরিক্ত রক্তের চাপ বৃদ্ধি হয়। দ্বিতীয়ত প্রথম ও দ্বিতীয় কম্পনের মধ্যে হৃদযন্ত্রের যে বিশ্রাম পাওয়ার কথা তা পায় না।

সুইডেনের গবেষকদের দাবি, যাঁরা নাক ডেকে ঘুমান তাঁদের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। নাকের ভিতর দিয়ে বায়ুপ্রবাহের পথটি রুদ্ধ হয়ে আসে। তাই নাক ডাকতে বাধ্য হয় মানুষ।

সাধারণত মোটা মানুষদের নাক ডাকতে বেশি দেখা যায়। এই ধরনের রোগীরা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভোগার পাশাপাশি এদের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পায়। নাক ডাকার উপসর্গকে অবহেলা করলে পরে তা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

বিকট শব্দে নাক ডাকা থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দেরি হলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিভিন্ন এক্সারসাইজের মাধ্যমে, নাকে ছোট যন্ত্রের সাহায্যে এই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। কিন্তু সবই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করতে হবে।

স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা আছে বুঝলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। চিকিৎসার সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে মন দিন। খাওয়ার ঠিক পরেই শুয়ে না পড়ে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় যোগাসনের করুন।